সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

charminar পর্ব--3

-------------------------------------------------------------------------------------------- #ঐশী আবির আর রচিতার প্রেমটা কীভাবে সেটা আর আলাদা কিছুই না।আজকাল সবার যা হয়ে থাকে।Facebook,mutual friend,আলাপ,বন্ধুত্ব আর তারপর গতানুগতিক ভাবেই সবটা।শুরুটা ২০১৪-র ওই শেষের দিকটায় মোটামুটি।তারপর ওই বন্ধুত্ব,প্রেম,ঝগড়া সব মিলিয়ে চলতে চলতেই হঠাৎ ২০১৬-র ওই পুজো নাগাদ বড়সড় একটা break.এটা যে কমদিনের জন্য নয় সেটা বুঝতে দু তরফেই বেশ খানিক সময় লেগেছে। যাইহোক এখন এই পরিস্হিতিতে এসে ঠিক কেন ঝামেলার সূত্রপাত তা অপ্রাসঙ্গিক। রচিতা অনেক্ষণ ধরেই,মানে আবির আসার পর থেকেই কিছু একটা miss করছে আবিরের মধ্যে।কিন্তু সেটা যে exactly কি,সেটা ও নিজেও ঠিক ধরতে পারছে না। “আর বল বাড়ির সবাই ভাল আছেতো?”Camera-টা ব্যাগে রাখতে রাখতে প্রশ্ন আবিরের। “হ্যাঁ সবাই খুব ভালো আছে।”হেঁসে জবাব দেয় রচিতা। “আর তুই?” হঠাৎ এই প্রশ্নে রচিতার বুকটা কেমন করে ওঠে।সেই পুরনো চেনা আবেগ ওকে তিনমাস পর আবার কেমন টলমল করিয়ে দেয়। মনের ভাবটা কোনরকমে সামলে হেঁসেই আবার বলে “আমিতো সবচেয়ে বিন্দাস।” হাঁটতে হাঁটতে বেশ অনেকটাই এগিয়ে ...

Charminar পর্ব:১

-------------------------------------------------------------------------------------------------------#ঐশী “১৮ ই ডিসেম্বর,২০১৬,রবিবার... বিকাল ৫টা,ঢাকুরিয়া লেক...” Almost last ১৫ দিন ধরে plan করার পর আবির আর রচিতা ঠিক করলো meet করবে। নাহ্ নাহ্ 1st date নয় rather পুরনো প্রেমকে ঝালিয়ে নেওয়া আরকি। যাইহোক যথাসময়ে সেজেগুজে হাজির রচিতা।পুরনো নিয়ম মতোই বসে পড়েছে লেকে ঢুকে কিছুটা এগিয়ে বড় গাছটার নীচে বেদির উপর। আবির পুরনো নিয়ম মতোই late. “বোধহয় সব একরকমই রয়েছে” ভাবতে ভাবতে নিজের মনেই হেসে ওঠে রচিতা। Last তিনমাস মুখ দেখাদেখি নেই ওদের।স্বাভাবিক ভাবেই কথাও বন্ধ। হঠাৎ কারোর একটা তরফ থেকে প্রথম message যায়।তারপরই আবার যোগাযোগ and all. সবকিছু ভাবতে ভাবতেই একটা cigaretteধরায় রচিতা। নাহ্ বিরহের ফলাফল নয় এই Charminar.নিতান্তই অভ্যেস।বরং বলা ভালো ছোটবেলার “21 Rajani Sen Road”-র প্রেমের effect. হঠাৎ পিছনে ধাক্কায় হুঁশ ফেরে ওর... “কী রে কতো নম্বর চলছে এটা?” একমুখ হাঁসি নিয়ে প্রশ্ন আবিরের। দীর্ঘ তিনমাস পর মুখটা হঠাৎ দেখে ঠিক কতটা একরকম আর কতটা অন্যরকম এটা ভাবতে গিয়ে একটু অন্যমনস্ক হয়...

charminar পর্ব--২

একটু চমকে উঠেই নিজেকে সাথে সাথেই সামলে নিয়ে জবাব দেয় রচিতা “না না বল...খবর কী তোর?কেমন আছিস?পুরো তো তিনমাস হাওয়া হয়ে গেছিলিস।” কথা বলতে বলতেই রচিতা নিজের মধ্যে কেমন একটা আড়ষ্ঠতা বোধ করে।সেই মুহূর্তে কারণ খোঁজার চেষ্টা না করে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করে। “এইত্তো চলছে।তোর কী খবর বল?”উত্তর এবং পাল্টা প্রশ্ন আসে ওদিক থেকে। “আমিতো বিন্দাস” জবাব দিতে দিতেই আবিরের কাঁধের দিকে চোখ যেতেই রচিতা আবার প্রশ্ন করে “আরে you got a DSLR?” “নাহ্ নাহ্ এক বন্ধুর থেকে ধার করে নিয়ে এলাম।বিকেলবেলা লেকটা বেশ লাগে।” উত্তরটা শুনে রচিতা মনে মনে হাসতে হাসতে বললো “মেয়েদের মন গলানোর উপায় তুমি এই কয়েকদিনে বেশ ভালোই রপ্ত করে ফেলেছো।” “তা নতুন কারোর প্রেমে পড়লি?”Camera ঘাঁটতে ঘাঁটতেই প্রশ্ন আবিরের। চিরকাল এই একটা প্রশ্নে গা জ্বলে যায় রচিতার।তার উপর এতোদিন বাদে এতো কথা,meet করা সব মিলিয়ে এমনিই uneasy লাগছে। যাইহোক মুখের ভাব স্বাভাবিক রেখেই ও জবাব দেয় “না না হয়নি তেমন কিছু।” উত্তরের তোয়াক্কা না করেই camera টা রচিতার দিকে রেখেই পরপর ছবি তুলতে  থাকে আবির।রচিতা খানিক বিরক্তি দেখালেও ছবিগুলো দে...
                                                                  রিভিউ - অনিন্দিতা সমালোচনা জল্পনা কল্পনা সব শেষ করে অবশেষে মুক্তি পেল বহু প্রতিক্ষীত চলচিত্র "পদ্মাবতী" ক্ষমা করবেন I হারিয়েছে সেন্সর বোর্ডের কাঁচির ধারে এখন সে "পদ্মাবৎ"। অসম্ভব কৌতূহল নিয়ে ভীর হচ্ছে যেভাবে মনে হয় কিছু থাক না থাক যখের ধন তো থাকবেই কিন্তু কোথায় কি? পদ্মাবতীর তীরন্দাজ (যদিওবা ভুল নিশানায় দেখানো), বুদ্ধিমত্তা (রাজনৈতিক) পতিপরায়ণতা এবং ডায়লগের ফাপর ছাড়া আর বিশেষ কিছু পদ্মাবতী সম্পর্কে আছে বলে মনে হয়না। ভানসালি জি জানেন বোধ হয় গল্প ছাড়াও মিউজিক, কস্টিউম, সিন লোকেশন এবং জল্পনাকল্পনা দিয়ে কিভাবে একটা গল্পহীন সিনেমা কেও চোখ ধাঁধাতে হয়। তবে অবশ্যই সমালোচকের আসন ছেড়ে বলা উচিৎ দীপিকা কে বোধ হয় এতো এলিগেন্ট লাগে নি কোনো চরিত্রে তার ওপর অসম্ভব শালীনতা সে বোর্ড ইশুই হোক না কেন। আর অন্যান্য চরিত্রই যদি বলতে হয় তবে অবশ্যই বলব ফেয়ার এন্ড লাভলি...

চকোলেট চা

------------------------------------------------------------------------------------ঐশী কলকাতা হোক বা কলম্বো,বাঙালী চিরকালই আমোদপ্রিয় এবং হুজুগে।কোন না কোন টপিক নিয়ে লাফালাফি লেগেই থাকে,সে পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন। কলকাতা এক্ষেত্রে বেশ কয়েকধাপ এগিয়ে।যতই হোক বাঙালীর শেকড় তো এখানেই জড়িয়ে।যাইহোক গত সপ্তাহে ফেসবুকের জনৈক একটি পেজ রবীন্দ্রসরোবর মেট্রো স্টেশনের ছয় নম্বর গেটের সামনে এক চা দোকানের হদিশ দেয় যেখানে চকোলেট চা-কফি,মালাই চা-কফি এবং আরও প্রচুর রকমের চা ও কফি পাওয়া যায়।প্রধান বিশেষত্ব দোকানটি খুবই ছোট এবং রাস্তার ধারে(বলা বাহুল্য আলাদা করে নজর না কাড়ার মতোই)। ব্যাস্...বাঙালী রেডি।ফেসবুকের মাধ্যমে হদিশ পেয়েই ঠিক খুঁজে খুঁজে সশরীরে হাজির।কোন কিছু প্রচার বা ভাইরাল করতে ফেসবুকের এখন জুড়ি মেলা ভার।তো সময় যতো পেরোলো ভিড় ও বাড়তে লাগলো। আমিও ভাবলাম এক বিকেলে একটু ঢুঁ মেরেই আসি।যেমন ভাবনা তেমন কাজ।কষ্ট করে আর খুঁজতে হলোনা।ভিড় দিয়ে যায় চেনা।সবাই ফোন আর ডি.এস.এল.আর নিয়ে রেডি।চায়ের দোকান,ভিড় আর চায়ের ভাঁড় কে ফোকাস করে ক্লিক ক্লিক । কিন্তু এই ভিড়ের ঠেলায় দোকনদারের পক্ষে...

- by Subhagata Goswami

আমন্ত্রন জানাই কি করে ? নতুন বছরে পর্বগুলিকে অতীত টানছে যে বড় নেশাগ্রস্থ আমি ক্যালেন্ডারে নতুনত্বের মায়া নাকি কবিতার বইয়ের আবেগ ? এই তুলনা যে বড়ই জোটিল একবার না হয় ফিরে দেখলাম ভালোবাসার পর্দায় লুকোনো রাগ অভিমান আর প্রেমের দোহাই দিয়ে ব্যর্থ কয়েক মুহুর্তের চুম্বন একবার না হয় ফিরে দেখলাম স্বপ্ন গড়া ও স্বপ্ন ভাঙা সেই রাতগুলি তোমার মুখের হাসির বিনিময়ে যখন দিলাম তোমাকে আমার অজস্র অশ্রুজল , এই আশায় যে কখনো ফিরে তাকাতে হবে না আমাকে আমাদের ব্যর্থ প্রেমের দৃশ্যে নতুন বছর তো চলেই এল অথচ আজ লুকিয়ে আছে সেই পুরোনো প্রেম , সেই পুরোনো চুম্বন সেই পুরোনো স্বপ্ন , ইচ্ছে আমারর হৃদয়ের প্রতিটা হৃদস্পন্দনে আমন্ত্রন জানাই কী করে নতুনত্বকে ? ইতিহাসের জোটিলতায় নেশাগ্রস্থ আমি অতীতের টান যে বড্ড প্রিয় ।।
নতুন বছর ও কিছু নাছোড়বান্দা অভ্যেস // মৌমিতা ঘোষ   জীবন যেন ঘুড়ি ওড়ানো খেলা । মারপ্যাঁচ , টানাটানি , গেল গেল গেল , যাহ্ । মৃত্যু ও বেশ রঙিন লাগে । ভাবুন তো ভো কাট্টা রঙিন ঘুড়ি পড়ে আছে , পাশে সুতো খানিকটা এলোমেলো ।   কেউ ভেবেছিল সারাজীবন নিয়ন্ত্রণ করবে , এখন আমার ভাবটা , ' দেখ শালা ' ।   আবার মাঝেমধ্যে ভাবি এই যেমন বন্ধুদের হাত , এই যেমন আমার হঠাৎ নাকেকান্না আর দু চারজন প্রাণের বান্ধবীর বিলাপ শুরু , এইসব কিছু থেকে হঠাৎ চলতে চলতে ‘ টাটা ’ বলে অন্য গলিতে সটকে পড়া , তারপর বেশ খোঁজ খোঁজ ... উঁহু , তখন ' পড়বেনা মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে ' । মৃত্যু ও মজার বেশ । খেলতে খেলতে বেশ কবার ঘুরে এসেছি দুএকটা কামরা । ফিরে এসেছি যেই, কলার ধরে জীবন নিয়েছে জবাবদিহি । তার ও ভাব , ' দেখ   কেমন লাগে । অত সহজ নয় , বুয়েচ ? আগে এপারের সবকিছু কড়ায় গণ্ডায় মেটাও , তারপর ওসব ফ্যান্টাসি দেখিও । ' এভাবেই আমি জীবনকে ঘেন্না করতে করতে কখনো মৃত্যুকে ভালোবাসি , মৃত্যু প্রতা...