সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আটপৌরের মুখোমুখি কৌশানি রায়


 নৃত্য তাঁর জীবনের অঙ্গ। অঙ্ক তাঁর ছায়াসঙ্গী। আর থিয়েটার তাঁর বেঁচে থাকার রসদ। হ্যাঁ এতকিছু নিয়ে তিনি দিব্যি আছেন এবং এতকিছু নিয়েই তিনি দিব্যি থাকতে চান। মফস্বলের মেয়ে কৌশানি রায় সদ্য অভিনয় করছেন ' মিথ্যে প্রেমের গান' নামক সিনেমায়। যে সিনেমার মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনির্বান ভট্টাচার্য, ইশা সাহা, অর্জুন চক্রবর্তী এবং আরও অনেকে। আগামী ১০ই ফেব্রুয়ারী প্রেক্ষাগৃগে মুক্তি পেতে চলেছে সিনেমাটাটি। নিও স্টুডিওস প্রযোজিত এই সিনেমার গল্প গান নিয়ে, সম্পর্ক নিয়ে এবং জীবন নিয়ে।


কৌশানি নিজের স্বপ্নের আকাশে ডানা মেলে উড়ে যেতে চাই বহুদূর। খুব ছোট বয়সে নাচ শিখতে শিখতে মঞ্চে আসা এবং নৃত্যকে জীবনের অঙ্গ করে নেওয়া। তারপর ধীরে ধীরে অভিনয়ের জগতে আসা থিয়েটারের মধ্যে দিয়ে। এইসবের পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার পড়াশুনা এবং অধুনা একটি বেসরকারী কলেজে অধ্যাপনার কাজের সঙ্গে যুক্ত। এতকিছু একসঙ্গে কী করে সম্ভব? জিজ্ঞাসা করতে কৌশানি জানালেন," এইগুলো তো সবই আমার জীবনের অঙ্গ। এগুলো কোনটা ছাড়াই আমি বাঁচতে পারব না। তাই যেমন জল ছাড়া মানুষের জীবন চলে না, ঠিক তেমনি এগুলো ছাড়াও আমি বাঁচতে পারব না।" জিজ্ঞাসা করলাম," জীবনে প্রথম বড় পর্দার কাজ, কী বলবেন?" কৌশানি বললেন," প্রচন্ড ভাল অভিজ্ঞতা। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির ব্যাপারে অনেক ধরনের কথা শোনা যায় কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা খুবই ভাল। একজন শিল্পী হিসেবে আমি যথেষ্ট সম্মান পেয়েছি। খুব ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি তবুও কাজের অভিজ্ঞতা খুবই দারুন।" আবারও জিজ্ঞাসা করলাম," আপনার চরিত্র নিয়ে কী বলবেন?" অভিনেত্রী জানালেন, " আমি এই সিনেমার যিনি অভিনেত্রী অর্থাৎ ইশার বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছি। খুব ছোট চরিত্র, তাই আর বেশি কিছু বলব না। আমি চাইব দর্শকরা সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমাটা দেখুক। আশা করি সবার সিনেমাটা ভাল লাগবে।"


জিজ্ঞাসা করলাম, " আগামী দিনের কী পরিকল্পনা ?" কৌশানি একটু ভেবে জানালেন, " ভাল স্ক্রিপ্ট পেলে নিশ্চয় সিনেমা কিংবা ওয়েবে কাজ করব এবং পাশাপাশি থিয়েটার, পড়ানো এবং নাচ আমি চালিয়ে যাব।" অভিনেত্রীকে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, " ভাল স্ক্রিপ্ট মানে?" হাসতে হাসতে তিনি জানালেন, " ভালর কোনও সংজ্ঞা নেই। তবে আমার কাছে ভাল মানে যেটা আমার ভাল লাগবে। যেখানে কাজ করতে আমার কোনও রকম অসুবিধা হবে না।"

সবশেষে জিজ্ঞাসা করলাম, " সিনেমার জন্য কোনওদিন পড়ানো কিংবা থিয়েটার ছাড়বেন ?"  তিনি হাসতে হাসতে বললেন, " শো মাস্ট গো অন।"
(সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ
ছবি- সংগৃহীত)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...