সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মাত্র আড়াই মাসের চেষ্টায় ডাবলুবিসিএস

আদিত্য ঘোষ, কলকাতা: সব রূপকথা গল্পে হয় না। কিছু রূপকথা বাস্তবে থেকে যায়। থেকে যায় বেঁচে থাকার গল্পেরা। বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন থেকে প্রশাসনিক আমলা, হয়ত মনে হবে ছিটকে পড়ার গল্প কিন্তু বাস্তবে তা রসদ জোগায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য। সৌম্যা শীল তেমনই এক ছিটকে পড়া গল্পের একজন। দিল্লিতে বেড়ে ওঠা সৌমার জীবনে স্বপ্ন ছিল বিজ্ঞানী হতে। উদ্ভিদ বিজ্ঞানের ছাত্রী সৌম্যা জীবনের মোড় ঘোরে তাঁর জীবনের প্রেম ভাঙার পর থেকে। ধীরে ধীরে একাকীত্ব গ্রাস করে তাকে। নিমিষে কিছু স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। বিদেশে যাওয়ার স্বপ্নও থমকে যায়। বাসা বাঁধে জটিল রোগ। কানের শোনার সমস্যা ধীরে ধীরে তাকে ব্যাকফুটে নিয়ে যেতে শুরু করে। দিশেহারা সৌমা একটি চাকরি খুঁজতে থাকেন। পড়াশুনা করেন  ইউপিএসসির জন্য। তবে সেখানেও বাসা বাঁধে শরীর। শারিরীক অসুস্থতার জন্য আবারও তাঁকে অপেক্ষা করতে হয় বাউন্ডারির সাইড লাইনে। তবে সেই অপেক্ষা বেশীদিন করতে হয়নি। মাত্র আড়াই মাসের পড়াশুনার জোরে তিনি পশ্চিমবঙ্গ সিলিভ সার্ভিস পরীক্ষা পাশ করেন। হয়ে উঠেন গ্রেড ওয়ান অফিসার। চাকরি জীবনে শুরুর পর থেকেই মডেলিং শুরু করেন। হয়ে উঠেন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সর।সোশ্যাল...

এভাবেও ফিরে আসা যায়....

 আদিত্য ঘোষ, নৈহাটি: অনেকদিন বাদে পূজারা একটু মেরে খেলল। একদম ঝকঝকে ইনিংস। চেনা ছন্দের বাইরে খেললে পুরোনো খেলোয়াড়কেও নতুন মনে হয়। মনে হয় বুড়ো হাতের ভেলকি দেখাচ্ছে। সেই খেলা দেখতে বেশ লাগে। মনে হয় আরও অনেক্ষণ এই খেলা চলুক। ঠিক যেমন এই আমি নেই আমি দেখতে দেখতে মনে হলো সর্বজিৎ সরকারকে আরও একটুখানি দেখি। আরও বুড়ো হাতের ভেলকি দেখি। বুড়োটা কিন্তু থিয়েটারের সিনিয়রের অর্থে ব্যবহার করলাম। বয়সে আমার চেয়ে সামান্য বড় হলেও সবর্জিৎ কিন্তু থিয়েটারের মঞ্চে প্রবীণ। নৈহাটি এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সামান্য নামডাক আছে বৈকি তবে গল্পের সঙ্গে সর্বজিৎ-এর কিছু মিল আছে। এ যেন সর্বজিৎ-এর নিজের গল্প। নিজের রোজনামচা মঞ্চে আলোর ঘেরাটোপে, নিজের ছায়ার গল্প। নিজের সঙ্গে নিজে আরও কিছুক্ষণ। ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ন'টা সাত। নৈহাটি ঐকতান মঞ্চে সবে শুরু হলো নারায়ণ স্যানালের লেখা নাটক এই আমি নেই আমি। মূল চরিত্রে সর্বজিৎ সরকার। বিগত কয়েক বছরে সর্বজিৎ সরকারে অভিনয় বড্ড একঘেয়ে হয়ে গিয়েছিল। মনে হয়েছিল সর্বজিৎ একটা সাজানো বৃত্তে হারিয়ে যাচ্ছে। বড্ড মেলোড্রামাটিক হয়ে যাচ্ছে।  নৈহাটি আরশি প্রযোজিত নাটক এই আমি নেই আমি দেখার...

" আমার ক্লিনিক্যাল চর্চায় আমি খুব কমই ক্লায়েন্ট পেয়েছি যারা বলেছে আমি সুস্থ থাকতে চাই" : ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  বাঙালি মানেই বারোমাসে তেরোপার্বণ। বাঙালি মানেই পেটপুজো থেকে বাহারাদি। তবে সচেতন বাঙালির টনক নড়ে ঠিক উৎসবের আগে! একটু রোগা হতে হবে। আমাকে দেখতে কেমন একটা হয়ে গিয়েছে, এবার একটু ঠিক হতে হবে। অমুক জামাটা গায়ে হচ্ছে না! এই ধরনের কথা আমাদের জাগ্রত বিবেক প্রায়ই বলে থাকে। কিন্তু মাঝেমধ্যেই একটু এগরোল, বিরিয়ানি, মোমো, চাউমিন না খেলে আর কোথায় বাঙালির বাঙালিয়ানা। তবে ওই জাগ্রত বিবেকের খোঁচায় মাঝেমধ্যেই একটু ডায়েট করে থাকি। মানে ওই একটু লেবু জল, শশা, ভাত-রুটি না খাওয়া এবং আরও আরও সোশ্যাল মিডিয়া প্রচলিত ডায়েট। বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং ওয়েলনেস কনস্যালট্যান্ট ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে বললেন, " আমরা বছরে তিনচারটে ভাল শাড়ি কিনতে পারি অথচ বছরে একটা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে পারি না।" প্রথমেই জিজ্ঞাসা করলাম, " ইদানীং অনেক কমবয়সী ছেলেমেয়ে জিম করতে গিয়ে মারা গিয়েছে, আপনার কী মনে হয় এর কারণ কী?" তিনি জানালেন, " এই উত্তরটা ওইভাবে দেওয়া সম্ভব নয়। কার কী সমস্যা ছিল কিংবা আছে এটা বলা মুশকিল। তবে আমাদের গোড়ায় কিছু গলদ আছে। আমরা অনেক সময় নিজের ইচ্ছে মতো চলি। আমাদের সবসময় উচিত...

শিশুদের মশাবাহিত রোগ থেকে প্রতিকার এবং সুস্থ থাকার উপায় বললেন ডাক্তার ব্রতেশ দাস

  বর্ষার শুরুতেই চোখ রাঙাচ্ছে মশা বাহিত রোগ। ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যে প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। মারা গিয়েছেন আটজন, যার মধ্যে রয়েছে দুই শিশু। বিশিষ্ট শিশু চিকিৎসক ব্রতেশ দাস জানালেন এই মরসুমে কী করে শিশুদের মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচবেন এবং কী করে মশাবাহিত রোগ থেকে সুস্থ হয়ে উঠবেন।   ১) ডেঙ্গুর মশা মূলত ভোরবেলা কামড়ায়। তবে দিনের যে কোনও সময়েই সেই মশা মারণ থাবা বসাতেই পারে, তাই এই সময়ে একটু সতর্ক থাকুন। শিশুদের গা ঢাকা জামাকাপড় পরিয়ে রাখুন। রাতে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন ডেঙ্গির সঙ্গে সঙ্গে ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া এই রোগগুলোও কিন্তু মশাবাহিত, তাই সেগুলোর কথা ভুলে গেলে চলবে না।   ২) এই মরসুমে যদি দুই থেকে তিন দিনের বেশি জ্বর থাকে তাহলে অবশ্যই ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়ার পরীক্ষা করান। কোনও মতেই ভাইরাল ফিভার বলে ভুল করবেন না। সময় নষ্ট করলেই বিপদ।    ৩) মূলত জ্বরের সাথে, সারা শরীরে ব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, গায়ে র‍্যাশ, বমি হওয়া, অরুচি, শরীরের কোনও জায়গা থেকে হঠাৎ করে রক্ত বেরোনো এইগুলো ডেঙ্গির লক্ষণ। তবে একদম ছোট শিশুরা যেহেতু তাদের সমস্যা...