সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

"চরিত্রের প্রয়োজনে শরীরকে ব্যবহার করতে হবে"



তিনি সবসময় খবরের শিরোনামে! গত কয়েকদিন ধরে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় উষ্ণতা ছড়িয়েছেন। ঘুম কেড়ে নিয়েছেন সিঙ্গেল পুরুষদের। শুধু তাই নয়, তিনি বারেবারে ধরা দিয়েছেন মোহময়ী রূপে! অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতার ফটোশুট নিয়ে বেশ সরগরম নেটিজেনরা! অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ আপনি হঠাৎ এত বোল্ড লুকে?” 


অভিনেত্রী হাসতে হাসতে বললেন, ‘’ আমি তো জাস্ট ফটোশুট করেছি! এবার সেটা বোল্ড না কোল্ড সেটা আমি কী করে বলব বলুন তো?’’ আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ আপানর ছবি তো অজস্র শেয়ার হচ্ছে! নেটিজেনরা বেশ আপ্লুত মনে হচ্ছে, এর কারণ কি ? আপনি কি যেচে পাবলিসিটি করছেন?’’ ‘’ লোকে আমাকে ভালবাসে তাই শেয়ার হচ্ছে। আমার যেচে পাবলিসিটির প্রয়োজন নেই, পাবলিসিটির জন্য আমার কাজই যথেষ্ট।‘’



এখানেই শেষ নয়, অভিনেত্রী এই মুহূর্তে তাঁর আগামী ওয়েব সিরিজের কাজের জন্য খুব ব্যস্ত। সায়ন্তন ঘোষাল পরিচালিত ‘ লালবাজার হেডকোয়াটার’ দেখা যাবে সায়ন্তনী গুহঠাকুরতাকে। এই ওয়েব সিরিজে সায়ন্তনীকে দেখা যাবে একটু অন্য ভূমিকায়! অভিনেত্রীর কথায়, ‘’ এখানে আমি একটা গ্রামের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছি, যে অনেক আশা নিয়ে শহরে আসে কিছু করবে বলে। 



কিন্তু সে আসতে আসতে বেশ্যাবৃত্তিকে তাঁর পেশা হিসেবে বেছে নেয় এবং গল্পটা তারপর অন্যদিকে মোড় নেই।‘’ এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও জানান যে, ‘’ এই ওয়েব সিরিজে জন্য একটা ইনটিমেট সিনের শুটও করেছি, যদিও এর আগে এমন কাজ বাংলায় করিনি এবং আমার মনে হয়েছে এই সিনটা ছবির জন্য জরুরি! নয়ত শুধু শুধু অপ্রয়োজনে আমি বোল্ড সিন করতে রাজি নয়।‘’ 


অভিনেত্রীকে একটু থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ তাহলে বলছেন চরিত্রের জন্য আপনার বোল্ড সিন করতে কোনও অসুবিধা নেই?’’ হাসতে হাসতে তিনি জানালেন যে, ‘’ একদম না! শরীর নিয়ে এত ছুঁতমার্গ থাকলে অভিনয় হয় না! চরিত্রের প্রয়োজনে শরীরকে ব্যবহার করতে হবে, অভিনয়ের প্রয়োজনে শরীরকে ব্যবহার করতে হবে।‘’আগামী অক্টোবর কিংবা নভেম্বরে এই ওয়েব সিরিজটি জি-ফাইভ প্ল্যাটফর্মে আসতে চলেছে। 

( সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ 
ছবি- সংগৃহীত) 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...