সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আটপৌরের মুখোমুখি মডেল-অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা দে



কথায় আছে, ভালর কোনও শেষ নেই। আমরা জীবনে এক একটা ধাপ পেরোয় এবং ভাবি এর চেয়েও আরও ভাল কিছু করতে হবে, আরও ভাল ভাবে বাঁচতে হবে।  আমাদের রোজকার ভিড়ের মধ্যে ভিড় না হয়ে অন্য কিছু হয়ে উঠতে হবে।

সেই দিনের সেই মেয়েটা যে ভিড় ট্রেনে ভিড় হয়ে এসে উঠেছিল এই শহরে, সে কিন্তু আজ ভিড় থেকে নিজের অন্য পরিচয় গড়ে তুলেছেন। নিজের নামের আগে মডেল-অভিনেত্রীর তকমা পেয়েছেন।



প্রিয়াঙ্কা দে-এর ছোট থেকে মডেলিং কিংবা অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল। তাঁর কথায় ‘’ আমি মুগ্ধ হয়ে সুস্মিতা সেন, ঐশ্বর্য রায় ওনাদের ফলো করতাম। খুব মন দিয়ে সিনেমা দেখতাম। ইচ্ছে ছিল একদিন ওনাদের মতো কাজ করব।’’ একটু থেমে তিনি জানালেন, ‘’ তবে প্রথম দিকে বাড়ির থেকে খুব একটা সাপোর্ট পায়নি, কিন্তু পরে খুব সাপোর্ট পেয়েছি।‘’



একসময়ে তিনি প্রচুর রিয়্যালিটি শো’তে অংশগ্রহন করেছেন।  আর সেই জায়গা থেকেই তিনি পেয়ে যান তাঁর জীবনের চলার সিঁড়ি।  তাঁর কাছে ফোন আসে একটি রিয়্যালিটি শো- এর প্রমোর শুটের জন্য। যদিও খুব ছোট্ট একটি রোলে তিনি অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু  সেই থেকেই তাঁর পথচলা। তারপর একের পর এক ম্যাগাজিনের ফটো শুট, এছাড়াও একাধিক নামী ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন, শর্ট ফিল্ম, সিনেমা। তিনি  একটি বিখ্যাত গহনা প্রস্তুত কারক সংস্থার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।  



তাঁর ঝুলিতে রয়েছে অয়ন চক্রবর্তী পরিচালিত ‘ যুধিষ্ঠির’। এছাড়াও ‘ সেই মেয়েটি’, ‘ এক যে আছে অপ্সরা’, ‘ রক্তকরবী’-এর মতো সিনেমা।  সদ্য মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ছবি ‘ মহালায়’। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়াও এসআরএফটিআই-এর প্রচুর শর্ট ফিল্মে তাঁকে দেখা গিয়েছে। শুধু কলকাতায় নয়, কলকাতার বাইরেও তিনি কাজ করেছেন।



তাঁর কথায় ‘’ যখন ট্রেনে করে কলকাতায় যেতাম, তখন প্রতিটি ষ্টেশনের পাশে ওই বিজ্ঞাপনের হোডিংগুলো দেখতাম আর ভাবতাম, কবে আমারও ছবি থাকবে ওই হোডিংগুলোয়।‘’ একটু থেমে তিনি আবার জানালেন, ‘’ আজ বেশ ভাল লাগে যখন আমার ছবি ওই হোডিংগুলোয় থাকে। তবে এখনও অনেক দূর যেতে হবে। অনেক কাজ করতে হবে।‘’

তাঁর খুব প্রিয় জায়গা রোম। তাঁর ইচ্ছে আছে জীবনে অন্তত একবার রোমে যাওয়ার। গ্রীসও তাঁর খুব প্রিয় জায়গা।                     

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...