সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

স্কুল, কলেজে থাকাকালীন নাটক করতেন। এমনকি স্কুলের পর টিউশানি ফাঁকি দিয়ে চলে যেতেন রিহার্সালে!



অভিনেতা সৌমেন্দ্র ভট্টাচার্যের ছোট থেকেই অভিনয়ের প্রতি শখ! স্কুল, কলেজে থাকাকালীন নাটক করতেন। এমনকি স্কুলের পর টিউশানি ফাঁকি দিয়ে চলে যেতেন রিহার্সালে! কী, চিনতে পারছেন না বুঝি কার কথা বলছি? তাহলে একটু ভেঙে বলি। ‘ দুপুর ঠাকুরপো’ ওয়েব সিরিজটি খেয়াল আছে ? মনে পড়ে সেই গিটার গলায় ছেলেটিকে ? যার পোশাকি নাম ছিল ‘এমটিভি’! সেই ডানপিঠে ছেলেটিই আসলে সৌমেন্দ্র

এককালে ‘ ম্যাড অ্যাবাউট ড্রামা’তে নাটক করতেন নিয়মিত। তারপর অনেকটা স্বপ্নের  উড়ানের মতো একেবারে স্পট লাইটের নীচে চলে আসা। পড়াশুনা মাঝপথেই থামিয়ে দিয়ে একেবারে সিনেমার জগতে ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। পুরনো দিনের কথা বলতে গিয়ে তিনি আটপৌরেকে জানালেন যে, ‘’ আমি প্রেসিডেন্সির ছাত্র ছিলাম। কিন্তু কোর্সটা শেষ করা হয়নি। কিউ পরিচালিত ‘ লুডো’তে ডাক আসে হঠাৎ। তখনই সবকিছু ছেড়ে দিয়ে একেবারে অভিনয়ের জন্য ঝাঁপিয়ে পরি।‘’
যে সময় তিনি তাঁর পড়াশুনা ছেড়েছেন, সেটাই ছিল আসলে তাঁর জীবনের টারনিং পয়েন্ট। 



আসলে জীবন সবাইকেই সুযোগ দেয়, শুধু সেই সময়টা বুঝে নিতে হয় আর অভিনেতা সৌমেন্দ্র সেটাই বুঝে নিয়েছিলেন। তিনি জানালেন, ‘’ আমার পরিবারের কেউই এই লাইনের সঙ্গে যুক্ত নয়। অনেক ভেবে আমি এই রিস্কটা নিয়েছিলাম।‘’ এখানেই শেষ নয় একটু থেমে তিনি আরও জানালেন, ‘’ এই সিনেমাটা করার পর দুবছর বসে ছিলাম। কোনও কাজ পাচ্ছিলাম না। আসলে সিনেমাটা রিলিজ করতে দেরি হয়েছিল। তবে তারপর আস্তে আস্তে কাজ আসতে শুরু করে। কিন্তু ওই দু-বছর খুব বাজে কেটেছিল।‘’

আসলে প্রত্যেকতা ভাল সময়ের আগে বাজে সময় আসে, এটাই হয়ত নিয়ম।  তারপর একের পর এক ছবিতে তাঁর অভিনয় দক্ষতা সবার প্রশংসা কুড়োয়। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে, কিউ পরিচালিত ‘ লুডো’, অঞ্জন দত্ত পরিচালিত, ‘ ব্যোমকেশ এবং অগ্নিবান’। এছাড়াও ‘ দুপুর ঠাকুরপো’, ‘চরিত্রহীন’, ‘ বিগ স্টাড ০০৭’ এর মতো ওয়েব সিরিজ। ‘ বি- মাইনর’, ‘ উইথ লাভ সিজিন’ এর মতো স্বল্প দৈর্ঘ্যের সিনেমা। সদ্য মুক্তি পেতে চলেছে ‘ ভূত চতুর্দশী’, ‘টেনিদা অ্যান্ড কো’ এছাড়াও ‘ অ্যালবাম ( ওয়েব সিরিজ), উদান (স্বল্প দৈর্ঘ্যের সিনেমা)।



অভিনেতাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ যদি অভিনয় না করতেন তাহলে কী করতেন ?’’ অভিনেতা হাসতে হাসতে উত্তর দিল, ‘’ হয়ত কোনও ব্যাঙ্কে চাকরি করতাম। ‘’ আবার জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ অবসর সময়ে কী করেন ?’’ তিনি জানালেন, ‘’ আমি আসলে যে চরিত্রটা পায় সেটা নিয়েই থাকি। সেটাকে কীভাবে আরও ভাল করা যায়, সেই চেষ্টাই করি। এছাড়াও সিনেমা দেখি, ওয়েব সিরিজ দেখি, বই পড়ি।‘’



সৌমেন্দ্র আরও কাজ করে যেতে চান। আরও ভাল ভাল সিনেমা দেখতে চান। অভিনয় দক্ষতা আরও বাড়াতে চান। তিনি জানালেন, ‘’ সব জায়গায় কাজ করার ইচ্ছে আছে, সেটা বাংলা হোক কিংবা বাংলার বাইরে অথবা দেশের বাইরে। ‘’

সবশেষে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ প্রেম নিয়ে কী বলবেন ?’’ তিনি হাসতে হাসতে জানালেন, ‘’ এই জিনিসটাই বড্ড ব্যথা পেয়েছি। ওটা থাক!’’  

( সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ 
ছবি- সংগৃহীত) 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...