সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান



উপল সেনগুপ্তকে মানুষ হয়ত কখনও রাগতে দেখেনি ফোন করার পর সেই হাসিখুশি গলাটা ভেসে এলো

ফোনের ওপার থেকে অমায়িক গলায় উত্তর এল, একটার পর একটা প্রশ্ন করে ফেল্ দেখি’’

বুঝতে পারলাম তিনি ব্যস্ত আছেন। তাই  ঝটপট প্রথম প্রশ্নটা করে ফেললাম-

অমৃতা- বাংলা ক্যালেন্ডার ফলো করো?

উপল সেনগুপ্ত- না, তেমনভাবে ফলো করা হয়না ওই সরস্বতি পুজো, অষ্টমী, নববর্ষ -এগুলো কবে পড়েছে একটু দেখি,তাছাড়া রেগুলার নর্মাল  ক্যালেন্ডারই চলে

 উপলদা  রেকডিং-এ ব্যস্ত তখন, তাই বিন্দুমাত্র বিলম্ব না করে পরের প্রশ্ন করে ফেললাম

অমৃতা- নববর্ষটা কি বাঙালির কাছে প্রেমের দিন, মানেভ্যালেন্টাইন ডে ”? তোমার কি মনে হয়?

উপল সেনগুপ্ত- দেখ্, প্রেমের তো বয়স থাকে, সব স্পেশাল দিনগুলোর মতো ইচ্ছে হতেই পারে বান্ধবীকে নিয়ে একটু ঘুরে আসার আবার এই স্পেশাল  দিনগুলো ছাড়াও অনেকেই এমনিই ঘুরতে বেরিয়ে পড়তে পারে নির্ভর করছে প্রেমের বয়সের উপর (একটু ঠাট্টা করেই)

অমৃতা- আচ্ছা তুমি হালখাতা করো?

উপল সেনগুপ্ত -হালখাতা এখন তেমন করা হয়না  যখন আমার বাড়ির কাজ চলছিল তখন এই সল্টলেকে, সিমেন্ট-বালির দোকানে নিমন্ত্রণ করত, যেতাম মিষ্টি,কোল্ড ড্রিংক,ক্যালেন্ডার দিত,নিতাম,বেশ কিছুক্ষণ আড্ডাও দিতামতা প্রায় ১৯৮২ কিংবা ১৯৮৩ সালের কথা বলছি তোকে

অমৃতা- (একটু ঠাট্টার ছলে জিজ্ঞেস করলাম)  ছোটবেলার নববর্ষ কেমন ছিল ?

উপল সেনগুপ্ত - ছোটবেলায় পুজোর সময় প্রচুর জামা পেতাম আর এই পয়লা বৈশাখে গরম পরে যেত বলে, বেশ গরমে পড়ার মত জামা পেতাম  বাঙালিয়ানা ঘেষা জামা, পাঞ্জাবী এখনও মনে আছে প্রথমবার যে কচি কলাপাতার পাঞ্জাবীটা কিনে দিয়েছিল মা সেটা আমার এত ভালো লেগেছিল যে, তারপরের  সবুজ রঙের পাঞ্জাবীই কিনে দিয়েছিল এই দিনটাতে আমার  আর দাদার দুজনেরই বেশ পাওনা হত

অমৃতা-আটপৌরের দর্শকদের কি গান শোনাতে চাও এই নববর্ষে?

উপল সেনগুপ্ত - প্রচুর গান আছে, তারমধ্যে—‘এসো এসো এসো এসো এসো এসো নববর্ষ ’ –গানটা শোনাতে চাই কারণ,একটা বছরের চলে যাওয়া আর নতুনকে আহ্বান  করা.....তাই....


       
 “ব্যস, ইন্টারভিউ শেষ
ওপার থেকে সেই অমায়িক হাসির সাথে উপল দা বললেন 'বেশ ছোট তবে ভালো লাগলো কথা বলে '

                                                     
                                                                  (সাক্ষাৎকার- অমৃতা)  
                                               (ছবি- উপল সেনগুপ্তর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে )

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...