সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

"চরিত্রের প্রয়োজনে শরীরকে ব্যবহার করতে হবে"

তিনি সবসময় খবরের শিরোনামে! গত কয়েকদিন ধরে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় উষ্ণতা ছড়িয়েছেন। ঘুম কেড়ে নিয়েছেন সিঙ্গেল পুরুষদের। শুধু তাই নয়, তিনি বারেবারে ধরা দিয়েছেন মোহময়ী রূপে! অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতার ফটোশুট নিয়ে বেশ সরগরম নেটিজেনরা! অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ আপনি হঠাৎ এত বোল্ড লুকে?”  অভিনেত্রী হাসতে হাসতে বললেন, ‘’ আমি তো জাস্ট ফটোশুট করেছি! এবার সেটা বোল্ড না কোল্ড সেটা আমি কী করে বলব বলুন তো?’’ আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ আপানর ছবি তো অজস্র শেয়ার হচ্ছে! নেটিজেনরা বেশ আপ্লুত মনে হচ্ছে, এর কারণ কি ? আপনি কি যেচে পাবলিসিটি করছেন?’’ ‘’ লোকে আমাকে ভালবাসে তাই শেয়ার হচ্ছে। আমার যেচে পাবলিসিটির প্রয়োজন নেই, পাবলিসিটির জন্য আমার কাজই যথেষ্ট।‘’ এখানেই শেষ নয়, অভিনেত্রী এই মুহূর্তে তাঁর আগামী ওয়েব সিরিজের কাজের জন্য খুব ব্যস্ত। সায়ন্তন ঘোষাল পরিচালিত ‘ লালবাজার হেডকোয়াটার’ দেখা যাবে সায়ন্তনী গুহঠাকুরতাকে। এই ওয়েব সিরিজে সায়ন্তনীকে দেখা যাবে একটু অন্য ভূমিকায়! অভিনেত্রীর কথায়, ‘’ এখানে আমি একটা গ্রামের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছি, যে অনেক আশা নিয়ে শহরে আসে কিছু করবে বল...

এমন সময় যে কখন শহরের গাড়ি গুলোর কালো ধোঁয়ার মত কালো মেঘ এসে আকাশ ছেয়ে ফেলেছে তা ওদের দুজনের কেউই খেয়াল করেনি ।

শ্রাবণের এই ভরা দুপুরে যেমনভাবে তাপমাত্রার পারদ লাফিয়ে লাফিয়ে চড়ছে, আকাশের দিকে তাকালেই যেন জ্বলজ্বল করে জ্বলতে থাকা নির্মম সূর্যটার ওপরেও রাগের পারদ চড়চড় করে বাড়ছে সিরাজের । সিরাজ এমনিতে খুব ঠান্ডা মাথার ছেলে , বদরাগী বলে আজ অব্দি কমপ্লেক্সের কেউ বদনাম দিতে পারবে না , কিন্তু সকাল থেকেই যেন দিনটা ওর সহনশীলতার পরীক্ষা নিতে উঠেপড়ে লেগেছে , নয়ত কেন খামখা সাততলার পটনায়েক-সাহেব সকাল সকাল গা দিয়ে রসুনের গন্ধ বেরচ্ছে বলে ওকে "কুত্তে কা অওলাদ" বলে গালি দেবেন !! আর তারউপর হয়েছে এই গ্রাউন্ড ফ্লোরের নতুন মালকিনের নতুন কুত্তাটা!! তখন থেকে মরাকান্না জুড়েছে ! কান ঝালাপালা করে দিল একেবারে!! ইস!! সিরাজও মনে মনে কুত্তা বলে ফেলল ! তাহলে ওর আর পটনায়েক সাহেবের মধ্যে পার্থক্য কি থাকল! মনে মনে ভেবে নিজেই হেসে ফেলল সিরাজ । মিষ্টির মনেও আজ খুব দুঃখ , ওর অবশ্য মন ভাল থাকলেও মুখ দেখে বোঝার উপায় নেই , মুখ খানা বড় মায়া ভরা , কিন্তু কেউ কখনও ওকে হাসতে দেখেনি । আগে ও যেখানে থাকত , সেখানে বন্ধুরা ওকে বলত ওর ঠোঁটটাই নাকি ভগবান উল্টো বানিয়েছেন , তাই সবসময় ওর মুখে শুধু দুঃখ আর দুঃখ । তবে যেদিন প্রথম নি...

''আমি বোল্ড বলে কিছুই মানি না,আমার কাছে সবটাই আর্ট!''

পল্লবী মুখোপাধ্যায় কে মনে পড়ে? একটু ভেবে দেখুন তো একবার! কি মনে পড়েছে? মনে পড়েছে মীরাক্কেল সিজিন ৬-এর সেই মিষ্টি মেয়েটাকে। তখন তিনি সবেমাত্র অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সেই বয়সেই তিনি যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন এবং তা যে পরবর্তী কালে আরও আরও ছড়িয়ে পড়বে সেটা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা ছিল।  শুধু তাই নয় একের পর এক ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় দক্ষতা প্রশংসা কুড়িয়েছিল অগণিত বাঙালী দর্শকের। ‘ ভুতু’, ‘মীরা’, ‘ খোকাবাবু’, ‘ পটলকুমার গানওয়ালা’-এর মতো বাংলা ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় অনেকদিন পর্যন্ত মনে রাখবে বাঙালী দর্শক। এখানেই শেষ নয়, দুর্গাপুরের সেই মেয়েটা জন্মের পর থেকেই ঠিক করে ফেলেছিলেন যে তাঁকে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হবে, অভিনয় করে মন জয় করতে হবে অগণিত দর্শকদের এবং তিনি পেরেছেন। মীরাক্কেলের জন্য তাঁর কলকাতায় আসা এবং পরবর্তী সময়ে তিনি পাড়ি দিয়েছেন মুম্বই। অভিনয় করেছেন ‘ ঝাঁসি কি রানি’ ধারাবাহিকে এবং সামনেই আসতে চলেছে তাঁর ‘ গন্দি বাত’। অল্ট বালাজির ‘ গন্দি বাত’ সিজিন থ্রীতে পল্লবীকে দেখা যাবে ‘ বিচ্চি’-এর চরিত্রে। অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘ আপনার চরিত্রটি এখানে কেমন?’’ তিনি জানা...

''আমি সবকিছুই এক্সপ্লোর করতে খুব ভালবাসি''

সিনেমার পর্দায় তাঁকে যেদিন প্রথম দেখেছিলাম, সেদিনই মনে হয়েছিল তিনি বড্ড মিশুকে! শুধু তাই নয় তাঁর সাবলীল স্বভাব সত্যিই মুগ্ধ করার মতো। আর অভিনয় দক্ষতা নিয়ে নতুন করে বলার কিংবা লেখার প্রয়োজন কি আছে? প্রতিটি দর্শক জানেন যে অভিনেত্রী পৌলমী দাস একজন দক্ষ অভিনেত্রী, তিনি তাঁর অভিনয় দক্ষতায় জোরে পৌঁছে গেছেন অগণিত দর্শকদের মণিকোঠায়। কি ভাবছেন? বাড়িয়ে বলছি? তাহলে একটু ব্যাক গিয়ার মেরে ফিরে যান সুমন মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘অসমাপ্ত’ সিনেমায়। সেদিনের নবাগত পৌলমী তাঁর প্রথম সিনেমার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি একজন লম্বা রেসের ঘোড়া। এখানেই শেষ নয়, ‘ কার্জনের কলম’, ‘ কায়া’ কিংবা ‘বউ কেন সাইকো’ ওয়েব সিরিজের কথাও মনে করতে পারেন। আর তাও যদি না চান তাহলে ‘ উড়ান’ শর্ট ফিল্মটা দেখে ফেলুন। পৌলমীর অভিনয় দক্ষতার প্রেমে আপনি না পড়ে পারবেন না! অভিনেত্রীকে ফোন করলাম, প্রথমে বেজে গেল! হয়ত ব্যস্ত, তবে তার কিছুক্ষণের মধ্যেই রিং ব্যাক পেলাম। প্রথমে কিছুটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম! রিং ব্যাক করেছেন বলে নয়, বরং তাঁর গলা শুনে! বেশ ভারী এবং গুরুগম্ভীর একটা কণ্ঠস্বর! প্রথমে ভাবলাম ইনিই কি সেই মিষ্টি মেয়েটা,...

''পছন্দের পুরুষটি আবীরদার মতো হলেই চলবে!’’

দীপশ্বেতা মিত্র, কি চিনতে পেরেছেন? ভিডিও জকি দীপশ্বেতা মিত্র! কি তাও চিনতে অসুবিধা হচ্ছে? তাহলে বলি অভিনেত্রী দীপশ্বেতা মিত্র ! আপনি এসভিএফ প্রযোজিত ‘ ভূত চতুর্দশী’ দেখেছেন? যদি দেখে থাকেন তাহলে এতক্ষণে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন, আমি কার কথা বলছি। আর এতদিনেও যদি না দেখে থাকেন,  তাহলে বলব হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্ম কিংবা অ্যামাজন প্রাইমে  দেখে ফেলুন ‘ভূত চতুর্দশী’। নবাগত দীপ্সিতা তাঁর প্রথম সিনেমায় দেখিয়ে দিয়েছেন যে তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া! তাঁর অভিনয় দক্ষতা প্রশংসা কুড়িয়েছে অজস্র দর্শকদের। শুধু তাই নয়, তাঁর সাবলীল অভিনয় অনেকদিন মনে রাখবে বাঙালী দর্শক। কলেজ জীবন থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা, তারপর একটা সময় টানা মডেলিং এবং অতপর সঙ্গীত বাংলার ভিজিও জকি । কিন্তু এইসব কিছুকে ছাপিয়ে দীপশ্বেতার ইচ্ছে ছিল অভিনেত্রী হওয়ার , সঙ্গীত বাংলায় যখন তিনি অন্য কোনও অভিনেতা কিংবা অভিনেত্রীর সাক্ষাৎকার নিতেন তখন তিনি বারেবারে ভাবতেন, ‘আমারও এমন একটা দিন আসবে, যেদিন আমার কেউ সাক্ষাৎকার নেবে।’  তবে তিনি কিন্তু তাঁর কাজকে অবহেলা করেননি কখনও, যখন মডেলিং করেছেন কিংবা যখন ভি...

' সাহেবের কাটলেট'-যেন শ্রীতমার কাছে হাতে চাঁদ পাওয়ার সমান।

ধরুন একদিন যদি হঠাৎ আপনি হাতে চাঁদ পেয়ে যান, তাহলে কী করবেন? কিংবা আপনার প্রতি রাতের স্বপ্ন যদি হঠাৎ একদিন বাস্তব হয়ে যায়, তাহলে আপনি কী ভাববেন ? উত্তরটা কঠিন হবে জানি, হয়ত আপনার বলার ভাষাও হারিয়ে যেতে পারে। আপনি একটা ঘোরের মধ্যে হারিয়ে যেতে পারেন। হ্যাঁ, প্রায় একই রকম অবস্থা হয়েছে অভিনেত্রী শ্রীতমার! কি চিনতে পারলেন না কে শ্রীতমা দে ? তাহলে বলব একটু ব্যাক গিয়ার মেরে ফিরে যান ‘ধানবাদ ব্লুজ’ ওয়েব সিরিজে! সেই সাহসী চরিত্রে অভিনয় করা মেয়েটিকে খুব সহজেই চিনতে পারবেন, আর তাও যদি না পারেন, তাহলে বলব ‘ সাহবের কাটলেট’ –এর জন্য অপেক্ষা করুন। অঞ্জন দত্ত পরিচালিত ‘ সাহবের কাটলেট’-এর শুটিং শুরু হতে চলেছে এই মাসের ১৫ তারিখ থেকে এবং এই সিনেমার মুখ্য চরিত্র অভিনয় করছেন  শ্রীতমা দে! আটপৌরেকে অভিনেত্রী জানালেন, ‘’ আমি খুব এক্সাইটেড! ছোট থেকে ওনার সিনেমা দেখে বড় হয়েছি এবং আজকে আমি ওনার সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে চলছি, এটা আমার কাছে একটা বড় পাওয়া।‘’ বিগ ব্যানারে প্রথম ব্রেক যে অঞ্জন দত্তের হাত ধরে হবে, সেটা স্বপ্নেও ভাবেনি শ্রীতমা! তাই এখন সে কিন্তু একটা ঘোরের মধ্যে আছে, তাঁর কথায় ‘’ ...

আকাশ ছোঁয়া টার্গেট নিয়ে ক্রিকেটের ভগবান শচীন তেন্ডুলকর নামলেন ক্রিজে।

॥ ফিনালে ॥ -সৌভিক মণ্ডল তারিখটা ২৫শে জুন, ১৯৮৩, ইংল্যান্ডের লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড। উইকেটে ব্যাট হাতে মাইকেল হোল্ডিং, অপরপ্রান্ত থেকে লাল বল হাতে দৌড়ে আসছেন মহিন্দর অমরনাথ। স্কোর বোর্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ৫১.৫ ওভার : ১৪০-৯, ভারতের সিটে ১৮৩, অমরনাথের বল সোজা হিট করলো হোল্ডিং-এর প্যাড, আম্পায়ার ডিকি বার্ড আঙুল তুলে জানিয়ে দিলেন লেগ বিফোর উইকেট। আপিলটা যেন ভারত থেকে কয়েক হাজার বর্গমাইল দূরে ব্রিটিশ সীমান্তে ঠিকরে পড়েছিল। শেষ উইকেটটা পড়তেই ৮৩' র সেই অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। উইকেট হাতে দৌড়চ্ছেন পাতিল, গাভাস্কার, শ্রীকান্ত, ইয়সপাল, মদনলালরা। লয়েড, মার্শাল, গার্নার, গ্রিনিজদের ৭৫-৭৯ এর দম্ভ চুরমার করে প্রথম বিশ্বকাপ হাতে তুলে নিলেন অধিনায়ক কপিল দেব। বিদেশের মাটিতে ভারতীয় ক্রিকেটের সাফল্যের বীজ বপন হলো। তারপর "বিশ সাল বাদ" ; ২০০৩, ২৩শে মার্চ, সাউথ আফ্রিকার স্বর্ণশহর জোহানেসবার্গ, ওয়াণ্ডেরর্স স্টেডিয়াম এ তখন অস্ট্রেলিয়ার ক্যাপ্টেন রিকি পন্টিং আর ডেমিয়েন মার্টিন এর বিক্রম চলছে। ১৪০এ থামলেন পন্টিং, অস্ট্রেলিয়ার স্কোর গিয়ে ঠ...