সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ফেলুদা ফেরতে নীলিমা দেবীর চরিত্রে দেখা যাবে পৌলমীকে


 ফেলুদা ফেরত! হ্যাঁ সমস্ত বাঙালির প্রিয় চরিত্র যখন আবার সিলভার স্ক্রিনে, তখন কি অপেক্ষা করা আর সম্ভব হয়? তাও আবার সৃজিত মুখোপাধ্যায় হাত ধরে। গল্প তো জমে ক্ষীর। ছিন্নমস্তার অভিশাপ নিয়ে তৈরি হয়েছে ফেলুদা ফেরত। যদিও সব ঠিক থাকলে মানে এই কোভিড পরিস্থিতি না থাকলে এতদিনে বাঙালি ফেলুদা ফেরতের স্বাদ পেয়ে যেত কিন্তু এই অপেক্ষা বাঙালির স্বাদটাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু দর্শকই নয়, অভিনেত্রী পৌলমী দাসও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। কী বুঝলেন না তো? ভেঙে বলি। ফেলুদা ফেরতে নীলিমার চরিত্রে অভিনয় করেছেন পৌলমী দাস।

গতবছরের শেষের দিকেই এই সিনেমার শুটিং প্রায় শেষই হয়ে গিয়েছিল কিন্তু কোভিদের জন্য সবটাই পিছিয়ে গেল। তবে কথায় আছে, যা হয় ভালর জন্যই হয়। এবার দেখার এই সিনেমা কি বাঙালির মনে নতুন ফেলুদা অর্থাৎ টোটা রায়চৌধুরীকে রেখে দিতে পারবে? যদিও সময়ই হয়ত তার উত্তর দেবে। তবে এই সিনেমা নিয়ে কিন্তু বেশ আশাবাদী অভিনেত্রী পৌলমী দাস। জিজ্ঞাসা করলাম, '' সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রথম কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?" তিনি জানালেন যে," বেশ ভাল। উনি কাজের প্রতি বড্ড একাত্ম। খুব মনযোগ দিয়ে কাজ করেন। আর আমি এই সিনেমার চরিত্র হতে পেরে বেশ ভাল লেগেছে। কোনওদিন যে এমন সুযোগ আসবে সেটা ভাবিনি।"

যদিও ফেলুদা সিরিজে মহিলা চরিত্রের তেমনভাবে কোনও উল্লেখ না থাকলেও এই সিনেমায় নীলিমা কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। আবারও জিজ্ঞাসা করলাম" ফেলুদা সিরিজের প্রতি কি ছোট থেকেই টান ছিল?" তিনি বেশ উৎফুল্ল হয়ে বললেন,"অবশ্যই। সব বাঙালীর থাকে। আমারও ছিল। তবে রহস্যরোমাঞ্চের চেয়ে ফ্যামিলি ড্রামা আমি বেশি ভালবাসি।" 

" আপনার চোখে সেরা ফেলুদা কে?" তিনি একবাক্যে বললেন" সব্যসাচী চক্রবর্তী।" আবারও জিজ্ঞাসা করলাম" আর এই মুহূর্তে?" তিনি হাসতে হাসতে বললেন," অবশ্যই আবীরদা!" সম্প্রতি এই সিনেমার ট্রেলর রিলিজ হবে এবং এই শীতে আড্ডা টাইমসে মুক্তি পেতে চলেছে ফেলুদা ফেরত।  

তবে শুধু ফেলুদা ফেরতই নয়, অভিনেত্রী পৌলমী দাস এই মুহূর্তে ভীষণ ব্যস্ত। ইতিমধ্যেই নতুন ওটিটি প্লাটফর্ম"ক্লিক"-এ ' চিক-ফ্লিক' বলে একটি ওয়েব সিরিজে তাঁকে সুইটি নামে একটি চরিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন। এখানেই শেষ নয় অরিন্দম শীলের নতুন সিনেমা 'তীরন্দাজ শবর'-এ তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন। জিজ্ঞাসা করলাম," কী চরিত্র?" তিনি হাসতে হাসতে বললেন," সময় হলে সবই জানতে পারবেন।" এই সাসপেন্স কি ফেলুদা ফেরত থেকেও বড় কিছু? হয়ত সময়ই কথা বলবে।

( সাক্ষাৎকার - আদিত্য ঘোষ 

ছবি - সংগৃহীত)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...