সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

''আমি সবকিছুই এক্সপ্লোর করতে খুব ভালবাসি''



সিনেমার পর্দায় তাঁকে যেদিন প্রথম দেখেছিলাম, সেদিনই মনে হয়েছিল তিনি বড্ড মিশুকে! শুধু তাই নয় তাঁর সাবলীল স্বভাব সত্যিই মুগ্ধ করার মতো। আর অভিনয় দক্ষতা নিয়ে নতুন করে বলার কিংবা লেখার প্রয়োজন কি আছে? প্রতিটি দর্শক জানেন যে অভিনেত্রী পৌলমী দাস একজন দক্ষ অভিনেত্রী, তিনি তাঁর অভিনয় দক্ষতায় জোরে পৌঁছে গেছেন অগণিত দর্শকদের মণিকোঠায়। কি ভাবছেন? বাড়িয়ে বলছি? তাহলে একটু ব্যাক গিয়ার মেরে ফিরে যান সুমন মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘অসমাপ্ত’ সিনেমায়। সেদিনের নবাগত পৌলমী তাঁর প্রথম সিনেমার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি একজন লম্বা রেসের ঘোড়া। এখানেই শেষ নয়, ‘ কার্জনের কলম’, ‘ কায়া’ কিংবা ‘বউ কেন সাইকো’ ওয়েব সিরিজের কথাও মনে করতে পারেন। আর তাও যদি না চান তাহলে ‘ উড়ান’ শর্ট ফিল্মটা দেখে ফেলুন। পৌলমীর অভিনয় দক্ষতার প্রেমে আপনি না পড়ে পারবেন না!



অভিনেত্রীকে ফোন করলাম, প্রথমে বেজে গেল! হয়ত ব্যস্ত, তবে তার কিছুক্ষণের মধ্যেই রিং ব্যাক পেলাম। প্রথমে কিছুটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম! রিং ব্যাক করেছেন বলে নয়, বরং তাঁর গলা শুনে! বেশ ভারী এবং গুরুগম্ভীর একটা কণ্ঠস্বর! প্রথমে ভাবলাম ইনিই কি সেই মিষ্টি মেয়েটা, ইনিই কি সেই বাংলা ইন্ড্রাস্টির নতুন মুখ? তবে ধীরে ধীরে বুঝলাম যে তিনি বড্ড ব্যস্ত তাঁর আগামী কাজ নিয়ে। শুভ প্রামাণিক পরিচালিত ‘ কামিনী’ ওয়েব সিরিজের শুটিং চলছে পুরোদমে। এই ওয়েব সিরিজে আমরা পৌলমীকে দেখতে পাব একজন গ্রাম্য মেয়ের চরিত্রে। এখানেই শেষ নয়,আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রিলিজ করতে চলেছে শুভ্র রায় পরিচালিত তাঁর পরবর্তী ছবি ‘ঘুণ’।

ছোট থেকেই তিনি চেয়েছিলেন যে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন, অভিনয় করবেন এবং তিনি পেরেছেন। তাঁর স্বপ্ন সফল হয়েছে। তবে এতেই তিনি খুশি নন, আরও আরও কাজ করতে চান। আরও অনেক দূর তিনি যেতে চান, কবির ভাষায় অনেকটা ‘ মাইলস টু গো, বিফোর আই স্লিপ’-এর মতো।
নাচের প্রতি তাঁর অমোঘ টান। ছোট থেকেই প্রচুর অনুষ্ঠানের নজর কেড়েছেন তিনি। তারপর কলেজে পড়তে পড়তে মডেলিং-এ আসা। 



সিনেমার পাশাপাশি কাজ করেছেন বিজ্ঞাপনের ছবিতে, মিউজিক ভিডিও করেছেন। বাংলা ইন্ড্রাস্টির বাইরে গিয়েও কাজ করেছেন তবে তাঁর ভাষায়, ‘ আমি এখানে থেকেই কাজ করব। কে বলল এখানে কাজ নেই? এখানে প্রচুর কাজ আছে, শুধু তোমাকে খুঁজে নিতে হবে। নিজের অভিনয় দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে। শুধু একটাই ব্যাপার বলার যে নতুনরা যেন আরও বেশি করে সুযোগ পায় সেইদিকটা একটু দেখতে হবে।‘’

জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ বাংলার কোন অভিনেতার বিপরীতে কাজ করতে চান ?’’ অভিনেত্রী বললেন, ‘’ যিশুদা আর পরমব্রত!’’ আমি পাল্টা প্রশ্ন করলাম, ‘’ যিশুদা? ’’ ফোনের ওপার থেকে তখন শুধু হাসির শব্দ পেলাম। আবার জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ অভিনয়ের জন্য কতটা বোল্ড হতে পারেন?’’ পৌলমী জানালেন যে, ‘’ যতটা আমি দিতে পারব ঠিক ততটা! আমি প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছুই করতে চাইব না। সিনের সঙ্গে সেটা কতটা সামঞ্জস্য সেটাও দেখব। অপ্রয়োজনীয় কিছু করতে আমি ইচ্ছুক নয়।‘’  


‘’ আপনি তো ঘুরতে খুব ভালবাসেন?’’ পৌলমী বললেন, ‘’ হ্যাঁ একদম! দু’মাসে অন্তত একটা ট্যুর চাই।‘’ ‘’সামনে কোথাও যাচ্ছেন নাকি? ‘’ তিনি হাসতে হাসতে বললেন, ‘’ সবটাই কি এই সাক্ষাৎকারে বলে দেবো?’’

আবারও জিজ্ঞাসা করলাম ‘’ আপনি কি সিঙ্গেল?’’ তিনি হাসতে হাসতে বললেন, ‘’ ইয়েস! হ্যাপিলি সিঙ্গেল।‘’ আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ সত্যি?’’ তিনি বললেন, ‘’ হ্যাঁ! এখন শুধু কাজে মন দিতে চাই। নতুন নতুন কাজ করতে চাই, নতুন নতুন চরিত্রে অভিনয় করতে চাই আর নতুন জায়গায় যেতে চাই! আমি এক্সপ্লোর করতে খুব ভালবাসি, সেটা অভিনয় হোক কিংবা ঘোরার জায়গা।‘’সবশেষে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ আপনার পছন্দের পুরুষটি কেমন হবে?’’ অভিনেত্রী একগাল হাসি নিয়ে বললেন, ‘’ ভিকি কৌশলের মতো হলেই হবে।‘’  


( সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ
ছবি- সংগৃহীত) 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...