সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আটপৌরে কী জানালেন অভিনেত্রী শ্রীতমা দে ওরফে 'জন্নত', জেনে নিন



অভিনেত্রী হবেন, এটা কখনও ভাবেননি। তবে অনেক ছোট বয়স থেকেই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে অভিনেত্রীদের মতো ভাবাটা তাঁকে পেয়ে বসেছিল। তাঁর বাবা- ঠাকুরদা অনেকদিন ধরেই নাটকের সঙ্গে যুক্ত। তাই হয়ত অভিনয়টা তাঁর রক্তেই আছে। শুধু সেটাকে বাইরে আনার অপেক্ষা ছিল। আর সেই অপেক্ষার অবাসান ঘটাল ‘হইচই’। দেবালয় ভট্টাচার্য-এর ‘চরিত্রহীন’ ছিল তাঁর অভিনীত প্রথম ওয়েব সিরিজ। তারপর ‘ ধানবাদ ব্লুজ’ তাঁকে স্পট লাইটের সামনে নিয়ে আসে। বাঙালী দর্শকের কাছে অভিনেত্রী শ্রীতমা দে হয়ে ওঠেন ‘জন্নত’। তাঁর অভিনয়ের দক্ষতা প্রশংসা কুড়োয় সবমহলে। তাঁর এই অভিনয়ের ছোট্ট জার্নিটাকে আরও মসৃণ করে তোলে একটা থ্রিলার ওয়েব সিরিজ।



অভিনেত্রীর কথায়, ‘’ আমি যেটা করি, সেটা খুব মন দিয়ে করি। ছোট থেকেই পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। অন্য দিকে মন দিইনি। আমি যখন কলেজের ফাইনাল ইয়ারে, তখন একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার হোডিং দেখে ভাবি ‘ একবার তো ট্রাই করে দেখতে পারি, কী হয়!’’ আর তাঁর সেই ‘ট্রাই’ করে দেখাটা আজ হয়ত তাঁকে এই মাইলেজটা দিয়েছে।

প্রথমে তিনি ছিলেন ইনটেরিয়র ডিজাইনার। তারপর সেই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় রানার আপ হওয়ার পর কিছুদিন মডেলিং করেছেন এবং ২০১৭ সালে বাংলা ধারাবাহিক ‘ গুরুদক্ষিণা’ দিয়ে তাঁর ছোটপর্দায় আসা। এবং তারপর বাকিটা বাংলা ওয়েব সিরিজের দর্শকেরা জানেন।

‘ ধানবাদ ব্লুজে’ তিনি একটি বোল্ড চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর চরিত্রের নাম ‘ জন্নত’। তবে অভিনেত্রী শ্রীতমা দে আটপৌরেকে জানালেন যে, ‘’ প্রথমে চরিত্রের কথাটা শুনে একটু ইতস্তত করছিলাম। কারণ এটা আমার কেরিয়ারের একেবারে প্রথম দিকের কাজ। দর্শকেরা এটাকে কীভাবে নেবে, এছাড়া এর পর আদেও কাজ পাবো কিনা এইসব ব্যাপারে টেনশন ছিল। কিন্তু পরিচালক সৌরভ পুরো ব্যাপারটাকে খুব সহজ করে দিয়েছে। এছাড়া পুরো টিমের সবাই খুব হেল্পফুল। আমার কোথাও গিয়ে মনেই হয়নি এত বড় স্টারদের সঙ্গে কাজ করছি।‘’

ইতিমধ্যে তিনি সায়ন বসুর একটি ফিচারে কাজ করছেন। তিনি আটপৌরেকে আরও জানালেন যে , ‘’ ‘ধানবাদ ব্লুজ’ করার পর ওই রকমের আরও অনেক চরিত্রের অফার এসেছিল, কিন্তু সেগুলো নাকচ করে দিই। এই মুহূর্তে একটু অন্য চরিত্রগুলোয় নিজেকে ঝালিয়ে নিতে চাই। তবে পরবর্তী কালে এই ধরণের চরিত্রের অফার এলে নিশ্চয় করব, তবে গল্পটা যেন ভাল হয়।‘’



অভিনেত্রী ওয়েব সিরিজ দেখতে বড্ড ভালবাসেন। তিনি জানালেন বিক্রম ভাটের ‘ টুইসটেড’ ওয়েব সিরিজটি তাঁর ফেভারিট। পরবর্তী কালে অবশ্যই মুম্বই গিয়ে কাজ করার ইচ্ছে আছে, তবে তাঁর আগে নিজের পায়ের তলার মাটিটা তিনি আরও শক্ত করতে চান।



ঘুরতে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানেলন যে, ‘’ আমার নর্থ সিকিম যাওয়ার বড্ড ইচ্ছে। তবে এখনও যাওয়া হয়নি।‘’ তিনি আটপৌরেকে আরও জানেলন যে, ‘’ আমি জিম করি না। তবে বুঝে খাওয়া- দাওয়া করি।‘’         

( সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ 
ছবি- শ্রীতমা দে-এর থেকে সংগৃহীত) 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...