তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে তিনি প্রস্তুত।
তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা' কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে।
কিন্তু গত দুবছর সেই ভাবে কোনও কাজ না হওয়ায় অভিনেত্রী একটু অখুশি। তাঁর কথায়, " অনেক কাজ আটকে আছে। লকডাউনের জন্য বাইরেও যেতে পারছি না। না হলে বেশ কয়েকটা ভাল কাজ এতদিনে মুক্তি পেয়ে যেত।" তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, " এই যে বাংলা সিরিয়ালের ওয়ার্ক ফর্ম হোমের কন্সেপ্টটা কি গ্রহণযোগ্য?" তিনি একবাক্যে জানালেন," না। আমার মতে এতে কাজের মান অনেক কমে যায়। কিন্তু আবার সিরিয়াল না চললে একটা অংশের মানুষ কাজ না পেয়ে বসে যাবে। সেটাও ঠিক নয়।"
তবে এই লকডাউনের মধ্যেই অভিনেত্রী আরও একটি কাজ করে ফেললেন। গত বছর একটি ক্যাফে খুলেছেন তিনি। তিনি এখন কো-ওনার। জিজ্ঞাসা করলাম, "হঠাৎ ক্যাফে?" তিনি বললেন," সবসময় একটা ব্যাকআপ অপশন রাখা ভাল " আবারও জিজ্ঞাসা করলাম," তাহলে কি অভিনয়ের প্রতি অনীহা?" তিনি হাসতে হাসতে উত্তর দিলেন," নৈব নৈব চ! অভিনয় আমার প্রথম ভালবাসা।।"
আপাতত তিনি চুটিয়ে ফটোশ্যুট করছেন। ইতিমধ্যেই ফটোগ্রাফার তথাগত ঘোষের শুট করা তাঁর কিছু ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ার হটকেক! তাঁর কথায়, " অভিনয় করতে আসলে অত ছুঁৎমার্গ থাকলে হবে না।" পাল্টা জিজ্ঞাসা করলাম, " আপনি তো বরাবরই খুব স্ট্রেট ফরোয়ার্ড। বোল্ড সিন করতে আপত্তি নেই তাহলে?" তিনি বললেন," গল্পের প্রয়োজনে নিশ্চয় করতে রাজি আছি।"
সবশেষে জিজ্ঞাসা করলাম," আপনি কি এখনও হ্যাপিলি সিঙ্গেল?" তিনি একটু থেমে জানালেন ,"হ্যাঁ একদম। এখনও মনের মতো কাউকে পাইনি।"
(সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ
ছবি- সায়ন্তনী গুহঠাকুরতার থেকে সংগৃহীত)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন