সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

'জোহার' নিয়ে কী বললেন নয়না গঙ্গোপাধ্যায়, জেনে নিন

 

তিনি থামতে জানেন না। দৌড়ে যাওয়াই তাঁর লক্ষ্য। ধীরে ধীরে একের পর এক চরিত্রে তাঁর অভিনয় দক্ষতা ইতিমধ্যেই বেশ সমাদৃত। তাঁর বলিষ্ঠ অভিনয় তাঁকে শুধু বাংলার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেনি। সারা ভারতের বিভিন্ন ইনড্রাস্টিতে তিনি এখন অতি পরিচিত মুখ। অভিনেত্রী নয়না গঙ্গোপাধ্যায় এবার সম্পূর্ণ অন্য ভূমিকায়। একেবারে অন্য রকম একটা চরিত্রে। 


আগস্ট মাসে ১৪তারিখ 'আহা' ওয়েব প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেতে চলেছে 'জোহার'। এই সিনেমায় নয়না গঙ্গোপাধ্যায়কে একজন এথ্যালেটিকের ভূমিকায় দেখা যাবে। চারটি গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে এই তেলেগু সিনেমাটি। অভিষেক নামা নিবেদিত এবং সন্দীপ মার্নি প্রযোজিত এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন তেজা মার্নি।



অভিনেত্রী জানালেন যে এই রকম চরিত্রে তিনি প্রথম অভিনয় করলেন। আটপৌরের সঙ্গে কথোপথনে তিনি আরও জানালেন যে," আমি ছোট থেকে খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত। স্কুলে বেশ নিয়মিত খেলাধুলা করতাম। যদিও তারপরেও করেছি কিন্তু সেইভাবে যদিও কিছু করে ওঠা হয়নি। তবে এই চরিত্রটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। অভিনয় করতে করতে মনে হচ্ছিল নিজেই একজন এথ্যেলেটিক হয়ে উঠেছি। যদি অভিনয় না করতাম তাহলে হয়ত খেলাধুলার সঙ্গেই যুক্ত হতাম।"

একটু থেমে তিনি আরও জানালেন, " শুটের সময় আমাকে দৌড়াতে হত প্রায়। একবার তো মেন রাস্তার দৌড়ে যাওয়ার সিন ছিল। বিপরীত দিক থেকে গাড়ি আসছে। কিন্তু আমাকে ওই রাস্তা দিয়েই দৌড়ে যাওয়ার সিন ছিল। সেটাও করেছি। কখনো ভরা বাজারে লাঠি নিয়ে সার্কাস দেখানোর সিনও করেছি। পুরো ব্যাপারটাই বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল।"



নয়না গঙ্গোপাধ্যায় নিজেকে ভাঙতে ভালবাসেন। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা তাঁকে বরাবরই উৎসাহিত করেন। তাই নিজের 'ইমেজকে' ভাঙতে তিনি ভালবাসেন। চরিত্রহীন এবং চরিত্রহীন ২ এর সেই কিরনময়ী কোনওদিনই থেমে থাকতে চাননি। একের পর এক ভিন্ন চরিত্রের স্বাদ তাঁকে আল্লাদিত করে। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে 'বিউটিফুল', ' মেরি বেটি সানি লিওন বান্না চাতি হে', ' ভাঙ্গাভিটি' এর ছবি। যদিও এখানেই শেষ নয় এই বছরের শেষে তাঁর ঝুলিতে আরও নতুন পালক যুক্ত হতে চলেছে। যদিও সেই ব্যাপারে তিনি এখন ' স্পিকটি নট!"


যদিও জোহার তেলেগু সিনেমা কিন্তু শিল্পের তো কোনও ভাষা হয় না। তাই অভিনয় দক্ষতা দেখার জন্য ভাষার বেড়াজাল অনায়াসে পেরোনো যায়। সিনেমাটি নিয়ে অভিনেত্রী নিজেও বেশ আশাবাদী।

( সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ 

ছবি- সংগৃহীত) 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...