সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

" বাংলা ইন্ডাস্ট্রির প্রতি কি আক্ষেপ আছে? "


শিক্ষিকা থেকে মডেল এবং অতঃপর অভিনেত্রী! প্রিয়াঙ্কা দে এখন তেলেগু সিনেমার ব্যস্ত নায়িকা। যদিও কথাটা শুনে অভিনেত্রী হাসতে হাসতে বললেন, " একদমই না। সবে মাত্র তেলেগু সিনেমায় খাতেখড়ি দিয়েছি।" কিন্তু তিনি হাতেখড়ি দিয়েই তেলেগু সিনেমায় তিনটে কাজ করছেন। ইতিমধ্যে একটি সিনেমার কাজ শেষ হয়েছে এবং আরও দুটির কাজ চলছে। তাঁর ব্যস্ত সময়ের মধ্যেও হায়দ্রাবাদ থেকে আটপৌরেকে জানালেন যে, " আমার অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল সাউথে কাজ করব। অবশেষে যখন সুযোগ পেয়েছি তখন নিজের একশো শতাংশ দিয়ে কাজগুলো করতে চাই।" 

একসময়ে তিনি কোনও এক গহনা বিপনির পোস্টারে সারা শহর ছেয়ে গিয়েছিলেন। প্রচুর বিজ্ঞাপনের ছবিতে কাজ করছেন। 'মহালয়া',' রক্তকরবী' , ' সুইজারল্যান্ড' এর বক্স অফিস হিট করা বাংলা ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রের অভিনয় দর্শকদের প্রসংশা কুড়িয়েছে। কিন্তু এই বাংলা ছেড়ে হঠাৎ সাউথ? তিনি জানালেন," আমার কাছে কোনও গন্ডি নেই। কাজটাই সব। আমি এখন ভাল কাজ করতে চাইছি। সেটা যে কোনও ভাষাতেই হোক না কেন। যদিও তেলেগু ছবিতে কাজ করতে এসে একটু ভাষাগত সমস্যা হয়েছিল কিন্তু আমাদের প্রোডাকশন টিম সেইটুকুও কাটিয়ে দিয়েছে।" জিজ্ঞাসা করলাম, " বাংলাতে কি এখন ভাল কাজ হয় না?" তিনি বললেন, " হ্যাঁ, নিশ্চয় হয়। তবে আমি এখনও সেরকম ভাল কাজের অফার পাইনি। পেলে নিশ্চয় করব।" তাঁকে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, " বাংলা ইন্ডাস্ট্রির প্রতি কি আক্ষেপ আছে? " তিনি একটু থেমে বললেন, " কিছুটা।" আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, " বাংলা ছবিতে কাজ করতে গেলে কি এখনও গুড লুকিং নেসেসারি?" তিনি বললেন, " না। এখন আস্তে আস্তে অনেক কিছুই পাল্টাচ্ছে। দর্শক এখন বোকা নয়। তারা ভাল কাজ দেখতে চাই।" একটু থেমে তিনি আরও জানালেন, " তেলেগু ইন্ডাস্ট্রি অনেক প্রফেশনাল। নতুনদের কদর করতে জানে। তাঁদের উপযুক্ত সম্মান করতে জানে। আমার তো এখানে কাজ করতে দিব্যি ভাল লাগছে।"

"শ্যামসিংহরায়", " হাসিনা" এবং " কোটেসারাওগাড়ি কদুকুলু" এর মতো তিনটে তেলেগু ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত প্রিয়াঙ্কা জানালেন, " আমার এই পুরো জার্নিটাই আমার মা- বাবা খুব সাপোর্ট করেছে। আমার এখন কাজ হল ভাল কাজ করে যাওয়া এবং তাঁদের প্রাউড ফিল করানো।"

(সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ

ছবি- সংগৃহীত)

 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...