সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আটপৌরের মুখোমুখি কৌশানি রায়

  নৃত্য তাঁর জীবনের অঙ্গ। অঙ্ক তাঁর ছায়াসঙ্গী। আর থিয়েটার তাঁর বেঁচে থাকার রসদ। হ্যাঁ এতকিছু নিয়ে তিনি দিব্যি আছেন এবং এতকিছু নিয়েই তিনি দিব্যি থাকতে চান। মফস্বলের মেয়ে কৌশানি রায় সদ্য অভিনয় করছেন ' মিথ্যে প্রেমের গান' নামক সিনেমায়। যে সিনেমার মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনির্বান ভট্টাচার্য, ইশা সাহা, অর্জুন চক্রবর্তী এবং আরও অনেকে। আগামী ১০ই ফেব্রুয়ারী প্রেক্ষাগৃগে মুক্তি পেতে চলেছে সিনেমাটাটি। নিও স্টুডিওস প্রযোজিত এই সিনেমার গল্প গান নিয়ে, সম্পর্ক নিয়ে এবং জীবন নিয়ে। কৌশানি নিজের স্বপ্নের আকাশে ডানা মেলে উড়ে যেতে চাই বহুদূর। খুব ছোট বয়সে নাচ শিখতে শিখতে মঞ্চে আসা এবং নৃত্যকে জীবনের অঙ্গ করে নেওয়া। তারপর ধীরে ধীরে অভিনয়ের জগতে আসা থিয়েটারের মধ্যে দিয়ে। এইসবের পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার পড়াশুনা এবং অধুনা একটি বেসরকারী কলেজে অধ্যাপনার কাজের সঙ্গে যুক্ত। এতকিছু একসঙ্গে কী করে সম্ভব? জিজ্ঞাসা করতে কৌশানি জানালেন," এইগুলো তো সবই আমার জীবনের অঙ্গ। এগুলো কোনটা ছাড়াই আমি বাঁচতে পারব না। তাই যেমন জল ছাড়া মানুষের জীবন চলে না, ঠিক তেমনি এগুলো ছাড়াও আমি বাঁচতে পারব না।" জিজ্ঞাসা করলাম...

এ যেন এক রূপকথার গল্প....

  যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন! যিনি চুলও বাঁধেন তিনি নাচও করেন। যিনি নাচও করেন তিনি র‍্যাম্পেও হাঁটেন। যিনি র‍্যাম্পেও হাঁটেন তিনি অফিসও সামলান। তখন এখানে সদ্য শীতের হাওয়া, তখন এখানে আড়মোড়া ভাঙা রোদ এসে পড়েছে সবে। ফোনের ওপারে শুনছি একটি বাচ্চা মেয়ের জিজ্ঞাসা করছে, " মা, কার সঙ্গে কথা বলছো?" তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাত। তীব্র শীতের হাওয়া। তবুও তনয়া রায় তাঁর কর্তব্যে অবিচল। অবিচল তাঁর লক্ষ্যে। বহরমপুরের মেয়ে প্রাক্তন যাদবপুরের ছাত্রী তনয়া রায় আসলে একজন সাধক, যিনি বাঙালি সংস্কৃতির কান্ডারী। দেশে এবং দেশের বাইরেও যিনি নিজের শিকড়কে ভুলে যাননি। ইদানীং মিসেস ভারত ক্যালিফোর্নিয়া বিজেতা হয়েছেন তনয়া। এছাড়াও মিসেস ভারত উএসএ-এর রানার্স আপ হয়েছেন। তাঁর যদিও দৌড় সবে শুরু। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন," বিজেতা হয়ে কার না ভাল লাগে। তবে জীবনে এখনও অনেককিছু করা বাকি। এটা তো সবে শুরু। আগামী দিনে আরও আরও কাজ করব।" তনয়ার আসলে পরিধিটা বিশাল। তনয়া মনে প্রাণে একজন নৃত্যশিল্পী। তিনি ওই দেশে গড়ে তুলেছেন একটি নৃত্য একাডেমি। নাচ শেখান। আবার এর পাশাপাশি চুটিয়ে থিয়েটার করেন। তিনি জানালেন...

অস্নির অগ্নিমন্থনের গল্প....

এ যেন স্বপ্নের উড়ান, এ যেন একমুঠো রূপকথা। একটা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের অন্ধকার ভেঙে হঠাৎ লাইম লাইটের নীচে দাঁড়ানো। বিমান সেবিকা হতে হতে অভিনেত্রী হওয়ার গল্প খুব সহজেই যেন হাতের মুঠো ছুঁয়ে যায় এইরকম একটা শীতের সন্ধে। এই রকম একটা নস্ট্যালজিক জানুয়ারী। অভিনেত্রী অস্নি দাসের প্রথম কাজ। প্রথম বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করা। অস্নির অগ্নিমন্থন কেমন হলো সেটা হয়ত এই সপ্তাহ অতিক্রম করলে জানা যাবে, তবে তাঁর লাইম লাইটে আসার গল্পটি কিন্তু কাকতলীয়। নিজের কিছু ফটোশুটের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিতেই একের পর এক ডাক আসে। আসতে থাকে কাজের প্রস্তাব। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন যে বিমান সেবিকা হবেন কিন্তু ভাগ্যের এ এক নিদারুণ ইচ্ছে যে তাঁকে আর বিমানে স্বপ্নের উড়ান দিতে হয়নি, তিনি নিজের অভিনয়ের দক্ষতাতেই উড়ে গিয়েছেন বহুদূর। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন, " বড় পর্দায় এটি আমার প্রথম কাজ। তবে সবটাই খুব তাড়াতাড়ি হয়ে গিয়েছে। এতটা আমি নিজেও ভাবিনি। তবে সবটুকুই কর্তৃত্ব যায় এই সিনেমার পরিচালক প্রবীর রায়ের। তিনিই আমাকে তৈরি করে নিয়েছেন।" একটু থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, " এই সিনেমায় আপনার চরিত্রটা কেমন?" তিনি জানালেন...

শীতকালে ভরসা রাখুন হোমিওপ্যাথিতে: সুস্বত দাস

শীতের কামড় শহরে পড়তেই যেমন আনন্দে মেতে উঠেছে শহরবাসী তেমনি গলা খুশখুশ থেকে পেটের সমস্যার জেরবার অনেকেই। খুশির শীতে টুকটাক অসুখ লেগেই থাকে। অনেকেই এলোপ্যাথির ওষুধ ছাড়াও ভরসা করেন হোমিওপ্যাথিতে। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক সুস্বত দাস জানালেন, " হোমিওপ্যাথি ওষুধ অনেকটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। বিষেশত আমার এমন অনেক পেশেন্টকে আমি একবেলার মধ্যে সরিয়ে তুলেছি।" এই খবরের সত্যটা আটপৌরে যাচাই না করলেও তিনি আরও জানালেন যে, " হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা এখন অনেকটা ছড়িয়ে পড়েছে।  আগের মতো ধ্যানধারণা এখন আর নেই। আমরা প্রেসক্রিপশনে লিখে ওষুধ দিই। ওই খামে লিখে ওষুধ দেওয়ার দিন চলে গিয়েছে। " একটু থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, " লোকে হোমিওপ্যাথিতে কেন ভরসা করছে?" তিনি জানালেন, " হোমিওপ্যাথিতে কোনও সাইড এফেক্ট নেই। আর হোমিওপ্যাথি সব রোগকেই গোড়া থেকে নির্মূল করে। তবে না জেনে কোনও ওষুধই খাওয়া উচিত নয়।" ওনাকে আবার থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, " লোকে বলে হোমিওপ্যাথি ওষুধে কোনও রোগ সারতে অনেক সময় লাগে! আপনি এই কথাটা মানবেন?" ডাক্তারবাবু জানালেন, " একদমই নয়। আসলে এগুল...

"প্রতিদিন শুটিং ফ্লোরের ওই কলটাই আমাকে একদম সতেজ রেখেছে।"

  তখন ঘড়িতে রাত এগারোটা। ফোনে মেসেজ ঢুকল অভিনেত্রী সদ্য ফাঁকা হয়েছেন। চেনা ছন্দে ফোন করে বসলাম। একই কন্ঠস্বর তবে আগের চেয়ে অনেকটা পরিণত মনে হল। মাঝে বেশ কিছুটা সময় বয়ে গিয়েছে। এর মধ্যেই ব্যোমকেশ হত্যামঞ্চ রিলিজ করেছে। এর মাঝে তীরন্দাজ শবর রিলিজ করেছে। এই তো কিছুদিন আগে মহিষাসুরমর্দিনী রিলিজ হয়েছে। শুধু রিলিজ আর রিলিজ! গত দেড় বছরে অভিনেত্রী পৌলমী দাস অনেকটা পরিণত হয়েছে। গত দেড় বছর ধরে তিনি বাংলা ধারাবাহিকে চুটিয়ে অভিনয় করছেন। 'মেঘে ঢাকা তারা' ধারাবাহিকে তিনি মঞ্জরী নামক একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন। হাতে গুনে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির এমন কয়েকজনের উল্লেখ করা যায় যারা বাংলা ধারাবাহিক, সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজে একসঙ্গে অভিনয় করে যাচ্ছেন। সেই তালিকায় কিন্তু অভিনেত্রী পৌলমী দাস অন্যতম। এই তো কিছুদিন আগেও লন্ডনে শুটিং সেরে ফিরলেন। পরিচালক অভিজিৎ গুহ এবং সুদেষ্ণা রায়-এর ছবি শেষ রক্ষা। জিজ্ঞাসা করলাম, " এত কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠছেন না?" তিনি সাবলীল ভাবে উত্তর দিলেন, " একদমই না। এখন এত কাজ করতে বেশ এনজয় করছি। ভালবেসে করছি তো তাই ক্লান্তি আসছে না। প্রতিদিন শুটিং ফ্লোরের ওই কলটাই আমাকে...

আটপৌরের মুখোমুখি ফুডকা

খাই খাই বাঙালির যেমন খেতে ভালবাসে ঠিক তেমনি খাবার দেখতেও ভালবাসে। অনেক বাঙালি তো রাতে ঘুম না এলে শুধুমাত্র খাবারের ভিডিও দেখে ক্ষুধা নিবারণ করে। আজব বাঙালির আজব ইচ্ছেগুলো চিরকালই ছিল তবে এই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেই ইচ্ছেগুলো আরও একটু রঙ পেয়েছে। ফুড ব্লগিং এখন বাঙালির অন্যতম নেশা এবং পেশা। ধীরে ধীরে সামাজিক ভাবনা বদলাচ্ছে এবং বাঙালি যে ব্যবসা করতে পারে না সেই মিথ ভাঙছে। সোশ্যাল মিডিয়ার যে সময় থেকে ফুড ব্লগিং শুরু হয়েছিল সেই সময়ে যাঁরা ফুড ব্লগিং ব্যাপারটা মোটামুটি বাঙালির কাছাকাছি নিয়ে এসেছিলেন তাঁদের মধ্যে ফুডকা অন্যতম। অর্থাৎ ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ী এবং মীর। তবে ফুডকা বলতে আমরা ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ীকেই চিনি। একজন বেশ লম্বা চওড়া সাদা চুলওয়ালা ভদ্রলোক খেতে খেতে বাঙালিকে খাওয়ার ইতিহাস শোনাচ্ছেন! আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ী জানালেন, " প্রথম দিন থেকেই আমরা কয়েকটা ব্যাপার ঠিক করে নিয়েছিলাম। কোনও খাবার খেলে সেটা খারাপ না ভাল ওটা বলার চেয়ে খবরের ইতিহাসটা মানুষের সামনে নিয়ে আসব।" একটু থেমে তিনি আরও জানালেন, " আমার প্রিয় কিছু স্বাদ আছে, অমুকের সঙ্গে তমুকটা খেতে ভাল লাগে। তাই বলে ...

পশুদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনকারী হিসেবে কাজ করেন শুক্লা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজরা।

  পশুদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা কি সম্ভব? তাও আবার মানুষের ক্ষেত্রে? পশুপ্রেমীরা বলে থাকেন,আমরা পোষ্যদের ভাষা বুঝি। তবে সেটা তো আবেগ থেকে আসে। সত্যিই কি পোষ্যদের ভাষা বোঝা সম্ভব? শুক্লা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজরা যদিও বলছেন, " হ্যাঁ পশুদের ভাষা বোঝা সম্ভব।" পশুদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনকারী হিসেবে কাজ করেন শুক্লা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজরা। কলকাতার বুকে এই কাজ খুব একটা কেউ করে না বলেই জানে কলকাতাবাসী। তবে মুষ্টিমেয় যে কজন মানুষ এই কাজ করেন তার মধ্যে শুক্লা অন্যতম। অন্তত তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ দেখলেই সেটা বোঝা যায়। খুব বেশিদিন যদিও হয়নি তিনি পশুদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনকারী হিসেবে কাজ করছেন এবং এই কম সময়ের মধ্যেও কিছুটা সুনাম সংগ্রহ করেছেন।  তবে ওইসব নিয়ে একটুও ভাবিত নন শুক্লা। তাঁর ভাষায়, " আমি এমন একটা কাজ করছি সেটা অনেক অনেক পশুপ্রেমীদের মনে হাসি ফোটাচ্ছে। ছোট থেকেই পোষ্যদের মাঝে বড় হয়ে উঠেছেন শুক্লা। তাই ওদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ অনেকদিনের। তবে একটি বিশেষ ঘটনা তাঁর জীবনের মোড় বদলে দিয়েছিল। তাঁর ভাষায়, " পশুদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে গেলে কিংবা তাঁদের ভাষা বুঝতে গেলে নিজেক...

নিত্যই নৃত্য, জীবনটাই নৃত্য…..

  ট্রেডমিলে হাঁটতে হাঁটতেও নাচের ভঙ্গি! নৃত্যই জীবন, নিত্যই নৃত্য। এটাই রুমেলী দত্ত মজুমদারের বীজমন্ত্র। এটাই রুমেলীর বেঁচে থাকার গান। বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী রুমেলীর নাচের সঙ্গে পরিচয় মাত্র আড়াই বছর বয়সে। তারপর কলেজে জীবন পর্যন্ত আক্ষরিক অর্থে নাচের তালিম নেওয়া এবং একটা সময়ের পরে নিজেকে নৃত্যশিল্পী হিসেবে তুলে ধরা। এখানেই শেষ নয় তারপরে নিজের একটি সংস্থা 'রুমেলী এবং রিদিমস' গড়ে তোলা। বিদেশ থেকে দেশ, সব মঞ্চেই সমান আদরে সম্মান পেয়েছে রুমেলী। সব দেশেই পরিচিত হয়েছে শিল্পী হিসেবে। এত কম সময়ে এত সাফল্য পেয়েও রুমেলী অকুতোভয়, নির্বাক। তাঁর লক্ষ্য ভাল মানুষ হওয়া। তাঁর লক্ষ্য আরও ভাল কাজ করে যাওয়া। আসলে প্রত্যেকটা সাফল্যের পিছনে একটা গল্প থাকে। রুমেলীরও আছে। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন, '' আমি এমন একটি পরিবারে বড় হয়ে উঠেছিলাম যেখানে সংস্কৃতির পরিবেশ আগে থেকেই ছিল। তবে কেউ নাচের সঙ্গে যুক্ত ছিল না।"একটু থেমে তিনি আরও জানালেন, " একটা সময় পর্যন্ত নাচ শিখেছিলাম। তবে একটা বাদে আমাকে বিদেশ চলে হয়। তখন আমার খুব কষ্ট হয়েছিল কলকাতাকে ছেড়ে যেতে, কারণ আমার নাচের পীঠস্থান ছিল ক...