সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

‘বন্য প্রেমের গল্প’ নিয়ে কী জানালেন অভিনেত্রী এনা সাহা, জেনে নিন




সদ্য মুক্তি পেয়েছে ‘বন্য প্রেমের গল্প’, একটি ক্রাইম থ্রিলার ওয়েব সিরিজ। হইচই প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়া এই ওয়েব সিরিজের মূল চরিত্রে রয়েছেন তনুশ্রী চক্রবর্তী, সাহেব ভট্টাচার্য, সৌমেন্দ্র ভট্টাচার্য  এবং এনা সাহা, গৌরব চট্টোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল মল্লিক এবং আরও অনেকে। এই ওয়েব সিরিজের প্রতিটি মোড়ে রয়েছে দারুন উত্তেজনা, একটা চাপা রহস্যে সাজানো এই প্রেমের গল্প আপনাকে শিহরিত করতে বাধ্য।

এই সিরিজে এনা সাহাকে তিনটি ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁর সাহসী অভিনয়ও দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এনা সাহাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ একটি সিরিজে তিনটি আলাদা আলাদা চরিত্র, ব্যাপারটা কি চ্যালেঞ্জিং ছিল ?’’ এনা জানালেন , ‘’ তা তো ছিলই, শুধু তায় নয় এটা আমার কাছে একটা ড্রিম প্রজেক্টও ছিল। কারণ একই সিরিজে তিনটে আলাদা চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া এবং তিন ধরণের অভিনয়, পুরো ব্যাপারটাই একটু অন্য রকম ছিল।‘’



 আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ এই প্রথম তোমাকে এত বোল্ড সিন করতে দেখা গেল! এবার কি তুমি তোমার ছকভাঙতে চলেছ?’’ এনা হাসতে হাসতে উত্তর দিল, ‘’ চরিত্রের প্রয়োজনে আমি বোল্ড সিন করতে রাজি কিন্তু যেন সেখানে মেয়েদের অবজেকটিফায়েড না করা হয়। আমি এই ব্যাপারটা একদমই পছন্দ করি না। যেখানে সিনেমার কনটেন্টের সঙ্গে সিনটা যায় না, এমন কোনও চরিত্র আমি করতে রাজি নয়। সেই জন্যই আমি খুব বেছে বেছে কাজ করি।‘’

জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ তোমার শেষ ছবি ছিল ভূত চতুর্দশী, তারপরে এই বন্য প্রেমের গল্প। এতটা গ্যাপ কেন ?’’ এনা আবারও হাসতে হাসতে বলল, ‘’ আসলে আমি একটু বেছে বেছে কাজ করতে ভালবাসি তো তাই! তবে আমি কিন্তু বাংলার বাইরেও কাজ করে এসেছি কিছুদিন আগে, তা ছাড়া আরও একটা বাংলা ছবির শুটিং শেষ করেছি। ‘’

 ২৩শে জানুয়ারী থেকে এই ওয়েব সিরিজটির স্ট্রিমিং শুরু হয়ে গেছে। নতুনত্ব গল্পের মোড়কে সাজানো এই সিরিজিটি এখন না দেখে থাকলে এখুনি দেখে ফেলুন।   


( সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ
ছবি- সংগৃহীত) 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...