বাইরে
তখন সবে মাত্র ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে! হয়ত বৃষ্টি নামবে। ফোনের ওপারে একটা অপরিচিত
কণ্ঠস্বরের প্রতীক্ষা করছি চুপিসারে। তবে ফোনটা বেজে গেল, উত্তর এল না। তবে
হতাশ হতে হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে রিং ব্যাক করলেন অভিনেত্রী।
প্রথমেই কিছুটা ইতস্তত জানতে চাইলাম,“ বাংলা ক্যালেন্ডার ফলো করেন ?” অভিনেত্রী
হাসতে হাসতে বললেন,“ না! সেটা করা হয় না। তবে আমার বাড়িতে বাংলা ক্যালেন্ডার ফলো
করা হয়।’’ পাল্টা প্রশ্ন করে বললাম,“ আপনার দর্শকরা এই কথা শুনে রেগে
যেতে পারে !’’ তবে তিনি সাবলীল ভঙ্গিতে বুঝিয়ে
দিলেন, বাংলা সিরিয়াল করলেই যে বাংলা ক্যালেন্ডার ফলো করতে হবে, তার কোনও মানে নেই!
প্রসঙ্গত অভিনেত্রী
নবনীতা মালাকারের বাড়ি জলপাইগুড়ি। কাজের সূত্রে তাঁর কলকাতায় আসা। একের পর এক
ধারাবাহিকে তাঁর সাবলীল অভিনয়, ইতিমধ্যেই দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।
জিজ্ঞাসা করলাম, “ সামনেই তো পয়লা বৈশাখ, কেমন করে কাটাবেন দিনটা ?” অভিনেত্রী নবনীতা কিছুটা হতাশ হয়েই বলবেন, “ তেমন কোনও পরিকল্পনা নেই! তবে যদি জলপাইগুড়ি ফিরে যেতে পারতাম, তাহলে বেশ হত। ”
তারপর নিজেই তাঁর শৈশবের কথা
শোনালেন। বললেন,“ ছোটবেলায় পয়লা বৈশাখ আমার কাছে একটা উৎসবের মত ছিল। দোকানে
দোকানে ঘুরে হালখাতা করা, মিষ্টি খাওয়া, নতুন জামাকাপড় পরা। পুরো ব্যাপারটায় খুব
আনন্দের ছিল। তবে এখন ওসব আর হয় না। এখানে কাজের খুব চাপ আর এখানে আমার পরিবারও
থাকে না, তাই এই বিশেষ দিনগুলো এমনি ভাবেই কেটে যায়।”
পাল্টা প্রশ্ন করলাম,“
মিষ্টি খেতে ভয় হয় না ? আপনাকে তো প্রতিদিন ক্যামেরার সামনে থাকতে হয়!’’ আবারও
তিনি হাসতে হাসতে উত্তর দিলেন,“ একদমই না! খেতে খুব ভালবাসি।”
সবশেষে জানতে চাইলাম, “
এবারে নববর্ষে কী করছেন? ”
অভিনেত্রী জানালেন, “তেমন কিছুই না! এই বিশেষ দিনগুলোতে
পরিবারকে খুব কাছে পেতে ইচ্ছে করে, যদি সম্ভব হয় তাহলে আমার মা-বাবাকে এই নববর্ষে
নিজের কাছে পেতে চাই। জানি সম্ভব নয়, তাও এটাই ইচ্ছে।’’
( ছবি- নবনীতা মালাকারের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে)
(সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন