সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আটপৌরের মুখোমুখি অভিনেত্রী নয়না গঙ্গোপাধ্যায়




ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর দুটো, ফোনের ওপর প্রান্তে তখন একটা মিষ্টি কণ্ঠস্বর এই গ্রীষ্মের দাবদাহকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিল। চরম ব্যস্ত অভিনেত্রী নয়না গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরেকে ফোনে ধরা দিলেন মুম্বই থেকে। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কে নয়না গঙ্গোপাধ্যায় ?


তাহলে ফিরে যেতে হয়, ওয়েব সিরিজ ‘চরিত্রহীন’-এর গল্পে। সেই কিরণকে কিন্তু এখনও অনেকেই মনে রেখেছে। শুধু তাই নয় এই মাসেই হইচই ওয়েব প্লাটফর্মে আসতে চলেছে ‘চরিত্রহীন ২’! এই ‘চরিত্রহীন’ওয়েব সিরিজ  অভিনেত্রী নয়না গঙ্গোপাধ্যায়কে কিন্তু বাঙালী দর্শকের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। শুধু পৌঁছেই দেয়নি, উপরন্তু তাঁর সাবলীল অভিনয় মুগ্ধ করেছে অগণিত দর্শককে। তাঁর সাহসী অভিনয় আলোড়ন ফেলে দিয়েছে বাংলা ওয়েব সিরিজের জগতে। সেই জন্যই অনেকেই অপেক্ষা করে আছেন,  ‘চরিত্রহীন ২’-এর জন্য।

অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’চরিত্রহীন-এর দ্বিতীয় পর্বে দর্শকদের জন্য কী অপেক্ষা করছে?’’তিনি জানালেন যে, ‘’ দ্বিতীয় পর্বে অভিনয়টা আরও চ্যালেঞ্জিং ছিল। আশা করি আগের চেয়েও আরও বেশি ফিডব্যাক পাবো। তবে যতদিন না পর্যন্ত স্ট্রিমিং হচ্ছে, ততদিন অবধি সাসপেন্স থাক।‘’



চরিত্রহীনএর হাত ধরে বাঙালী দর্শক তাঁকে চিনলেও তিনি কিন্তু বাংলা ছাড়াও আরও অনেক ইন্ড্রাস্টিতে কাজ করে ফেলেছেন তাঁর প্রথম কাজ রাম গোপাল ভরমার তেলেগু ছবিবঙ্গা বেটিদিয়ে  তারপরমেরি বেটি সানি লিওনি বাননা চাহতি হ্যায়নামের একটি শর্ট ফিল্ম করেন তিনি এছাড়াওগান অ্যান্ড থাইসনামের একটি ওয়েব সিরিজেও দেখা গিয়েছে অভিনেত্রী নয়না গঙ্গোপাধ্যায়কে এছাড়াও রয়েছে আর একটি তেলেগু ছবি ‘ জোহার’। 

এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি একটি তামিল ছবির কাজ শুরু করেছেন তিনি এবং এই বছরের শেষের দিকে একটি বলিউড রিলিও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে সব মিলিয়ে বলা যায়, তিনি এখন তাঁর কেরিয়ারের একদম লাইম লাইটে



অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ আপনার কি ছোট থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন ছিল ?’’ তিনি হাসতে হাসতে জানালেন, ‘’ না, তেমন কোনও প্ল্যান ছিল না  আমি ছোটবেলায় স্পোর্টস ভালবাসতাম কিন্তু তারপর বাকিটা একেবারেই প্ল্যান করা ছিল না সবটাই হয়ে গেছে‘’
আপাতত তাঁর ইচ্ছে সমস্ত ইন্ড্রাস্টিতে কাজ করার শুধু কাজই নয় বরং ভাল কাজ করার তিনি সবসময় চ্যালেঞ্জিং রোল করতে প্রস্তুত



তাঁর বড় হয়ে ওঠা কলকাতায় হলেও তিনি এখন আরব সাগরের পারের বাসিন্দা  তবে এই জায়গা থেকেই তিনি এখনও আরও বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন আরও আরও কাজ করার আশা করছেন তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ ‘চরিত্রহীন’-এ আপনাকে একটা বোল্ড রোলে দেখা গিয়েছে বাংলায় ইন্ড্রাস্টিতে প্রথম কাজেই আপনি এতটা বোল্ড হলেন, সেক্ষেত্রে আপনার ইমেজ অন্যরকম তৈরি হবে না তো? নয়না সাবলীল ভাষায় বললেন, ‘’ চরিত্রের প্রয়োজনে আমাকে করতে হয়েছে ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলেও করতে রাজি আছি  তবে অকারণে বোল্ড সিন করতে আমি রাজি নয়‘’




সবশেষে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ পাহাড় না সমুদ্র, কোনটা পছন্দ?’’ তিনি তাঁর মিশুকে ভাষায় জানালেন, ‘’ পাহাড়ে যেতে ভয় লাগে যদি পড়ে যায় আর সমুদ্রে যদি ডুবে যায়‘’তারপর ফোনের ওপার থেকে শুধু হাসির শব্দ পেলাম


( সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ 
ছবি- অভিনেত্রীর থেকে সংগৃহীত) 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...