সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অভিনেত্রীর মনের মানুষটি কেমন হবে ? কী জানালেন আটপৌরেকে, জেনে নিন



আগেরবার ঠিক যেখানে আমরা শেষ করেছিলাম, মনে হল ঠিক সেই জায়গা থেকে আবার শুরু করলাম। অভিনেত্রী অনসূয়া মুখোপাধ্যায় একটুকুও বদলালনি। আগের মতোই উচ্ছ্বাস এবং অফুরন্ত প্রাণশক্তি নিয়ে এখনও নতুন স্বপ্ন বুনতে ব্যস্ত।

‘ঝিল ডাঙ্গার কন্যা’ ধারাবাহিককের অভিনেত্রী অনসূয়া মুখোপাধ্যায় যদিও কিছুদিন আগেই লাখপতি হয়েছেন! হ্যাঁ, ‘ভিএলসিসি’ আয়োজিত একটি র‍্যাম্প শো’তে প্রথম স্থান অধিকার করার মূল্য হিসেবে তিনি এক লাখ টাকা পেয়েছেন। সেই নিয়েই জিজ্ঞাসা করতে অনসূয়া হাসতে হাসতে বললেন, ‘’ দেখ, ঠিক লাখপতি নয়। কারণ কর বাবদ বেশ কিছু টাকা কেটে নেওয়া হবে, তাই সেটা হাজারে এসে থামবে। তুমি হাজারপতি বলতে পারো।‘’ অভিনেত্রীকে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ পুজোর আগে এই ব্যাপারটা কতটা স্পেশাল?’’ ‘’ হ্যাঁ অবশ্যই স্পেশাল! তবে প্রত্যেক বছর পুজোটাও আমার কাছে স্পেশাল থাকে। কারণ আমি প্রতিটা দিন নতুন করে দেখতে ভালবাসি।‘’



‘’এইবছর পুজোতে প্ল্যান কী ?’’ অনসূয়া একটু থেমে উত্তর দিলেন, ‘’ প্ল্যান কিছু নেই। ইচ্ছে আছে বাবা-মা’কে সময় দেওয়া, কারণ সারা বছর আমি বাবা-মা’কে একদম সময় দিতে পারি না! আর কিছু বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখা। বিরিয়ানি খাওয়া, কারণ পুজোতে বিরিয়ানি না খেলে মনেই হয় না পুজো পুজো ব্যাপার। ‘’

‘’কী ধরনের পোশাক পরতে ভালবাসেন ?’’ অনসূয়া জানালেন, ‘’ আমি সব ধরনের পোশাক পরতেই ভালবাসি।  তবে অবশ্যই এমন পোশাক পড়ি যেটা পরে আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।‘’ অভিনেত্রী আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ পুজোর শপিং কি শেষ?’’ অনসূয়া জানালেন, ‘’ মোটামুটি শেষ! তবে এখনও কিছু বাকি আছে।‘’

‘’ কোন প্রিয় মানুষের সঙ্গে এইবারের পুজোর অঞ্জলি দিতে চাও?’’ অভিনেত্রী একটু থেমে বললেন , ‘’ মা-বাবা ছাড়া এখন কোনও প্রিয় মানুষ নেই যে তার সঙ্গে অঞ্জলি দিতে চাইব।‘’ আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ তোমার প্রিয় মানুষটা কেমন হবে ?’’ অনসূয়া একটু ভেবে বললেন, ‘’ ঠিক আমার মা-বাবার মতো! যে আমাকে কেয়ার করবে। সহজেই কিছুতে অবিচল হবে না। শান্ত এবং আদতে মানুষটা ভেতরে খুব ভাল মনের হবে।‘’


কাশ ফুলের গন্ধ এবং পেঁজা তুলোয় যখন আকাশও মেতে উঠবে তখন অভিনেত্রী সমস্ত কর্ম ব্যস্ততা ভুলে ঢাকের আওয়াজে পা মেলাবেন। তবে ভাসানে নাচের ইচ্ছে থাকলেও সেটা হয়ে ওঠে না বলে কিছুটা আক্ষেপের সুরে তিনি জানালেন, ‘’ হয়ত ছাদ থেকে কিংবা একতলার ঘরে জানলা খুলে ভাসান দেখি! ভাসানে নাচের ইচ্ছেটা ইচ্ছেই রয়ে গেছে।‘’ তবে এখানেই শেষ নয়, আটপৌরের সমস্ত পাঠকের তিনি জানালেন শারদীয়ার শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।  

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...