সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

॥ট্রেনে হারানো গল্প॥

----------------------------------------------------------#সৌভিক---------------------------------- চাকার গতিবেগ বাড়তে থাকে সিগনালের ওঠা পরার সাথে।গাদাগাদি ভিড়ে পিঠ ঠেসে যায় প্রেমিকার ট্রেনের দেয়ালে। আচমকা দুটো আলাদা হাত চলে আসে এক হাতলে। সে মাথা তুলে দেখে ছেলেটি আগলে ছিল তাকে অনেক চোখের আড়ালে...অনেক্ষন। বাকিটা জানে ছেলেটির ডায়েরীর পেজ।তারপরে কেটে যায় অনেক গুলো বছর। ট্রেন ছেড়ে গেছে অনেক রেলওয়ে স্টেশন। হয়তো সে আলোকবর্ষে নতুনদের কথা অ্যানাউন্সমেন্ট হয়েছে বারবার। আজও দেখি তারা পাশপাশি বসে জানলার ধারে। ঘামের গন্ধ আর ক্লান্তি শরীরদুটো আলাদা করতে পারেনি। মাঝে মাঝে কিছু প্রতিশ্রুতি আঙুল ছুঁয়ে যায়। কাঁধে মাথা রেখে স্বপ্ন অাওড়ায়। গোটা দিনের ভুল ত্রুটি শোধরানোর প্রয়াস বাঁচে ওই পঞ্চাশ মিনিটের যাত্রা পথে। সন্ধ্যের লালচায়ে প্রেম আনাগোনা করে। তবু নামছাড়া সে স্টেশনের অলীকবেঞ্চে কেউ ফেলে যায় অাদুরে রুমাল। প্রথম গল্পটা আমার ছিল.... দ্বিতীয়টা ওদের। আমার স্টেশন এসে গেছে। সিট ছাড়তে হবে। অনেকটা সময় ওদের দেখতে দেখতে মনে পরে গেছিল আমাদের একসাথে লাইন ক্রসিং এর দিনগুলো। আমি জানি ওদের শেষ স্টেশন বলে কিছ...

CONFUSING TEENAGE

-------------by Lagnajita Paul TEENAGE is the most interesting phase of one's whole span. Teenage screws us! Yeah, to some extent. 😌 Teenage puts new hopes in us. Yup, sometimes teenage builds the path of our future rightly. Sometimes it makes us to commit sins. It confuses us, it arouses us, it fills us, yet it can make us solitary. It can bring out the darkness in us; again it can fill us with illusion. It brings new people in our life & maximum times take away our dearest ones whom we think would never left us.   For the teenagers, as soon as you leave the high school, you think now is the your time to fly. You think of having a relationship & soon find one. You feel like heaven with that one. You feel butterfly in your stomach. You just think they don't know about us they don't know about the I love yous, but I bet you if they only knew, they would just be jealous of us. If you're little bit lucky, then your relation would last more th...

DEMONS

You know what troubles you the most? When you feel something you can't explain. When you read something you can't understand. When you want to find yourself but can not channel your own thoughts in your narrow elementary mind of yours you are bound to attached for the rest of your life.  This however can be a bliss to be confined in your own mind palace. Like a journey never ending, like a dream which never letting you get up from sleep.  The mind, this shallow little mind, what’s its use then? Why can’t be we just function like a hard drive, deleting what’s unnecessary, forgetting what trouble us? What’s the use of emotions then? Is it Just a chemical defect that weakens you? No, it’s far more than we can ever imagine. Emotions are indeed some hormones running through our blood. But that’s not the entire story. In your mind there are several cells you have access to. Some leads you to how your friend died some to how you stood first in your class, some to t...

SILVER LINING

------------------------------------------------------------------------------------------------by Dishari Banerjee  Have you ever gone through a situation where you felt like ending your life but at the same time you realized that "time is the best healer"? I think almost everyone have gone through this vital time of their life at least once. When this tough time hits us hard, all we do is curse the other people or end up calling ourselves a fool, start putting heavy and over emotional statuses in our life-saving social networking sites and create a chaos all around the comment box. Thoughts like this often strike my mind in the middle of the night when the whole city is asleep after a busy and a struggling day. The silence talks to me and the distorted shadows all over the deprived walls of my room bring so many apparent thoughts.  We are the citizens of a country where poverty blows in the air, where competition stabs you every moment, where you can just drown i...

জীবদ্দশা

পার্থ ঘোষ   সরযূবালার ঘোলাটে চোখের ঝাপসা দৃষ্টি স্বামী হৃদয়নাথের আবছা ছবিটার ওপর আটকে রয়েছে অনে ক ক্ষণ ধরে।  ছবিটা তাঁর কো লের ওপর দুই শীর্ণ হাতের বন্ধনে আবদ্ধ।  স্যাঁতস্যেঁতে প্রায়ান্ধকার ঘরের আলো-আ ঁধা রের লুকোচুরি খেলার মধ্যে ইঁদুর, আরশোলা এবং টিকটিকির স্বাধীন বিচরণ ক্ষেত্র।  দেয়ালের খসে পড়া চুনকাম ও গর্ত  হয়ে যাওয়া রং-চটা মেঝের অপরিসর ঘরটাই এখন তাঁর একমাত্র আশ্রয়স্থল।  জামাইয়ের করুণার দান। জীবনের সত্তরটি বছর কাটিয়ে ইঞ্জিন ী য়ার ছেলে রুদ্রাক্ষর সংসার থেকে বিতাড়িত হয়ে শেষ আশ্রয়স্থল হিসাবে একমাত্র জামাই – সরকারী অফিসের কেরানী অজিতাভ রায়ের গলগ্রহ হয়ে এই মাথা গোঁজার জায়াগাটা পেয়েছেন সরযূবালা। লাঞ্ছনা, গঞ্জনা আর চাপা ক্রোধের সূচালো তীরের আঘাতে জর্জরিত মন যখন ক্ষতবিক্ষত হয়ে ওঠে , তখনই স্বামীর ছবিটা দু’হাতে ধরে নিভৃতে বসে হারিয়ে যান অতীতের দিনগুলোয়। ছানি পড়া দু’চোখ থেকে কয়েক ফোঁটা অশ্রু  ঝরে পড়ে ছবির কাঁচে।  ইঞ্চি-পাড় শাড়ীর আঁচল দিয়ে সযত্নে মুছে দেন কাঁচটা ।   পুরান ছবিটা একটু স্পষ্ট হয়ে ওঠে যেন, কিন্তু দূরত্বটা একই রয়ে যা...

রূপ রস গন্ধ

পার্থ ঘোষ – পাখি পাখি পুষতে  ভালোবাসে না। তার মনে হয় পাখি স্বাধীন প্রাণী।  তার স্বাধীনতাকে খর্ব করা উচিৎ নয়।  বদ্ধ হরে ধাকার কি কষ্ট, কি জ্বালা, মনের কি যে ছটফটানি পাখি তা ভালো করেই নিজের জীবন দিয়ে উপলব্ধি করে।  মাঝে মাঝে শিকল কেটে উড়ে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সাহস হয়  না। খাঁচার পাখির মত তারও যে ডানা ভাড়ী হয়ে গেছে।  বিশাল পৃথিবীতে সেই ভাড়ী ডানা মেলে ওড়ার ক্ষমতা হারিয়ে গেছে। তাই শুধু ডানা ঝাপটানই সার হয়, ওড়া আর হয় না। পাখি ভালোবাসার কাঙাল। ছেলেদের দেখলেই তার ভালো লেগে যায়।  ভালোবাসতে ইচ্ছে করে । কিন্তু দুঃখের বিষয় ছেলেরা তাকে পছন্দ করে না। পছন্দ না করার কারণ যদিও পাখি খুঁজে পায় না। তার জন্য সে বারবার নিজেকে আয়নার সামনে দাঁড় করায়।  একাগ্র হয় ে লক্ষ করে শরীরের খুঁত গুলোকে। সে যে দেখতে সুন্দর নয় তা নয়।  মুখশ্রীতে লালিত্য আছে, লম্বা কালো চুল আছে। হাসিতে মিষ্টতা আছে।  শুধু যা নেই, তা হল তার শরীরের ভঙ্গিলতা।  যা না থাকলে নারী নারীত্ব লাভ করে না। পুরুষের চোখে মোহময়ী হয়ে ধরা দেয় না। পাখি খুব রোগা। কোন বসনই তার গায়ে ঠিক ঠাক ভা...

kobita by সীমাহীন প্রান্তর

আর কিছু বাকি নেইতো তোমায় বলার আর কিছু শুনবে বলে আমার চলার পথে পথে ঘুরে ঘুরে রাজপথের দিশাই হাজারটা রং মিশিয়ে তোমাকে মিলাই তবু দৃশ্যপট কেন অস্পষ্ট দিকটাকি ভুল না ঠিক মনে চাপা দুঃখগুলো হারায় দিকবিদিক আধোআলোয় আলতো রোদে তোকে প্রথম দেখা হারিয়েছি আমি সেখানে অস্পষ্টতা সবই দেখা......

এক চিলতে আফ্রিকা : শীড্ডী-জাতি

এক চিলতে আফ্রিকা :   শীড্ডী- জাতি চারিদিকে ঘন জঙ্গল আর তার মাঝে এক ছোট্ট গ্রাম। গ্রামবাসী হল বেশ কয়েক ঘর আফ্রিকান মানুষ। নিশ্চয়ই ভাবছেন যে আমি আফ্রিকা মহাদেশের কোন আদিবাসীদের কথা বলছি? না! আমি আফ্রিকার কথা বলছিনা। আমি বলছি ভারতবর্ষের কথাই। বেশ কয়েক শতাব্দী ধরেয় কর্ণাটকের টাভাড়গাট্টা গ্রামে বাস করছে এই Indo-African শীড্ডী আদিবাসীরা। শুধু কর্ণাটক বললে ভূল হবে, এরা ছোরিয়ে আছে গুজরাতের গীর আভয় অরণ্যেও। সংখ্যায়ে তাদের কম ভাববেন না যেন। হিসেব মতো প্রায়ে ৫০০০০ শীড্ডী আদিবাসী বাস করে ভারতে। শীড্ডীদের ভারতে আসা নিয়ে আনেক গল্প আছে। সব চেয়ে চর্চিত গল্প হল - পর্তুগীজরা এদের নিয়ে আসে আফ্রিকা থেকে নিজেদের দাস হিসাবে। তারপর তারা ভারতেই রোয়ে যায়ে। ৪০০ বছর ধরে এদের টিকে থাকার কাড়োণঃ নিজেদের মধ্যে বীবাহ করা। এদের প্রথমে দেখে চমকে যাবেন, মনে হবে যে আফ্রিকা এসে গেছেন। কিন্তু প্রায়ে ৪০০ বছর থাকার সুবাদে এরা পরিষ্কার হিন্দি বলতে ও বুঝতে পারে। বেশীরভাগ শীড্ডীবাসিরাই গরিব। তাদের প্রধান জীবিকা হল ধান চাষ করা। তাদের মাটির ঘড়, বড়ো উঠোন ও মাথার ওপর বড়ো খোলা আকাশ দেখে আপনার মণ জুড়িয়...