সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অভিনেত্রী নয়না গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর কেরিয়ারের প্রতিটা মোড়ে চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসেন


 অভিনেত্রী নয়না গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর কেরিয়ারের প্রতিটা মোড়ে চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসেন, শুধু ভালই ভালবাসেন না সেই সঙ্গে সেই চ্যালেঞ্জকে সফল করে পোঁছে যান আরও উঁচু শিখরে। সেই 'চরিত্রহীন'-এর কিরণময়ী একের পর এক শিখর ছুঁতে ছুঁতে বিন্দুমাত্র ক্লান্ত হয়ে পড়েননি, ছুটে চলেছেন নিজের গতিতে। 

 

এই বছর শেষেই আসতে চলেছে 'ডেনজেরাস'! রাম গোপাল ভার্মা প্রযোজিত এবং পরিচালিত এই সিনেমার পোস্টার ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ঝড় তুলেছে। আপনি ভাবতেই পারেন, পোস্টার কি করে ঝড় তুলবে? আসল ব্যাপারটা হল পোস্টারতে একটি কথা লেখা আছে, ' ভারতের প্রথম লেসবিয়ান ক্রাইম একশন ফ্লিম!' থমক লাগল? লাগারই কথা কারণ রাম গোপাল ভার্মা সবসময় একটু আলাদা, তিনি ইউনিক। তাঁর ছবি কথা বলে। আর তার চেয়েও বড় কথা হল সাহসী নয়না গঙ্গোপাধ্যায় কিন্তু সবসময় চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসেন। এর আগেও তো ' জোহর' কিংবা ' ভাঙ্গাবেটি' কিংবা ' বিউটিফুল' অথবা ' চরিত্রহীন ১ এবং ২' সবকটি চরিত্রেই তিনি ঝড় তুলেছেন। অভিনয়ের দক্ষতা দেখিয়েছেন এবং সবর্পরি দর্শকদের মনে স্থান করে নিয়েছেন।


অভিনেত্রী জানালেন," প্রথমে ভেবেছিলাম এই রকম চরিত্রে আমি অভিনয় করব না। কারণ এটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। এর আগে এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করিনি। কিন্তু পরে ভাবলাম পারব, পারতেই হবে। চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।" যদিও অভিনেত্রী সিনেমার গল্প নিয়ে বেশী মুখ খুললেন না, শুধু জানালেন, " প্রেমের গল্প। শুধু প্রেমই নয় অনেক টুইস্টও আছে। প্রতিটা মোড়ে মোড়ে এক একটা নতুন পল্ট, একশন, ড্রামা, থ্রিলার সবই আছে।"


এই সিনেমার তাঁর চরিত্রের নাম নলিনী। সিনেমার শুটিং হয়েছে গোয়াতে। সিনেমাটি নিয়ে অভিনেত্রী বেশ আশাবাদী। তিনি জানালেন, " এই ধরনের সিনেমা আগে হয়নি। আর আমি একটু বেছেই কাজ করি। এই সিনেমার কন্টেন্ট বেশ স্ট্রং। রিলিজ করলেই দর্শকরা বুঝতে পারবে।" এই সিনেমায় রাজপাল যাদবও অভিনয় করেছেন। 

জিজ্ঞাসা করলাম, " আপনি এত চ্যালেঞ্জ নিতে নিতে ক্লান্ত হয়ে যান না?" হাসতে হাসতে বলল, " অনেক কাজ এখনও বাকি। ক্লান্ত হলে চলবে?"


( লেখা- আদিত্য ঘোষ 

ছবি - সংগৃহীত) 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...