ক্যামেরার সঙ্গে তাঁর ছোট থেকেই
আলাপ! তবে এই ক্যামেরায় যে একদিন তাঁর ‘বেটার হাফ’ হয়ে উঠবে, সেটা অনেক পরে এসে
বুঝতে পেরেছেন। শুধু তাই নয়, এই ক্যামেরায় তাঁকে এনে দিয়েছে স্পট লাইটের নীচে। মধুরা
পালিত, প্রথম ভারতীয় মহিলা সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে তিনি জিতে নিলেন পুরস্কার। ২০১৯
কান চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁকে ‘ পিয়ের অঁজেনিউ
এক্সেলেন্স ইন সিনেমাটোগ্রাফি স্পেশ্যাল এনকারেজমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ এই সম্মানে
ভূষিত করা হল।
এই কম বয়সে এই বিরাট সম্মানে ভূষিত
হয়ে মধুরা যেমন আপ্লুত, ঠিক তেমনি মহিলা সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে তাঁর আক্ষেপও
রয়েছে যথেষ্ট। তিনি আটপৌরেকে জানালেন, ‘’ এখনও অনেকেই মেনে নিতে পারেন না যে একজন
মহিলা সিনেমাটোগ্রাফার ফ্লোরে থাকতে পারেন, সে একা হাতে সব কাজ সামলাতে পারেন। এটা
শুধু বাংলার সমস্যা নয়, পুরো ইন্ড্রাস্টির সমস্যা।‘’ একটু থেমে তিনি আরও জানালেন
যে, ‘’ আমি অনেক সময় দেখেছি যে, আমাকে দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন কারণ আমি একজন
মহিলা সিনেমাটোগ্রাফার। আবার অনেকে বলেছেন, ‘ আপনি পারবেন তো?’এইসব সমস্যার
সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাকে।‘’
সেন্ট জেভিয়ারসের ছাত্রী মধুরা
গ্রাজুয়েশন করতে করতে ঠিক করে নিয়েছিলেন যে, ক্যামেরাই তাঁর শেষ কথা। তারপর
সত্যজিৎ রয় ফ্লিম ইনস্টিটউট থেকে পড়াশুনা শেষ করে একেবারে তাঁর জীবনের লক্ষ্য ঠিক
করে ফেলেছেন। ইতিমধ্যে অঞ্জন কাঞ্জিলাল পরিচালিত ‘ সহবাস’ ছবির কাজ করছেন। তাছাড়াও
তাঁর ঝুলিতে রয়েছে, ‘পেপার বয়’, ‘ সম্পূরক’ এর স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি। এছাড়াও
অনিন্দ্য পুলকের ‘ ওয়াচ মেকার’, অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ আমি ও মনোহর’, অর্ঘ্য
চট্টোপাধ্যায়ের ‘ রডড্রেনডন’ প্রভৃতি ফিচার ফ্লিমেও কাজ করেছেন তিনি। এখানেই শেষ
নয়, বহু বিজ্ঞাপনের ছবি, মিউজিক ভিডিও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
সবশেষে আটপৌরেকে তিনি জানালেন যে,
‘’ নিজের একটা ছবি করার ইচ্ছে আছে। তবে এখনই নয়। একটু সময় নিতে চাই। পায়ের তলার
মাটিটা আর একটু শক্ত করি আগে, তারপর নিশ্চয় বানাব।‘’
( সাক্ষাৎকার - আদিত্য ঘোষ
ছবি- সংগৃহীত)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন