সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...

"চিকেন পক্সে ভয়ের কিছু নেই"-ডাক্তার প্রীতম বোস

বিগত কয়েক মাস ধরে এই শহরে বাসা বেঁধেছে ভয়, একের পর এক রোগ থাবা বসছে তিলোত্তমার বুকে। আমাদের খুব চেনা অসুখ অচেনা হয়ে গিয়েছে, মৃত্যুও হয়েছে কিছু। জলবসন্ত কিংবা চিকেন পক্স-এর ইতিহাস কে না জানে। তবুও শহরবাসী কিছুটা হলেই ভীত এবং সন্ত্রস্ত! বিগত কয়েকটা মাসে চিকেন পক্সে মৃত্যু দেখেছে শহরবাসী। সংখ্যা দুই অঙ্কের ঘর ছাড়িয়েছে। আর আক্রান্ত তো অনেকেই। হয়ত তার হিসেব নেই। কিন্তু এ তো কিছু নতুন নয়, প্রতিবছরই তো অনেকই আক্রান্ত হচ্ছেন। তবুও একটা ভয় বাসা বেঁধে আছে মনে। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রীতম বোস জানালেন, " এতে ভয়ের কিছু নেই। এটা খুব সাধারন একটা অসুখ যা সামান্য কিছু নিয়ম মানলেই সেরে যায়।" ডাক্তারবাবুকে একটু থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, " চিকেন পক্সের কী বিশেষ কোনও লক্ষণ থাকে?" ডাক্তার বোস জানালেন, " অবশ্যই থাকে। গায়ে লাল লাল ফুসকুড়ি বেরোয়। চুলকায় এবং ফুসকুড়ি জায়গায় ব্যথা থাকতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে হালকা থেকে মাঝারি মাপের জ্বর থাকে। অনেক সময় অনেকের পেট খারাপও হতে পারে। অনেক সময় খিদে কমে যায়। এই সমস্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে।" একটু থেমে ডা. প্রীতম বোস বললেন, ...

"আগেও অ্যাডিনো ভাইরাসে অনেকেই আক্রান্ত হতো এবং সুস্থও হয়ে উঠত।"-ডাক্তার ব্রতেশ দাস

 শহর জুড়ে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপাদাপিতে  অনেকের মনেই বাসা বেঁধেছে ভয়। বিশেষত দুই বছরের কম শিশুদের অভিভাবকদের মুখে চিন্তার ভাঁজ। খবরের শিরোনামে এখন অ্যাডিনো! তবে কী এই অ্যাডিনো ভাইরাস? এই ভাইরাসের থেকে বাঁচার উপায় আছে কি? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে বিশিষ্ট শিশু চিকিৎসক ব্রতেশ দাস জানালেন, " এই মুহূর্তে আতঙ্কিত না হয়ে বরং ভাইরাসের মোকাবিলা করতে গেলে সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করা জরুরি। এছাড়া এই ভাইরাস মূলত দুই বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তবে এই সময়ে অনেক বড় বাচ্চাদেরও এই ভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়ষ্কদের মধ্যেও অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন।"  কলকাতা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ব্রতেশ দাস আরও জানালেন যে, "আগেও এই ভাইরাসে অনেকেই আক্রান্ত হতো এবং সুস্থও হয়ে উঠত। তবে এই বছরে আমরা একটু বেশীই সংক্রমণ হতে দেখছি। তাই আগেভাগে সতর্কতাও নিচ্ছি। এই ভাইরাস মূলত আমাদের শ্বাসযন্ত্রে আক্রমন করে। সাধারণ ঠান্ডা-গরমের মতো কিছু লক্ষণ থাকে। জ্বর-সর্দি-কাশি হিসেবে এই রোগের লক্ষণ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তারপরে ধীরে ধীরে জ্বরের মাত্রা বাড়তে ...

আটপৌরের মুখোমুখি ফুড ব্লগার দীপ

  এই যুগে ফুড ব্লগিং অনেকটা কোভিডের মতো ছোঁয়াচে। তবে আমরা যারা বাড়িতে বসে এই সব ফুড ব্লগিং দেখে থাকি কিংবা যাদের জন্য এইসব ফুড ব্লগিং দেখে জিভে জল আসে, তাদেরকে কুর্নিশ। তারা অন্তত বিগত বেশ কয়েকটা বছর ধরে খাদ্য এবং খাদকে আমাদের ডাইনিং টেবিলে নিয়ে এসেছে। শুধু তাই নয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে যে সাবলীলভাবে উপায় করা যেতে পারে তার খোঁজও তাঁরা দিচ্ছে। বাংলায় এই মুহূর্তে ফুড ব্লগারদের ছড়াছড়ি। তবে এই ভিড়ে যারা একটু আলাদা তাদের মধ্যে '১০০ এন্ড এভব'-এর মাথা দীপায়ন রায় অর্থাৎ দীপ। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে দীপ জানালেন, " ২০১৯ সাল থেকে ফুড ব্লগিং করছি, যদিও আমার পেশা আর নেশা এক নয়। কারণ আমি প্রচন্ড ঘুরতে ভালবাসি,  ট্রাভেল ব্লগ করি। খেতে ভালবাসি। তবে এইগুলো নেশা। পেশাগতভাবে আমি ইঞ্জিনিয়ার।" একটু থামিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করলাম, " নেশাকেই পেশা হিসেবে বেচে নেননি কেন?" দীপ জানাল, " আসলে আমি খুব নিয়ম মেনে কাজ করতে ভালবাসি। আমি চাকরি করতে করতে সববৎ শিখেছি। আমার মনে হয় জীবনের একটা চাকরি আমাদের অনেক কিছু শেখায়। তাই জীবনের প্রাথমিক শিক্ষার পরে চাকরি করা জরুরি।" তাঁ...

"বাঙালি মানেই ডাক্তার....": ডা. শাশ্বত সাহা

  বাঙালি তো নিজেই ডাক্তার। সব বিষয়ে বাঙালি ডাক্তারি করতে অভ্যস্ত। বহুযুগ ধরেই সবজান্তা বাঙালি ডাক্তারিটা নিজের মতো করে নিয়েছে। আর এই ইন্টারনেটের যুগে তো আরও বাড়বাড়ন্ত শুরু করেছে। গুগুল ঘেঁটে ডাক্তারি করতে এখন সবাই পটু। বিশিষ্ট চিকিৎসক শাশ্বত সাহা আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে, " বিষয়টা এখন সবার কাছেই খুব সহজ। ইন্টারনেটের সাহায্যে সবাই সবকিছু জেনে যাচ্ছে, তবুও খুব স্বাভাবিক ভাবেই গোড়ায় গলদ থেকে যাচ্ছে। কোনটা কীসের রোগ অথবা কোনটা কীসের ওষুধ সেটা না বুঝে মুঠো মুঠো খেয়ে ফেলছি। যেটা পরবর্তী কালে বিপদের কারণ ডেকে আনছে।" জিজ্ঞাসা করলাম, " আমাদের স্বাস্থ্য কাঠামো তো অনেক উন্নতি করেছে, তবুও গলদ থাকছে ?" ডাক্তারবাবু জানালেন, " স্বাস্থ্য কাঠামো উন্নতি করেছে ঠিকই তবে একদম প্রাথমিক স্তরে স্বাস্থ্য কাঠামো বেশ নড়বড়ে। টায়ার ১, টায়ার ২, টায়ার ৩, টায়ার ৪ এইরকম স্তরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ভাগ করা হয়। টায়ার ১ হলো একদম ব্লক স্তরের হেল্থ সেন্টার। যেখানে একদম খুব প্রাথমিক স্তরের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে চর্চা হয়। টায়ার ২ তার উপরে, টায়ার ৩ বলতে যে কোনও জায়গার স্টেটে জেনারেল হাসপ...

আটপৌরের মুখোমুখি ডা.সোমনাথ বিশ্বাস

 ঝরা বসন্তের এই প্রাক মরশুমে বাঙালির প্রেম জাগে, পুরোনো প্রেম নতুন করে কিংবা নতুন প্রেম আরও নতুন করে পাওয়ার তাগিদ এই সময়ে বেড়ে যায়। একটা হালকা হাওয়া বয়ে আসে, আর এই হালকা হাওয়াতেই বাসা বাঁধে বিভিন্ন রোগ! গলা খুশখুশ থেকে শ্বাসনালীর  বিভিন্ন সমস্যা এই সময়টাই লেগে থাকে। তাই ঝরা বসন্তে শুধু বাঙালির প্রেম নয়, শরীর খারাপেরও ভূত চাপে!  বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. সোমনাথ বিশ্বাস আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে, " এই সময়টা একটু সাবধানে থাকলে ভাল হয়। ঠান্ডা-গরমের এই খামখেয়ালিপনা অনেকেরই সহ্য হয় না।" জিজ্ঞাসা করলাম, " এই সময়ে সুস্থ থাকতে আপনি কী পরামর্শ দেবেন?" ডাক্তারবাবু একটু ভেবে বললেন, " আসলে ব্যাপারটা খুব জটিল।" একটু থেমে ডাক্তারবাবু আবার বললেন, " কার কী সমস্যা আছে সেটা আগে থেকে জানা দরকার। তবে খুব সাধারন কিছু ব্যাপার যেমন  ঠান্ডা না লাগানো, ঘাম না বসে যাওয়া এইগুলো একটু নজর দিতে হবে। এই মুহূর্তে বাইরে বেরোলে মাস্ক পরলে ভাল হয়। অনেকেরই এই ধুলো-ধোঁয়ায় সমস্যা হয়। প্রতিদিন উষ্ণ জলে গার্গেল করা, ভেপার নেওয়া এগুলো করলে ভাল হবে। তবে বুকে যদি কফ বসে যায় কিংবা কাশি যদি ক্রমা...