সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তখন এখানে ভিড় করত টিয়া, শালিক, ঘুঘু আরও কত কেউ। বাড়ির সামনে পুকুরে তখন মাছরাঙারও দেখা মিলত।

অস্থাবর- আদিত্য ঘোষ (পর্ব-১) বাড়িটার বয়স প্রায় দেড়শ বছর। এই আমলে শরিকি বাড়ি প্রায় উধাও। ফ্ল্যাট কালচারে এমন শরিকি বাড়ি অনেকটা ইউনিটি ইন ডাইভার্সিটির মতো। তবে শুধু বাড়িটাই, বাকি সবটাই রাজনৈতিক দলের মতো! এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায় দেখ। কেউ একটুও জমি ছাড়তে নারাজ। ছোট থেকেই এমনটা দেখতে দেখতে বড় হয়েছি। বাবার মুখে যদিও শুনেছি, দাদুদের আমলে খুব মিলমিশ ছিল। তখন নাকি এখানে সারাদিন রোদ্দুর খেলা করত।   তখন এখানে ভিড় করত টিয়া, শালিক, ঘুঘু আরও কত কেউ।   বাড়ির সামনে পুকুরে তখন মাছরাঙারও দেখা মিলত। আমিও দেখছি, তবে তখন আমি অনেক ছোট। আমাদের বাড়ির দুটো দরজা, তবে পুকুর ধারের দরজাটাই সদর দরজা বলে পরিচিত।  বাড়ির একেবারে মাঝখানে একটা মস্ত বড়ো আম গাছ ছিল। ঝড়ের রাতে আম কুড়োনোর স্মৃতি এখনও স্পষ্ট। তখন হয়ত ক্লাস ফাইভ কিংবা সিক্স। মে মাসের শেষের দিক। বাইরে তখন কালবৈশাখীর তাণ্ডব চলছে। লোডশেডিং এর মধ্যে একফালি মোমবাতি ছিল আমার আলোর উৎস। তখন ও বাড়িতে ইনভাটারের ব্যবহার শুরু হয়নি।   সেই ঝড়ের রাতে আম কুড়োনোর জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকতাম, কখন ঝড় কমবে আর আমি কখন গিয়ে আম কুড়োবো। যেদিন এ...

সন্ধ্যে হলেই এখানে ঘনিয়ে আসে বিশ্রী অমাবস্যার ছায়া। তবে এই নির্জনতা আমার ভাল লাগে।

                          মিছিল – আদিত্য                                     (প্রথম পর্ব)   বারো ফুটের একটা ঘর। চারিদিকে শুধু ছাই আর সিগারেটের টুকরো। এদিকে-ওদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ছেঁড়া ডায়রির পাতা। আসবাবপত্র বলতে একটা চেয়ার আর ভাঙা টেবিল। ঘরটা পরিষ্কার করলে হয়ত নবদম্পতির জন্য এটা একটা আদর্শ জায়গা হবে। জানলা খুললেই দেখা যায় সাজানো বাগান। সারি সারি গাছ মাথা তুলে রয়েছে হয়ত তোমার জন্য। ছাদের অর্ধেক অংশ জুড়ে রয়েছে এই ঘরটা, তাই একটা দরজা খুললেই ছাদের বাকি অংশটা হঠাৎই হাতছানি দেয় আনমনে। বিকেল হলে এই ছাদে দাঁড়িয়ে ফিরে যাওয়া যায় ছোটবেলায়। ঐ দূরে দেখা যায় কদম গাছটা, যেখানে রাত হলেই ভিড় করে জোনাকির দল। চারিপাশে আরও বাড়ি রয়েছে, তবে এই বাড়িটার তুলনায় সবাই ছোট। এ দিকে ত্রিফলার দাপট নেই। যানবাহনও কম চলে। সন্ধ্যে হলেই এখানে ঘনিয়ে আসে বিশ্রী অমাবস্যার ছায়া। তবে এই নির্জনতা আমার ভাল লাগে। এই ঘরটাকে চিলেকোঠার ঘর বললেও ভুল বলা হবে ...