কথায় আছে, ভালর কোনও শেষ নেই। আমরা জীবনে এক একটা ধাপ পেরোয় এবং ভাবি এর চেয়েও
আরও ভাল কিছু করতে হবে, আরও ভাল ভাবে বাঁচতে হবে।
আমাদের রোজকার ভিড়ের মধ্যে ভিড় না হয়ে অন্য কিছু হয়ে উঠতে হবে।
সেই দিনের সেই মেয়েটা যে ভিড় ট্রেনে ভিড় হয়ে এসে উঠেছিল এই শহরে, সে কিন্তু আজ
ভিড় থেকে নিজের অন্য পরিচয় গড়ে তুলেছেন। নিজের নামের আগে মডেল-অভিনেত্রীর তকমা পেয়েছেন।
প্রিয়াঙ্কা দে-এর ছোট থেকে মডেলিং কিংবা অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল। তাঁর কথায় ‘’
আমি মুগ্ধ হয়ে সুস্মিতা সেন, ঐশ্বর্য রায় ওনাদের ফলো করতাম। খুব মন দিয়ে সিনেমা দেখতাম।
ইচ্ছে ছিল একদিন ওনাদের মতো কাজ করব।’’ একটু থেমে তিনি জানালেন, ‘’ তবে প্রথম দিকে
বাড়ির থেকে খুব একটা সাপোর্ট পায়নি, কিন্তু পরে খুব সাপোর্ট পেয়েছি।‘’
একসময়ে তিনি প্রচুর রিয়্যালিটি শো’তে অংশগ্রহন করেছেন। আর সেই জায়গা থেকেই তিনি পেয়ে যান তাঁর জীবনের চলার
সিঁড়ি। তাঁর কাছে ফোন আসে একটি রিয়্যালিটি
শো- এর প্রমোর শুটের জন্য। যদিও খুব ছোট্ট একটি রোলে তিনি অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু সেই থেকেই তাঁর পথচলা। তারপর একের পর এক ম্যাগাজিনের
ফটো শুট, এছাড়াও একাধিক নামী ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন, শর্ট ফিল্ম, সিনেমা। তিনি একটি বিখ্যাত গহনা প্রস্তুত কারক সংস্থার সঙ্গেও
যুক্ত ছিলেন।
তাঁর ঝুলিতে রয়েছে অয়ন চক্রবর্তী পরিচালিত ‘ যুধিষ্ঠির’। এছাড়াও ‘ সেই মেয়েটি’, ‘ এক যে আছে
অপ্সরা’, ‘ রক্তকরবী’-এর মতো সিনেমা। সদ্য
মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ছবি ‘ মহালায়’। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মেয়ের চরিত্রে
অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়াও এসআরএফটিআই-এর প্রচুর শর্ট ফিল্মে তাঁকে দেখা গিয়েছে। শুধু
কলকাতায় নয়, কলকাতার বাইরেও তিনি কাজ করেছেন।
তাঁর কথায় ‘’ যখন ট্রেনে করে কলকাতায় যেতাম, তখন প্রতিটি ষ্টেশনের পাশে ওই
বিজ্ঞাপনের হোডিংগুলো দেখতাম আর ভাবতাম, কবে আমারও ছবি থাকবে ওই হোডিংগুলোয়।‘’
একটু থেমে তিনি আবার জানালেন, ‘’ আজ বেশ ভাল লাগে যখন আমার ছবি ওই হোডিংগুলোয়
থাকে। তবে এখনও অনেক দূর যেতে হবে। অনেক কাজ করতে হবে।‘’
তাঁর খুব প্রিয় জায়গা রোম। তাঁর ইচ্ছে আছে জীবনে অন্তত একবার রোমে যাওয়ার।
গ্রীসও তাঁর খুব প্রিয় জায়গা।
I am very proud of you and your achievements, may God bless you with lot more meaningful and successful assignments,
উত্তরমুছুন