সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আটপৌরেকে কী জানালেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা, জেনে নিন

তিনি কোনওদিন ভাবেননি যে অভিনয় করবেন। শুধু তাই নয়, তিনি ভেবেছিলেন শিক্ষক কিংবা অধ্যাপক হবেন। তবে আমরা সবসময়  যা ভাবি কিংবা যেটা করতে চাই, সেটা হয় না। অনেক সময় তার চেয়ে বেশি কিছু ভাল হয়ে যায়। ঠিক তেমনি অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতার জীবনেও ঘটেছে।  তিন বছর বয়স থেকে নাচের সঙ্গে যুক্ত। মধ্যিখানে ভেবেও ছিলেন যে, তিনি নৃত্যশিল্পী হবেন। কিন্তু সেটাও হয়ে ওঠা হয়নি। ফ্যাশান ডিজাইনিং-এর কোর্স থেকে প্রথমে মডেল, তারপর বাংলা সিরিয়ালের মঞ্চে, এবং তারপর সিনেমা। এখানেই শেষ নয়, এছাড়াও তিনি করেছেন বেশকিছু শর্ট ফিল্ম, বিজ্ঞাপনের ছবি, এবং মিউজিক ভিডিও।   কেরিয়ারের কিছুটা সময় একটি বাংলা মিউজিক চ্যানেলের ভিজেও ছিলেন। টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতার কেরিয়ার গ্রাফ যদিও একই ভাবে থাকেনি।   সিরিয়ালের শুটিং সেরে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর একটি দুর্ঘটনা ঘটে।   সেই জন্য প্রায় দেড় বছর তিনি এইসব কিছুর নিজেকে বিরত রাখেন। তারপর আবার সুস্থ হয়ে তিনি ফ্লোরে ফিরে আসেন। তবে সেই সময়টা তিনি ভিজে হিসেবে কাজ করেছেন। সায়ন্তনীর কথায়, ‘’ সেই সময় সিরিয়ালের শুটিং-এর চাপ নিতে পারতাম না। শারীরিক ভাবে তখন...

শাশুড়ি- বউমার গল্প নিয়ে পরিচালক পৃথা চক্রবর্তী কী জানালেন আটপৌরেকে, জেনে নিন

শাশুড়ি এবং বউমার মধ্যে মিল নেই! ঝগড়া হয় রোজ। চুন থেকে পান খসলেই বেঁধে যায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। হ্যাঁ, এটা দেখে আমরা অভ্যস্ত। মধ্যবিত্ত বাঙালি বাড়িতে এটা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। কিন্তু সব কিছুর যেমন বাজে দিক আছে , ঠিক তেমনি ভাল দিকও আছে। ‘ মুখার্জিদার বউ ’ এমনই গল্প বলে। শাশুড়ি- বউমার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। পরিচালক পৃথা চক্রবর্তী সঙ্গে কথা বলে জানা গেল যে সিনেমাটি রিলিজ করছে আগামী ৮ মার্চ, অর্থাৎ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন। এর আগে বাংলা সিনেমায় নারীদের নিয়ে নারীদিবসে এমন রিলিজ যে কবে হয়েছে সেটা বলাই বাহুল্য। পরিচালক আরও জানালেন যে, ‘’ এই সিনেমায় নারীদের আইডেন্টিটি ক্রাইসিস নিয়ে বলা হয়েছে। বিশেষত বিয়ের পর নারীদের অমুকের বউ বলে সম্বোধন করা হয়ে থাকে। এর মাঝে সে নিজের আসল পরিচয়টা হারিয়ে ফেলে।‘’ পৃথা চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ এখনকার দিনে বাংলা সিরিয়াল খুললেই তো শাশুড়ি-বউমার ঝগড়া দেখা যায়। এটা তো খুব কমন। আপনি হঠাৎ এটা নিয়ে সিনেমা বানাতে গেলেন কেন ?’’   উত্তরে পরিচালক জানালেন, ‘’ সিরিয়াল অন্য কথা বলে। সেখানে হয়ত সমস্যাগুলো দেখানো হলেও সমাধানগুলো...

জয়ী যেদিন মারা গেল, মনে হয়েছিল আমার শরীর থেকে আত্মাকে কেউ কেড়ে নিয়েছে।

বছর দশেক পর আদিত্য ঘোষ শেষ পর্ব  (৯) ‘’ মনে পরে, তুমি এই ছাদে দাঁড়িয়েই সব শেষ করে চলে গেছিলে!’’ ‘’ হুম। তোর ভালর জন্য।‘’ ‘’ আমার ভাল চাইলে তুমি কোনওদিনই আমাকে এইভাবে এড়িয়ে যেতে না।‘’ ‘’ পাগল! তুই একটা মস্ত পাগল।‘’ ‘’ তুমি কোনওদিনই আমাকে বোঝোনি।‘’ ‘’ সেই রে, তোকে না বুঝলে কোনওদিনই তোকে এড়িয়ে যেতে পারতাম না।‘’ ‘’ মানে? ‘’ আমি আবাক হয়ে জয়ীর দিকে তাকালাম। ‘’ জানিস, জীবনে এমনভাবে কাউকে কোনওদিন এড়িয়ে যাইনি, যে ভাবে তোকে এড়িয়ে গেছি।‘’ ‘’ কিন্তু কেন? ‘’ ‘’ তোকে ভালবাসতাম তাই, তোকে কোনওদিন হারাতে চাইনি। সেই জন্যই তো তোর থেকে দূরে চলে যেতাম।‘’ ‘’ দূরে গিয়ে কাউকে ভালবাসা যায়?’’ ‘’ আরও বেশি যায়।‘’ ‘’ তোমার কথা কিচ্ছু বুঝতে পারছি না।‘’ ‘’ তুই এখনও বাচ্ছা আছিস।‘’ জয়ীর মুখে সেই হাসিটা আবার দেখতে পেলাম। সেই উচ্ছ্বাস, যেটা দেখে আমি ওর প্রেমে পাগল হয়ে গেছিলাম। আমি জয়ীকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ তুমি কী বলতে চাইছ, সেটা স্পষ্ট করে বল তো। এত হেঁয়ালি ভাল লাগছে না।‘’ ‘’ আমি তোর কাছে থাকলে, তুই আজ এত বড় লেখক হতে পারতিস ? ‘’ হ্যাঁ, আলবাত পারতাম।‘’   ...

যেদিন বাড়ি ছেড়ে চলে গেছিলাম, সেদিন আমার সেই ছাদটার জন্য মন কেমন করছিল।

বছর দশেক পর দ্বিতীয় পর্ব আদিত্য ঘোষ (৫) ‘’ জানো, কোনওদিন ভাবিনি যে আমার বইগুলো এত বিক্রি হবে।‘’ ‘’ আমি কিন্তু জানতাম।‘’ জয়ীর চোখের দিকে তাকালাম। সেই দশ বছর আগের দিনগুলো মনে পরে গেল। ঠিক ও আমার দিকে যে ভাবে তাকাত, সেই দৃষ্টি। সেই আদরমাখা অনুভূতি। একটু থেমে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ কী করে জানতে ?’’  জয়ী একটু হেসে বলল, ‘’ সব কিছু ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। কিছু কথা বুঝে নিতে হয়।‘’ ‘’ তুমি আমার লেখার কোনওদিনই প্রশংসা করোনি।‘’ জয়ী ওই দূরের বটগাছের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘’ প্রশংসা করিনি ঠিকই কিন্তু কোনওদিনই বাজেও তো বলিনি।‘’ ‘’ শুধু একটা দুঃখই রয়ে গেল।‘’ ‘’কী?’’ জয়ী জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকাল ‘’ মাঝের যে সময়টা তুমি আমাকে এড়িয়ে গেছো, যে সময়টা তুমি ইচ্ছে করে পালিয়ে যেতে...’’ জয়ী আমার কথা থামিয়ে বলল, ‘’ থাক! বাকিটা আর বলতে হবে না। তুই এখনও বাচ্ছাই রয়ে গেলি।‘’ ‘’ এখনও কেন, হয়ত তোমার কাছে সারাটা জীবনই এইরকম থেকে যাব।‘’ ‘’ তবে তুই এখন অনেক পরিণত, অনেক এসট্যাবলিস্ট।‘’ ‘’হুমম। কিছুটা, এখন অনেকটা পথ আছে।‘’ ‘’ তোর কেরিয়ারে ওটাই টারনিং পয়েন্ট।‘’ ‘’ কোনটা ?...

কলকাতা বইমেলা এবং......

                                                       কলকাতা বইমেলা এবং... সুচন্দ্রা সিংহ                                                                                 ছবি- নিজস্ব ছোটবেলার 'টিনটিন' থেকে কৈশোরের 'চাঁদের পাহাড়', যৌবনের উদ্দীপনায় 'হারিয়ে যাওয়ার টিকিট' থেকে বার্ধক্যের অবসরে  'দেশ - গল্পসংকলন'; এই সবকিছুর মাঝেই ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে বই। আর সেই নানান স্বাদের বইয়ের মেনু নিয়ে এবারও হাজির আমাদের বইমেলা। আমাদের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা।          বইপোকা বা বইপ্রেমীদের ঠিকানা এই বইমেলায় এবারও উপচে পড়ছে ভিড়। দুপুর না গড়াতেই সবাই হাজিরা দিচ্ছেন প্রিয় বইগুলো দেখে শুনে পছন্দ করে নিয়ে যাওয়ার জন্য। পুরোনো বইয়...

উসষীর পছন্দের পুরুষটি কে,কী জানালেন আটপৌরেকে, জেনে নিন

আমরা যে মানুষগুলোকে টেলিভিশনের পর্দায় দেখে অভ্যস্ত , তাঁদের সম্বন্ধে আমাদের জিজ্ঞাসা অসীম । আর যদি তিনি আমাদের প্রিয় ব্যক্তি কেউ হন , তাহলে তো কথায় নেই ।   একরাশ প্রশ্ন নিয়ে মনে হয় , ছুটে যায় তাঁর কাছে । গিয়ে জিজ্ঞাসা করি নানান প্রশ্ন । তবে এই ভয়টাও থাকে যে , তিনি কেমন হবেন ? মানে যেমন পর্দায় দেখি , তেমন কি ? নাকি সম্পূর্ণ অন্যরকম ? তবে কিছুক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও ঘটে । অনেক সময় সেই বিখ্যাত মানুষগুলো অবিকল বাস্তবের গল্পের মতো হয় । ফোনের এপারে আমি আর ওপারে উসষী রায় ! হ্যাঁ, নামটা অপরিচিত হতে পারে, কিন্তু মুখটা নয়। বাঙালীর প্রিয় সিরিয়ালের যদি তালিকা করা যায়, তাহলে প্রায় নব্বই শতাংশ মানুষের পছন্দের তালিকায় থাকবে ‘ বকুল কথা’। আর এই উসষী রায় হলেন আমাদের প্রিয় ‘বকুল’।   আসল নামটা ছাপিয়ে ‘ বকুল ’ নামেই তিনি পরিচিত হয়ে উঠেছেন বাংলার অসংখ্য দর্শকের কাছে । রাত ন ’ টা মানেই ‘ বকুল কথা ’ । আমরা ঠিক যে ভাবে ‘ বকুল ’ কে সিরিয়ালের পর্দায় দেখে অভ্যস্ত , অভিনেত্রীর কথা অনুয়ায়ী তিনি বাস্তবে কিন্তু ঠিক উল্টো ! তবে একটা কথা বলতেই হচ্ছে , তিনি সিরিয়ালের পর্দায় যতটা মিশুকে , ব...