সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

‘ ভূত চতুর্দশী' নিয়ে কী জানালেন এনা সাহা, জেনে নিন


বাঙালিরা কিন্তু ভূতে ভয় পায় অথবা বলা ভাল, ভূতে ভয় পেতে ভালবাসে। বাংলা সিনেমার ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, প্রায় সব ভূতের সিনেমাই কমার্শিয়ালি সাকসেকফুল। যদিও সেইভাবে বাংলায় ভূতের সিনেমা হয় না, এমনই অভিযোগ ছিল বাংলা সিনেমার অগণিত দর্শকদের। তবে সেই অভিযোগকে নস্যাৎ করে এই মাসেই মুক্তি পেতে চলেছে, ‘ ভূত চতুর্দশী’। এসভিএফ প্রযোজিত এই ছবি মুক্তি পাচ্ছে মে মাসের ১৭ তারিখ।

সাব্বির মালিকের পরিচালনায় এই ছবিতে দেখা যাবে আরিয়ান ভৌমিক, এনা সাহা, সৌমেন্দ্র ভট্টাচার্য এবং দিপ্সিতা মৈত্রকে। ছবির গল্প লিখেছেন মৈনাক ভৌমিক এবং সাউন্ডস্কেপ করেছেন নবারুন বসু এবং টিটো।

বাংলা সিনেমার একেবারে ‘ ইয়ং জেনারেশন’ নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ছবিটি। এখানে যেমন একদিকে রয়েছে বন্ধুত্বের গল্প ঠিক অন্যদিকে রয়েছে একটা ভূতুরে অভিজ্ঞতার কথা।‘ ভূত চতুর্দশী’  সাব্বির মালিকের ‘ডেবিউ’ সিনেমা হলেও, অভিনেত্রী এনা সাহা পরিচালক এবং পুরো ইউনিটের ভূয়সী প্রশংসা করলেন। তিনি আটপৌরেকে জানালেন, ‘’ এই কাজটা করতে খুব মজা পেয়েছি। পুরো ইউনিটটা খুব ভাল। প্রচণ্ড মিলেমিশে কাজ করেছি সবাই।‘’



গল্পের মূলে রয়েছে চার বন্ধু আর একটা ভূতুরে বাড়ি। আরিয়ান ওরফে রানো সিনেমা ভালবাসে। ওর পরিচালনা করার খুব শখ। একটা ডকুমেন্টারি শুট করার জন্য রানো এই বাড়িটা বেছে নেয়। রানোর বিপরীতে আমরা দেখতে পাবো শ্রেয়া অর্থাৎ এনাকে। রানো এবং শ্রেয়া একে অন্যকে ভালবাসে। এনা সাহার কথায়, ‘’ ওরা একটা সিরিয়াস রিলেশানে আছে!’’ রানো একটা রোড ট্রিপের প্ল্যান করে। শুধু তাই নয়, ওরা ওদের বন্ধু দেবু ওরফে সৌমেন্দ্র এবং পৃথা ওরফে দিপ্সিতা এই রোড ট্রিপে ওদের সঙ্গে যেতে বলে। শ্রেয়া এবং পৃথা একে অপরের খুব ভাল বন্ধু! দেবু এবং পৃথা একে অন্যকে ভালবাসলেও ওরা এই ব্যাপারে একটু উদাসীন।



যদিও এই রোড ট্রিপের প্ল্যান আদতে শেষ হয় একটি ভূতুরে বাড়িতে। সেখানেই লুকিয়ে আছে সিনেমার ইউএসপি। কী হয় সেখানে? রানো নাকি শ্রেয়াকে প্রপোজ করে নাকি একটা ভূতুরে অভিজ্ঞতা ঘেঁটে দেয় ওদের জীবন ? অভিনেত্রী এনা সাহা জানালেন, ‘’ সিনেমা বলে নয়, আমরা যখন ওখানে শুট করছিলাম, তখনও আমরা বেশ কিছু নেগেটিভ এনার্জি অনুভব করেছিলাম!’’ জিজ্ঞাসা করলাম তারপর ? এনা সাহা জানালেন, ‘’ বাকিটা জানতে হলে, আসতে হবে সিনেমা হলে। আশা করি, কাউকে আমরা চেয়ার ছেড়ে উঠতে দেবো না। আট থেকে আশি সবাই আসুন সিনেমাটি দেখতে। আশা করি আপনাদের সবার ভালই লাগবে।‘’      

( সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ 
ছবি- এনা সাহার থেকে সংগৃহীত) 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...