সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

" অনেকেই মনে করেন সকালে উঠে খালি পেটে গরম জলে মধু আর লেবু মিশিয়ে খেলেই বড্ড তাড়াতাড়ি রোগা হওয়া যায়"


 

খাই খাই বাঙালির বারো মাসে চব্বিশ পার্বণ। আবার সঙ্গে আছে সুস্থ থাকার হরেক রকমের উপায়। তেলেভাজা খাওয়া ছাড়া যাবে না অথচ ডায়েট করতে হবে এমন মনোভাবাপন্ন বাঙালির  ছড়াছড়ি চারিদিকে। ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে এহেন বাঙালি নেই যিনি আগামী বছর কীভাবে সুস্থ থাকবেন কিংবা কী ডায়েট করবেন সেটা নিয়ে এখন থেকেই ভাবতে বসেছেন। 


বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং 'ফেস যোগ' প্রশিক্ষক রেশমী মিত্র আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে, " ডায়েট নিয়ে এখনও আমাদের মধ্যে অনেক রকমের ভুল ধারণা আছে যেগুলো ভাঙাটা খুব জরুরি।" একটু থেমে তিনি আরও জানালেন যে, " অনেকেই মনে করেন সকালে উঠে খালি পেটে গরম জলে মধু আর লেবু মিশিয়ে খেলেই বড্ড তাড়াতাড়ি রোগা হওয়া যায় আবার সারাদিন ভাত-রুটি না খেলেও নাকি রোগা হওয়া সম্ভব। এইসব ভাবনা এখন আর ডায়েটে চলে না।" 




বলাই বাহুল্য রেশমী মিত্র বিগত কয়েক মাসে বেশ পরিচিত পুষ্টিবিদের তালিকায় নিজের নাম করে নিয়েছে। যদিও এই নিয়ে রেশমী মিত্র একটুও ভাবিত নন। কারণ তিনি আরও অনেক দূর এগোতে চান। তাঁর ভাষায়, '' প্রতিনিয়ত নিজেকে আপডেট রাখতে হবে। তবেই সঠিক ডায়েট বাতলে দেওয়া সম্ভব। কারণ আজকাল জীবন যাত্রার মান অনেকটা পাল্টাচ্ছে। এই পাল্টে যাওয়ার জন্যই আজকাল ডায়েটের ভঙ্গিও বদলেছে।" 


কোভিদের পরবর্তী জীবনযাত্রা রেমশীর জীবনে প্রভাব ফেলেছিল। তিনি অনেকটা ওজন বৃদ্ধি করেছিলেন এবং সেই ওজন কমানোর তাগিদ তাঁকে আজ কলকাতার বুকে পরিচিত একজন পুষ্টিবিদ হিসেবে গড়ে তুলেছে। জিজ্ঞাসা করলাম , " নতুন বছরে সুস্থ থাকার জন্য কী কী টিপস দেবেন? " তিনি হাসতে হাসতে বললেন, " আসলে এটা কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন। ম্যান টু ম্যান ভ্যারি করে। তবুও কিছু আছে।" একটু থেমে তিনি জানালেন, " অন্তত প্রতিদিন সকালে একটু হলেও হাঁটা কিংবা 'ফ্রী-হ্যান্ড' কিছু ব্যায়াম। চেষ্টা করবেন বিস্কুট আর চিনি সারাদিনের খাদ্য তালিকা থেকে বাদ রাখার। এটা অন্তত ক্ষতিকারক।" আবারও বললেন, " আসলে বাঙালি ওই সন্ধেবেলাটায় একটা বিরাট ভুল করে বসে। চপ, মুড়ি, সিঙ্গারা, কচুরী কিংবা ময়দার মোমো এইসব খেয়েই তো আমরা অনেকটা ওজন বাড়িয়ে ফেলি।" ওনাকে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, " তাহলে কি চটজলদি খাবার একদমই বাদ?" তিনি জানালেন, " তেমনটা নয়। সবকিছুরই ব্যালেন্স দরকার। ওটাই আসল।" 


রেশমী মিত্রর মতে, একটা সাধারণ ডায়েটই বদলে দিতে পারে আপনার জীবনভঙ্গি। তবে নিয়মিত মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম তাহলেই কেল্লাফতে। অনিয়মিত জীবনযাত্রায় কোনও ডায়েটই কাজ করে না। আপনার চাইলেই অনায়াসে যোগাযোগ করতে পারেন রেশমীর সঙ্গে। বদলে ফেলতে পারেন জীবনভঙ্গি। রইল যোগাযোগের উপায়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...