সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ফেলনা নিয়ে কী বললেন অভিনেত্রী রোশনী , জেনে নিন


 রোশনী তন্বী ভট্টাচার্য শুধু কাজটা ভালবাসেন। আর সেই কাজের জন্যই তিনি মাঝেমাঝে একটা ছোট্ট বিজ্ঞাপন বিরতিতে চলে যান। আর যখন ফিরে আসেন তখন আবার তাক লাগিয়ে দেন। হৃদয়হরণ বিএ পাশের নায়িকা রোশনী আবারও ছোট পর্দায় বড় ভূমিকায়। এবার তিনি 'ফেলনা' ধারাবাহিকে বেণীর চরিত্রে অভিনয় করছেন। তাঁর কথায়,"আমাকে দর্শক এর আগে যে চরিত্রে দেখেছেন, সেই চরিত্র থেকে অনেকটা আলাদা এইবারের চরিত্র।" আসলে তিনি প্রতিবারই চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসেন। 




রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত এই ধারাবাহিকে বেণী একজন ম্যাজিশিয়ান। কিন্তু কোথাও মেয়ে বলে এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ এবং পরিবার তাঁকে দমিয়ে রেখেছে। তবুও বেণী প্রতিবাদী। তবুও বেণী জেদী। ধীরে ধীরে বেণীর জীবনের পট পরিবর্তন হয় এবং এই গল্পে আরও অনেক চরিত্র আসে। বেণীর জীবনের ম্যাজিক আসে, আসে বহু উত্থান-পতন। তবুও বেণী আলাদা। আগামী ১মার্চ থেকে আসতে চলেছে ধারাবাহিক ফেলনা। স্টার জলসায় পর্দায় প্রতিদিন রাত ৮.৩০ থেকে দেখা যাবে এই ধারাবাহিক।


অভিনেত্রী রোশনীকে জিজ্ঞাসা করলাম," মাঝে এতদিনের ব্রেক, এটা কি কাকতলীয়?" তিনি হাসতে হাসতে বললেন," আমার একটু সময় লাগে। একটা চরিত্র থেকে বেরিয়েই আবার অন্য একটা চরিত্রে চলে যেতে একটু তো ব্রেক নিতেই হয়।" আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, "বড় পর্দায় কাজ করার কথা ভাবছেন কি?" তিনি একবাক্যে বললেন ," হ্যাঁ। তবে এই মুহূর্তে সিরিয়ালে ফোকাস করতে চাইছি। যেটা করব সেটা ভাল করে করব।"



জিজ্ঞাসা করলাম," একটা সময় আপনি বলেছিলেন এই ইন্ডাস্ট্রি জুনিয়র আর্টিস্টদের তাঁদের প্রাপ্যটুকু দেয় না! এখনও কি তাই?" তিনি একটু থেমে বললেন," সময় বদলেছে, ইন্ডাস্ট্রিও। এখন জুনিয়র আর্টিস্টরা তাঁদের প্রাপ্যটুকু পায়।" আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, " পিছনের কথা ভেবে আপনার অনুতাপ হয় এখনও?" তিনি একটু হেসে বললেন, " না। হয় না। তবে আমি সবটা দেখে এসেছি। ক্রাউডে কাজ করতে করতে আজ এখানে এসে পৌঁছেছি। তাই দুঃখ হয় না। বরং ভালই লাগে।" 

রোশনী নিজের জীবনের খুব সোজাসাপটা। তিনি বরাবরই এগিয়ে যেতে ভালবাসেন। যে কাজটা করেন সেটা খুব মন দিয়ে করেন। আর করেন বলেন এখনও তিনি দর্শকদের মণিকোঠায়। জিজ্ঞাসা করলাম, " এতদিন বাদেও ছোটপর্দার দর্শক আপনাকে মনে রেখেছে?" তিনি হাসতে হাসতে বললেন, " নিশ্চয়। ভাল কাজ করলে নিশ্চয় রাখবে।" সবশেষে জিজ্ঞাসা করলাম, " আপনি কি প্রেম করছেন?" একটু থেমে বললেন, " প্রেম কি শুধু মানুষের সঙ্গেই হয়? গাছ, পাখি, স্ক্রিপ্ট এগুলোর সঙ্গে হয় না?" রহস্যটা যদিও রহস্যই থেকে গেল।

(সাক্ষাৎকার-আদিত্য ঘোষ

ছবি-সংগৃহীত)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...