সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

''আমি বোল্ড বলে কিছুই মানি না,আমার কাছে সবটাই আর্ট!''



পল্লবী মুখোপাধ্যায় কে মনে পড়ে? একটু ভেবে দেখুন তো একবার! কি মনে পড়েছে? মনে পড়েছে মীরাক্কেল সিজিন ৬-এর সেই মিষ্টি মেয়েটাকে। তখন তিনি সবেমাত্র অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সেই বয়সেই তিনি যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন এবং তা যে পরবর্তী কালে আরও আরও ছড়িয়ে পড়বে সেটা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা ছিল।  শুধু তাই নয় একের পর এক ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় দক্ষতা প্রশংসা কুড়িয়েছিল অগণিত বাঙালী দর্শকের। ‘ ভুতু’, ‘মীরা’, ‘ খোকাবাবু’, ‘ পটলকুমার গানওয়ালা’-এর মতো বাংলা ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় অনেকদিন পর্যন্ত মনে রাখবে বাঙালী দর্শক।

এখানেই শেষ নয়, দুর্গাপুরের সেই মেয়েটা জন্মের পর থেকেই ঠিক করে ফেলেছিলেন যে তাঁকে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হবে, অভিনয় করে মন জয় করতে হবে অগণিত দর্শকদের এবং তিনি পেরেছেন। মীরাক্কেলের জন্য তাঁর কলকাতায় আসা এবং পরবর্তী সময়ে তিনি পাড়ি দিয়েছেন মুম্বই। অভিনয় করেছেন ‘ ঝাঁসি কি রানি’ ধারাবাহিকে এবং সামনেই আসতে চলেছে তাঁর ‘ গন্দি বাত’। অল্ট বালাজির ‘ গন্দি বাত’ সিজিন থ্রীতে পল্লবীকে দেখা যাবে ‘ বিচ্চি’-এর চরিত্রে।



অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘ আপনার চরিত্রটি এখানে কেমন?’’ তিনি জানালেন, ‘’ এই চরিত্রটা আমার কাছে বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল, কারণ এই ধরণের চরিত্র আমি এর আগে কখনও করিনি। এটা এমন একটা চরিত্র যেটা দেখে সবাই আনন্দও পাবে আর দুঃখও! সবটাই এখনও বলব না, আগে দর্শকরা দেখুক তারপর নয় তারাই বলবে।‘’

আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ ট্রেলরটা তো ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, শুধু তাই নয় আগের সিজিনগুলো নিয়ে বেশ চর্চা হয়েছে, তুমি এখানে কি খুব বোল্ড চরিত্রে অভিনয় করেছ?’’ তিনি হাসতে হাসতে জানালেন, ‘’ আমি বোল্ড বলে কিছুই মানি না,আমার কাছে সবটাই আর্ট! আর আমি এটাও জানতাম যে এই চরিত্রে অভিনয় করার পর আমাকে এই ধরণের অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে, অনেক ট্রল সহ্য করতে হবে। কিন্তু আমার কাছে অভিনয়টাই সব।‘’ একটু থেমে তিনি আরও জানালেন যে, ‘’ আমার মা আমার পাশে না থাকলে হয়ত আজ আমি এই জায়গায় থাকতাম না! তিনি আমার জন্য সবকিছু সহ্য করেছেন। শুধু তাই নয়, এই চরিত্রের জন্যই তিনিই আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন।‘’



পল্লবী বারেবারে তাঁর অভিনয় দক্ষতা দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে তাঁর অভিধানে না বলে কিছু নেই। ইচ্ছে থাকলে সবকিছুই সম্ভব, তিনি চেয়েছিলেন যে একতা কাপুরের কোনও একটা প্রজেক্টে কাজ করবেন এবং তিনি করেছেনও। শুধু তাই নয় অল্ট বালাজিতে তিনি  আরও একটি কাজ করছেন, সেই বিষয়ে তিনি কিছু না বললেও এইটুকুই বললেন যে, ‘’ সময় এলেই সব জানতে পারবেন।‘’



তবে মুম্বই গিয়ে একমুহূর্তের জন্যও তাঁর শহরকে তিনি ভুলে জাননি। তিনি জানালেন যে, ‘’ ভাল কাজ পেলে নিশ্চয় করব। আমি কলকাতাকে মিস করি।‘’জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ সময় পেলে ঘুরতে যাওয়া হয়?’’ তিনি বললেন, ‘’ হ্যাঁ, তবে খুব কম! আমার প্রিয় ঘোরার জায়গা মালদ্বীপ, যদিও এখন যাওয়া হয়নি, তবে একদিন ঠিক যাবই।‘’

‘’ আপনি কি সিঙ্গেল?’’ হাসতে হাসতে তিনি বললেন, ‘’ হ্যাঁ! হ্যাপিলি সিঙ্গেল।‘’ আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ পছন্দের পুরুষটি কেমন হবে?’’ তিনি বললেন, ‘’ আমি যেন কিছু বলার আগেই সে সব কিছু বুঝে যায়!’’ তারপর ফোনের ওপার থেকে শুধু হাসির শব্দ পেলাম।

( সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ 
ছবি- সংগৃহীত) 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...