সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

‘মিসেস ইন্ডিয়া উইনিভারস আর্থ ২০১৮’-এর খেতাব জয়ী অপ্সরা কী জানালেন আটপৌরেকে, জেনে নিন

যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন! হ্যাঁ, বাঙালী নারীরা চিরকালই মাল্টি-টাস্কার। তিনি যেমন হেঁসেল সামলে বাড়ির সমস্ত কাজ নির্দ্বিধায় করে দিতে পারেন, ঠিক তেমনি বাঙালীর চিরাচরিত রুচিবোধের বাইরে গিয়ে র‍্যাম্পেও ঝড় তুলতে পারেন। মাথায় পরতে পারেন শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা। তিনি পেতে পারেন ‘মিসেস ইন্ডিয়া উইনিভারস আর্থ’ এর খেতাব। অপ্সার গুহঠাকুরতা আবারও প্রমাণ করে দিয়েছেন বাঙালীরা লড়াই করতে জানে, শুধু তাই নয় লড়াই করে শ্রেষ্ঠ হতেও জানে। ‘মিসেস ইন্ডিয়া উইনিভারস আর্থ ২০১৮’-এর খেতাব জেতার পর থেকেই অপ্সরার জীবনটা কিন্তু কিছুটা হলেও বদলে গিয়েছে। এখন তাঁর ভাবনাগুলো আরও পরিণত হয়েছে। তিনি আরও অনেক দূর অবধি যেতে চান। নিজে লড়াই করতে চান। বাংলাকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে যেতে চান। অপ্সরার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তিনি কিন্তু একটা সময় শিক্ষাকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রায় বছর দশেক কলকাতার বিভিন্ন বেসরকারী স্কুলে শিক্ষাকতা করেছেন। পাশাপাশি তাঁর একটি নাচের গ্রুপও আছে। বর্তমানে সময়ের অভাবে তিনি নিজেই সেই নাচের গ্রুপকে কিছুটা ছোট করে দিয়েছেন, কিন্তু নাচ তাঁর জীবনের একটা বড় অংশ। ছোট থেকেই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক...

এখনও আমার আর মৃদুলের কানে সেই কথাটা বারবার বাজে, ‘’ সব প্রেমের কোনও ভবিষ্যৎ নেই,সব সম্পর্কের পরিণতি হয় না।‘’

বিভোর শেষ পর্ব আদিত্য ঘোষ (১৩) সব সম্পর্কের পরিণতি হয় না। সব সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত মর্যাদা পায় না। কিছু সম্পর্ক মাঝ পথে ছেড়ে দিতে হয়। হয়ত এটাই শ্রেষ্ঠ পথ, হয়ত এটাই ভবিতব্য। মৃদুল যতই খুশি থাকুক না কেন, মৃদুল জানত তাঁর মা এই সম্পর্ক মেনে নেবেন না। এমনিতেই মৃদুল আর সোহাগের সম্পর্কটা অনেক দূর এগিয়েছে। তারা এখন একে অপরকে একদিন না দেখে থাকতে পারে না। দুজন এখন দুজনের সর্বক্ষণের সঙ্গী।   আর মিছিল ওদের চোখের মনি। সোহাগ যেটুকু সময় অফিসে থাকে, সেই সময়টুকুর জন্য একজন আয়া রাখা আছে আর বাকি সময়টা মৃদুল নয়ত সোহাগ ওর সঙ্গে থাকে। এইভাবেই ওদের দিনগুলো কেটে যাচ্ছে। কিন্তু মৃদুল জানে, এই সম্পর্কটা একদিন ঠিক শেষ হবে। কারণ সমাজের চোখে এই সম্পর্কটা অর্থহীন। এমনিতেই সোহাগ মৃদুলের চেয়ে বয়সেও অনেকটা বড়। এখন তো সোহাগ মাঝে মধ্যেই মৃদুলকে তুই তুই বলেও ডাকে। কিন্তু মৃদুল সোহাগকে তুমি বলেই সম্বোধন করে। ওরা জানে না ভবিষ্যতে ওদের জন্য কী লেখা আছে। ওরা শুধু নিজেদের প্রেমেই মত্ত। ‘’ তুমি বাড়িতে জানিয়েছ আমাদের ব্যাপারে ?’’ সোহাগ বলল। ‘’ না। তবে ভাবছি মাকে এরমধ্যেই জানিয়ে দেবো। ‘’ ‘’ তোমাক...

বাড়িটা এখন প্রায় খালি। সমস্ত কোলাহল উধাও হয়েছে। উধাও হয়েছে ঝগড়া।

বিভোর  আদিত্য ঘোষ তৃতীয় পর্ব  ( ৯ ) “ অমন করে কী দেখছ ?’’ ‘’ তোমাকে !’’ ‘’ শুধুই কী দেখবে ?’’ ‘’ তাহলে ?’’ সোহাগ মৃদুলকে জড়িয়ে ধরে বলল , ‘’ এমন ভাবেই সারাটা জীবন আমার পাশে থাকবে কথা দাও । ‘’ ‘’ কথা দিলাম এইভাবেই তোমাকে জড়িয়ে থাকব সারাজীবন । ‘’ মৃদুল সোহাগকে জড়িয়ে ধরে যেন অনেক শান্তি খুঁজে পেল । সেদিনের সেই মেয়েটা এখন মৃদুলের সর্বক্ষণের সঙ্গী । প্রতিদিনের একসঙ্গে বাস জার্নিটা ওদের পেয়ে বসল। ওদের আলাপ জমে উঠল। একে অন্যকে চিনতে শুরু করল। একে অপরের ভরসা হয়ে উঠল। ব্যস, তারপর বাকিটা অনেকটা গল্পের মতো।   সোহাগ একটি বিজ্ঞাপন সংস্থায় কপি রাইটারের কাজ করে। ছোট থেকে উত্তর কলকাতার অভিজাত পরিবারে বড় হয়ে ওঠা। গান, কবিতা, আবৃত্তি, নাটক এইসব বিষয়ে সোহাগের আগ্রহ বেশি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ করেছে। তারপর থেকে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সংস্থায় কাজ করছে। পাঁচ বছর হল সোহাগের বিয়েও হয়েছে। একটা দু-বছরের ছেলে আছে। যদিও সোহাগের বিয়েটা বাড়ির মতেই হয়েছে, দেখাশুনা করে । কিন্তু সোহাগের এই বিয়েতে একটুকুও মত ছিল না।  তবে বাড়ির বিরুদ্ধে গিয়...

বিষয়, শ্রীজাত। শিল্পী হিসেবে, কবি হিসেবে, বাকস্বাধীনতা আমাদের কাম্য।

কবি, কবিতা এবং স্বাধীনতা - সুচন্দ্রা সিংহ  বাংলায়  একটা বহুপ্রচলিত প্রবাদ রয়েছে - "নগর পুড়িলে কি দেবালয় এড়ায়?" যার সরলীকরণ করলে বোঝা যায়, গোঁড়ামিও আগুনের মতই ছোঁয়াচে। এবং দুটোই সমানভাবে ধংসাত্মক। সম্প্রতি, সেই প্রবাদেরই বাস্তবায়ন দেখল পশ্চিমবঙ্গ। ভারতের ডেমোক্রেসি' এবং ''রাইটস'' আজও মিলতে পারল না এক বিন্দুতে, সমান্তরাল হয়েই থেকে গেল এতকাল।             বিষয়, শ্রীজাত। শিল্পী হিসেবে, কবি হিসেবে, বাকস্বাধীনতা আমাদের কাম্য। শব্দ দিয়ে শুধু প্রেয়সীকে ছোঁয়াই নয়, শব্দের আঘাতে জব্দ করতে হয় (অ)সামাজিক প্রথাদের। শব্দের তুলিতে অনুভূতিকে আদর মাখানোই নয়, শব্দের চাবুকের দাগ বসাতে হয় ভেদাভেদ-হিংসা-দর্পের বুকে। তাতেই কলমের জয়, তাতেই জনসাধারণের কাছে নিজের কথা ব্যক্ত করার ক্ষমতা। একটি মানুষও যদি নিজের খারাপ মত পাল্টায় কোনো লেখা পড়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে, সেটাই তবে লেখকের প্রাপ্তি। এবার আসি মূল কথায়। শ্রীজাতর বিতর্কিত লেখাটির পংক্তি আমাদের কাছে খুবই পরিচিত। বহুদিনই তা নানাভাবে নেগেটিভ পাবলিসিটি পেয়ে এসেছে। লেখাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে নানান ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছ...

মৃদুল লক্ষ্য করল, মেয়েটার সারা মুখ জুড়ে একটা উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পরল।

বিভোর আদিত্য ঘোষ দ্বিতীয় পর্ব (৫) মৃদুলের বাড়ি যাদবপুরের এইট-বি ব্যাস স্ট্যান্ডের কাছে একটা বস্তিতে। তাঁদের অবস্থার উন্নিত হলেও অন্য জায়গায় বাড়ি করার সামর্থ্য এখনও হয়নি। তবে মৃদুল শোভাবাজারের দিকে একটা বাড়ি ভাড়া নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাঁর আর এই বস্তিতে থাকতে ভাল লাগে না। প্রতিদিন একটা করে অশান্তি, মাতালদের মারপিট, গালাগাল, গুলির শব্দ, আগুন যেন মৃদুলের জীবনের দম বন্ধ করে দেয়। ছোট থেকে এইসব দেখে মৃদুলের বড় হওয়া, তাই এখন আর ভাল লাগে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই জঞ্জাল থেকে বেরোতে চাইছে মৃদুল।  ঠিক সকাল পৌনে ন’টার বাস ধরে অফিসে যায় মৃদুল। ফিরতে ফিরতে প্রায় সাড়ে ছটা বাজে। সারাদিন অফিসে এই টেবিল থেকে ওই টেবিলে চিঠি দেওয়া- নেওয়া, ব্যাঙ্কে যাওয়া, ফাইল গুছিয়ে রাখা এই করেই দিন কাটে। তারপর বাড়ি ফিরে একটু মায়ের সঙ্গে গল্প আর বাড়ির দৈনন্দিক কাজ করতে করতে আবার পরের দিন চলে আসে। কিছুদিন আগে অবধি এমনই নিরামিষ জীবন ছিল মৃদুলের। হঠাৎই একটা দমকা হওয়া যেন সবকিছু পাল্টে দিল, সব কেমন বদলে দিল। সোহাগের সঙ্গে মৃদুলের আলাপ হয় বাসে। যদিও সেটা খুবই কালতালীয়। বিবাহিত একটা মেয়ের সঙ্গ...

আমরা সবাই সব সম্পর্কের জটিলতা ভুলে এক সুরে গান গাইব। ভুলে যাব বৈধ আর অবৈধ সম্পর্কের কূটনীতি।

বি ভো র আদিত্য (১) “ চলো পালিয়ে যায়।‘’ ‘’ পারব না।‘’ ‘’ তাহলে ?’’ ‘’ জানি না।‘’ ‘’ কিন্তু আমি এইভাবে আর পারছি না, প্রতিদিন একটু একটু করে শেষ হয়ে যাচ্ছি।‘’ ‘’উফফ, তোর সেই এক কথা।‘’ ‘’ তাহলে আর কী বলব?’’ ‘’ কিছু বলিস না।‘’ ‘’ আচ্ছা, আমি চলে যাচ্ছি।‘’ ‘’ বাচ্চাদের মতো করিস না। একটু বুঝতে শেখ।‘’ ‘’আর বোঝার কিছু বাকি নেই।‘’ ‘’ আবার বাজে বকছিস!’’ ‘’ কিচ্ছু বাজে বকিনি, বরং বলো আমাকে আর পোষাচ্ছে না, এবার অন্য কাউকে...’ কথাটা শেষ করার আগেই সোহাগ সজোরে চড় মারল মৃদুলের গালে। সোহাগের চোখ এখনও রাগে ছলছল করছে। সারা শরীরে একটা ভূমিকম্প ছড়িয়ে পরেছে। ফর্সা মেয়েটা হঠাৎই রাগে কেমন লাল হয়ে গেছে। মৃদুল এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করে সিঁড়ি দিয়ে নেমে গেলো। সন্ধ্যে নেমে এসেছে। ছাদের একদিকটা পোস্টের আলোয় আলকিত। বাকি অংশটা আলো-আঁধারিতে। এমন শীতের সন্ধ্যে বেলায় পরিবেশটা কেমন গুমোট হয়ে আছে। কেমন গরম করছে। (২) এই বাড়িটার চারিদিকেই অনেক ইতিহাস ঘুরে বেড়াচ্ছে। হাওয়াটা আরও জোড়াল হচ্ছে। আলোটা আরও জোড়ে দুলছে। আমরাও আরও উসাদী হয়ে যাচ্ছি। আমি বললাম, ‘’ তুমি যখন এড়িয়েই যেতে চা...