সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

''পছন্দের পুরুষটি আবীরদার মতো হলেই চলবে!’’



দীপশ্বেতা মিত্র, কি চিনতে পেরেছেন? ভিডিও জকি দীপশ্বেতা মিত্র! কি তাও চিনতে অসুবিধা হচ্ছে? তাহলে বলি অভিনেত্রী দীপশ্বেতা মিত্র ! আপনি এসভিএফ প্রযোজিত ‘ ভূত চতুর্দশী’ দেখেছেন? যদি দেখে থাকেন তাহলে এতক্ষণে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন, আমি কার কথা বলছি। আর এতদিনেও যদি না দেখে থাকেন,  তাহলে বলব হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্ম কিংবা অ্যামাজন প্রাইমে দেখে ফেলুন ‘ভূত চতুর্দশী’। নবাগত দীপ্সিতা তাঁর প্রথম সিনেমায় দেখিয়ে দিয়েছেন যে তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া! তাঁর অভিনয় দক্ষতা প্রশংসা কুড়িয়েছে অজস্র দর্শকদের। শুধু তাই নয়, তাঁর সাবলীল অভিনয় অনেকদিন মনে রাখবে বাঙালী দর্শক।



কলেজ জীবন থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা, তারপর একটা সময় টানা মডেলিং এবং অতপর সঙ্গীত বাংলার ভিজিও জকি । কিন্তু এইসব কিছুকে ছাপিয়ে দীপশ্বেতার ইচ্ছে ছিল অভিনেত্রী হওয়ার , সঙ্গীত বাংলায় যখন তিনি অন্য কোনও অভিনেতা কিংবা অভিনেত্রীর সাক্ষাৎকার নিতেন তখন তিনি বারেবারে ভাবতেন, ‘আমারও এমন একটা দিন আসবে, যেদিন আমার কেউ সাক্ষাৎকার নেবে।’ 


তবে তিনি কিন্তু তাঁর কাজকে অবহেলা করেননি কখনও, যখন মডেলিং করেছেন কিংবা যখন ভিজের কাজ করেছেন, সবটাই তিনি মন দিয়ে করেছেন। তবে তাঁর জীবনেও সেই স্বপ্নের দিনটা এল যেদিন তাঁর কেউ সাক্ষাৎকার নিচ্ছে সেই একই জায়গায়, শুধুমাত্র চেয়ার দুটো পাল্টে গেছে, আজ তিনি সেই চ্যানেলের অতিথি এবং  ভিজে অন্য কেউ। আটপৌরেকে তিনি আবেগঘন হয়ে বললেন, ‘’ এটা আমার কাছে একটা স্পেশাল দিন ছিল, মানে ড্রিম কামস ট্রু!’’

অভিনেত্রী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ এই মুহূর্তে টেলিভিশন করার ইচ্ছে আছে আর পাশাপাশি সিনেমার অফার পেলে নিশ্চয় করব তবে আমি একটু বেছে নিতে ভালবাসি, মানে ব্যাপারটা একটু ঠিকঠাক হলে ভাল হয়।‘’



অভিনেত্রীকে একটু থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ মুম্বই যাওয়ার প্ল্যান আছে কি?’’ তিনি হাসতে হাসতে বললেন, ‘’ না, আমি বাংলায় বেশ ভাল আছি আর তাছাড়া মুম্বইতে লড়াইটা খুব কঠিন। বাংলা ইন্ড্রাস্টিতে অন্তত লড়াইটা করতে পারব কিন্তু ওখানে যে কী হবে কে জানে।‘’

তবে অভিনয়ের বাইরে যেটুকু সময় তাঁর হাতে থাকে সেইসময়টুকুও নিজেকে কাজের মধ্যেই রাখতে ভালবাসতেন দীপশ্বেতা মিত্র। তাঁর ইচ্ছে আছে ভবিষ্যতে ফ্যাশান ডিজাইন নিয়ে পড়াশুনা করার। শুধু তাই নয়, একটা বড় বুটিকও খোলার ইচ্ছে আছে তাঁর। আরও একটি ইচ্ছে আছে, সেটি হল গ্রীস যাওয়ার। এটিই তাঁর ড্রিম প্লেস।

প্রেমের প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করাতে তিনি জানালেন, ‘’ আমি সিঙ্গেল এবং বেশ ভালই আছি!’’ আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ পছন্দের পুরুষটি কেমন হবে ?’’ হাসতে  হাসতে তিনি জানালেন, ‘’ আবীরদার মতো হলেই চলবে!’’        


( সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ
ছবি- সংগৃহীত) 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...