সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আটপৌরের মুখোমুখি অভিনেত্রী কোয়েল সঞ্চারী


 থিয়েটার দিয়ে তাঁর জীবনে অভিনয়ের হাতেখড়ি, তারপর সিনেমা এবং ধারাবাহিক। অভিনেত্রী কোয়েল সঞ্চারীর ছোট থেকেই নাচের শখ, অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছে ছিল মনে। সেই ইচ্ছে পূরণ হয়েছে আজ বহুদিন হলো। অন্তত বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর পরিচিতি বেড়েছে বলে তিনি দাবি করেন। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছেন, " ২০১৪ সাল থেকে কাজ করতে শুরু করেছি, ধীরে ধীরে অনেককটা বছর কেটে গিয়েছে। একটু হলেও আগের চেয়ে পরিচিতি বেড়েছে।" 


যদিও তাঁর পরিচিতি এই মুহূর্তে অন্যতম কারণ 'ফেরারী মন' ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকে তিনি গলু নামক একটি পার্শ্বচরিত্রের অভিনয় করছে। যদিও পার্শ্বচরিত্র হলেও, তাঁর অভিনয়ের সাবলীল ভাষা দর্শকদের মন ছুঁয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ধারাবাহিক বাংলার দর্শকদের মনের মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছে। অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করাতে তিনি জানালেন, ' আসলে ধারাবাহিকের গল্পগুলো যদি একটু অন্যরকম হয় তাহলেই দর্শকরা সেই ধারাবাহিক সহজেই পছন্দ করে।" একটু থেমে তিনি আরও জানালেন,' একটি কলেজ জীবনের গল্প দিয়ে ধারাবাহিক শুরু হয়েছিল। তারপর সেই গল্প ধীরে ধীরে অন্যদিকে মোড় নিয়েছে।" 


অভিনেত্রী কোয়েল সঞ্চারী যে চরিত্রটি অভিনয় করছেন সেই চরিত্রটি একটি হাসির চরিত্র। অভিনেত্রী জানালেন, ' এই গলু সারাদিন খাই খাই করে। একটু মোটাসোটা এই চরিত্রটি একটু মনভোলা, সবসময় হাসি লেগে থাকে মুখে।" জিজ্ঞাসা করলাম, ' সঞ্চারীও কি ব্যক্তিগত জীবনে এইরকম খাই খাই করে?' ফোনের ওপার থেকে হাসির শব্দ পেলাম। 




সঞ্চারী এর আগে ইকির মিকির, বেদের মেয়ে জোসনা, এখানে আকাশ নীল,গ্যাংস্টার গঙ্গা-এর মতো ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। শুধু ধারাবাহিক নয়, 'কে তুমি নন্দিনী'-এর সফল সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন। এছাড়াও মুক্তির অপেক্ষায় প্রহর গুনছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ছবি 'শুধু আসা যাওয়া'। এই সিনেমায় সঞ্চারী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে অভিনয় করেছেন।

ফেরারী মন ধারাবাহিক নিয়ে সঞ্চারী খুব আশাবাদী। সদ্য উত্তরবঙ্গ থেকে শুটিং করে ফিরেছে টিম ফেরারী। এই প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ' কিছুদিন আগে আমাদের উত্তরবঙ্গে শুটিং হলো। আমাদের টিম খুব ভাল। একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করি আমরা।"

জিজ্ঞাসা করলাম, " সিনেমা করার অফার কিছু পাননি?" তিনি বললেন, " হ্যাঁ, ভাল কাজ পেলে অবশ্যই করব। তবে ইদানীং তেমন ভাল কাজের অফার পাইনি।"

(ছবি-সংগৃহীত)

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...