সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

SOS KOLKATA: এবার পুজোয় নতুন চমক

 



সব বাঙালি এখন পুজোয় প্রতীক্ষায় দিন গুনছে। আর বাঙালির পুজো মানেই তো নতুন জামাকাপড়, হরেক রকমের খাওয়াদাওয়া, এদিক ওদিক ঘুরতে যাওয়া আর নতুন সিনেমা! হ্যাঁ ঠিক পুজোর আগে কিংবা পুজোর বাঙালি নতুন সিনেমা দেখবে না সেটা কি হয়? বাঙালির পুজো রিলিজ একটা আলাদা সেন্টিমেন্ট। আর সেই সেন্টিমেন্টের ঢাকে কাঠি পড়বে 'SOS কলকাতা'কে দিয়ে। 


ইতিমধ্যে এই সিনেমার ট্রেলর এসে পড়েছে এবং সেই ট্রেলর দেখে সিনেমাপ্রেমী বাঙালি বেশ মুগ্ধ এবং অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ১৭ই অক্টোবরের জন্য। কারণ ১৭ই অক্টোবর রিলিজ করতে চলেছে এসওএস কলকাতা। এই এলোমেলো পরিস্থিতির মধ্যে রিলিজ করলেও এই সিনেমার প্রযোজক এবং অভিনেত্রী এনা সাহা কিন্তু সিনেমাটি নিয়ে বেশ আশাবাদী। কোভিড সময়ে সমস্ত নিয়ম মেনে এই সিনেমার শুটিং হয়েছে এবং সেই একই নিয়ম মেনে এবার দর্শকদের সামনে আসতে চলেছে এসওএস কলকাতা। 

যদিও এই সিনেমার প্ল্যানিং হয়ে গিয়েছিল বেশ অনেক আগেই কিন্তু কোভিডদের জন্য সেটা বাস্তবায়িত হতে কিছুটা সময় লেগে গেলো। যদিও সেই নিয়ে কুছ পরোয়া নেহি। আসল হল কন্টেন্ট! আর সেই কন্টেন্ট-এর চিহ্ন ইতিমধ্যেই ট্রেলর এবং সিনেমার গানে দেখা গিয়েছে। 


সিনেমার বিষয়বস্তু বেশ মজবুত। কলকাতায় কি হামলা হবে?আর হলে সেটা সামলাবে কে? সেই নিয়েও কোনও চিন্তা নেই। আমাদের মধ্যেই এমন কিছু দেশরক্ষক আছে যাঁরা দিনরাত এক করে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কোনও রকম হামলা হওয়ার আগেই তাঁরা সতর্ক থাকেন। 


এই সিনেমার মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন যশ দাশগুপ্ত, মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান, এনা সাহা, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, রাজকুমার পাত্র এবং আরও অনেকে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন অংশুমান প্রত্যুষ। এই সিনেমার মিউজিক করেছেন স্যাভি গুপ্ত এবং নবারুণ বোস। 



প্রথম প্রযোজনা হিসেবে এনা সাহা জানালেন," অনেক এক্সপেটেশন আছে। আসলে ভাল কাজটাই শেষ কথা।" একটু থেমে তিনি আরও জানালেন, " দর্শক হলে এসে এই সিনেমা দেখবে এবং তাঁরা কেউই নিরাশ হবে না।" জিজ্ঞাসা করলাম , " অভিনেত্রী না প্রযোজক ? কোনটা বেশি কঠিন?" তিনি হাসতে হাসতে জানালেন, " দুটোই। তবে দুটো আলাদা সত্ত্বা। যখন অভিনয় করছি তখন সেটাই শুধু ভাল করে করছি। আর প্রযোজনার সময় শুধু সেই সেই দিকেই নজর রাখছি।"


সিনেমার গল্পটি কিন্তু একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয় এনা সাহা একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছে। জিজ্ঞাসা করলাম, " কোন চরিত্র?" তিনি হাসতে হাসতে বললেন ," সেই জন্য তো হলে আসতে হবে।"

( লেখা-আদিত্য ঘোষ

ছবি- সংগৃহীত)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...