সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

‘’ আমি সাধারণ মানুষ। তারকা নয়। আর আমি বহুদিন ধরেই পার্টির সঙ্গে যুক্ত। পার্টির বহু উত্থান পতনের সাক্ষী।"


‘’দিনবদলের এই দূত, দেবদূত, দেবদূত’’! হ্যাঁ এইরকমই পোস্টারে আপাতত দক্ষিণ কলকাতার একটা অংশ ছেয়ে গিয়েছে টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিআই(এম) প্রার্থী কমরেড দেবদূত ঘোষ, একদম লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েছেন শুধু তাই নয় তিনি জেতার ব্যাপারেও একদম নিশ্চিত তাঁর বিপরীতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অরূপ বিশ্বাস এবং বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়কে টেক্কা দিতে তিনি প্রস্তুত তিনি অকুতোভয়, তিনি চরৈবেতি তবে বাকি দুই প্রার্থীর তুলনায় তিনি কিছুটা হলেও ভোটের ময়দানে নবাগত তবে দেবদূত ঘোষের রক্তে রয়েছে রাজনীতি পরিবার সূত্রে বহুকাল আগে থেকেই রাজনীতির সঙ্গে তাঁর হাতেখড়ি শুধু তাই নয়, একদম নিভৃতে থেকে পার্টির জন্য বহুকাজ তিনি করে গিয়েছেন মিছিল থেকে ব্যারিকেড সবেতেই তিনি ছিলেন, আছেন, থাকবেন

তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ আপনি কি জেতার ব্যাপারে আশাবাদী ?’’ তিনি একবাক্যে উত্তর দিলেন, ‘’ হ্যাঁ। আমি একশো শতাংশ আশাবাদী। যত মানুষের কাছে যাচ্ছি তত দেখছি পাচ্ছি তাঁরা কী চাইছেন। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের থেকে মানুষ মুক্তি চাইছেন।‘’ আবার জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ আপনার বিপরীতে একজন রাজ্য সরকারের মন্ত্রী এবং অপরজন কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী, সেই তুলনায় কি আপনি কিছুটা ব্যাকফুটে ?’’ দেবদূত ঘোষ বললেন, ‘’ লড়াইটাই আসল। ময়দানে প্রতিপক্ষ যতই পুরোনো হোক কিংবা যতই নামী হোক তাতে কিছু এসে যায় না। আসল কথা হলো মানুষ কী চাইছে এবং মানুষ সত্যিই হাঁপিয়ে উঠেছে। এই দুই সরকারের কার্যকলাপে মানুষের দমবন্ধ হয়ে আসছে।‘’



 তাঁকে থামিয়ে আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ আপনারা ক্ষমতায় এলে কী করবেন ?’’ তিনি বললেন, ‘’ প্রচুর কাজ করার আছে। শিক্ষার পরিকাঠামো পরিবর্তন, চাকরির ব্যবস্থা, একশো দিনের কাজকে অন্তত দেড়শো দিনে নিয়ে যাওয়া, প্রত্যেকের নুন্যতম আয় সুনিশ্চিত করা। আমার টালিগঞ্জ এলাকার প্রচুর রাস্তার কাজ করার আছে। এছাড়াও এই এলাকার একটা অংশে পানীয় জলের অবস্থা বেশ ভয়ংকর, সেগুলো ঠিক করব। এখানকার বেশ কিছু পরিযায়ী শ্রমিকরা লকডাউনে কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন, তাঁদের জীবনের অনিশ্চয়তা কাটানোর চেষ্টা করব। কাজের তো শেষ নেই, প্রচুর কাজ করার আছে।‘’ একটু থেমে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ এই মুহূর্তে বাংলার সিনেমা জগত থেকে বহু অভিনেতা অভিনেত্রী তো বিভিন্ন দলে যোগ দিচ্ছেন, টিকিট পাচ্ছেন, আপনিও কি তাঁদেরই দলে ?’’ অভিনেতা একটু হেসে বললেন, ‘’ আমি সাধারণ মানুষ। তারকা নয়। আর আমি বহুদিন ধরেই পার্টির সঙ্গে যুক্ত। পার্টির বহু উত্থান পতনের সাক্ষী। মিছিল-মিটিং থেকে বিগ্রেড সবকিছুতেই ছিলাম, আছি, থাকব। তো আমাকে যদি পার্টি লড়তে বলে, আমি তাহলে কেন লড়ব না ? আমি তো আর দলে যোগ দিয়েই টিকিট পায়নি! এতদিন ধরে বহু পথ হেঁটে আজ এখানে এসেছি আর এটাই আমাদের পার্টির নিয়ম।‘’ একটু থেমে তিনি আরও জানালেন যে, ‘’ প্রতিনিয়ত গ্যাস, পেট্রোল এবং আরও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়লে বাকি সাধারনের মতো আমরাও অসুবিধে হয়। আম আসলে সবসময় সাধারনের মধ্যে থাকতে ভালবাসি।‘’ সবশেষে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ সংযুক্ত মোর্চা ক্ষমতায় এলে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন ?’’ তিনি বললেন, ‘’ সেটা সংযুক্ত মোর্চা বসে ঠিক করবে। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।‘’

( সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ

ছবি – ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)   

 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...